০৪:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

পার্বত্য চট্টগ্রামের সবুজ পাহাড় আবারো সন্ত্রাসীদের রক্তের হোলি খেলায় লাল হয়ে উঠেছে

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০১:৪২:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ জুলাই ২০২০
  • / ১৫১০ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

পার্বত্য চট্টগ্রামের সবুজ পাহাড় আবারো সন্ত্রাসীদের রক্তের হোলি খেলায় লাল হয়ে উঠেছে। খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটির পর এবার একসঙ্গে ৬ জনকে হত্যার ঘটনা ঘটলো বান্দরবনে। এর মধ্য দিয়ে তিন পার্বত্য জেলার মাঝে এতদিন অপেক্ষাকৃত শান্ত জেলাটিও অশান্ত হয়ে ওঠার আশংকা করছেন স্থানীয় মানবাধিকার কর্মীরা। পার্বত্য এলাকায় কাজ করা সাবেক সেনা কর্মকর্তারা বলছেন, শুরুতে আদর্শের কথা বলে পাহাড়ে বসবাসরত সহজ-সরল মানুষদের বিভ্রান্ত করে দল গোছালেও এখন শুধু আর্থিক স্বার্থ এবং আধিপত্যের লড়াইয়ে মেতে উঠেছে পাহাড়ী সংগঠনগুলো।

এই ছবি মঙ্গলবার সকালের। চার ভাগে বিভক্ত পাহাড়ের আঞ্চলিক সংগঠন জেএসএস সংস্কারপন্থী গ্রুপের সদস্যরা বান্দরবানের বাগমারা এলাকার একট বাড়িতে অবস্থান নিয়ে সকালের খাবারের আয়োজন করছিলেন। এসময় প্রতিপক্ষ শন্তু লারমা গ্রুপের সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে ব্রাশফায়ারে হত্যা করে ৬ জনকে।

এর আগে ২০১৮ সালে রাঙ্গামাটির খালিয়াঝুড়ি এলাকায় ইউপিডিএফ গণতান্ত্রীকের শীর্ষ নেতা তপন জ্যোতি চাকমাসহ ৭ জনকে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। এর কিছুদিন পর খাগড়াছড়ির স্বনির্ভর বাজারে ইউপিডিএফের মিছিলে গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয় ৪ জনকে। এছাড়া গেল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দিন বাঘাইছড়িতে হত্যা করা হয় ৪ নির্বাচন কর্মকর্তাসহ ৮ জনকে। প্রতিটি ঘটনায় একে অন্যের ওপর দায় চাপায়। এসব ঘটনার একটিরও বিচার হয়নি। তাই বন্ধ হচ্ছে না রক্তের হলি খেলা। বললেন এই মানবাধিকার কর্মী।

তবে পুলিশের দাবি মাঝে মধ্যে দুই একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া পার্বত্য এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখনো ভালো আছে। দীর্ঘদিন পার্বত্য অঞ্চলে কাজ করা সাবেক এই সেনা কর্মকর্তারা বলছেন, পাহাড়ী সংগঠনগুলোর মধ্যে শুরুতে আদর্শ থাকলেও এখন নেই। শুধু চাঁদাবাজির টাকা ভাগ বাটোয়ারা আর আধিপত্যের লড়াইয়ে ভ্রাতৃঘাতি সংঘাতে মেতেছে তারা। এটা বন্ধ করতে হলে পার্বত্য এলাকায় সেনা তৎপরতা বাড়ানোর বিকল্প নেই।

১৯৯৭ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি বা জেএসএসের সঙ্গে শান্তিচুক্তি করে সরকার। এই চুক্তির বিরোধীতা করে তখনই জন্ম নেই ইউপিডিএফ নামের আরেকটি সংগঠন। ক’দিন পর জেএসএস ভেঙ্গে এমএন লারমা বা জেএসএস সংস্কার আর ইউপিডিএফ বিভক্ত হয়ে গণতান্ত্রীক ইউপিডিএফ তৈরী হয়। এখন চারপক্ষই শসস্ত্র তৎপরতায় জড়িয়ে পড়েছে পার্বত্য এলাকায়। ফুটেজ-৩

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

পার্বত্য চট্টগ্রামের সবুজ পাহাড় আবারো সন্ত্রাসীদের রক্তের হোলি খেলায় লাল হয়ে উঠেছে

আপডেট সময় : ০১:৪২:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ জুলাই ২০২০

পার্বত্য চট্টগ্রামের সবুজ পাহাড় আবারো সন্ত্রাসীদের রক্তের হোলি খেলায় লাল হয়ে উঠেছে। খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটির পর এবার একসঙ্গে ৬ জনকে হত্যার ঘটনা ঘটলো বান্দরবনে। এর মধ্য দিয়ে তিন পার্বত্য জেলার মাঝে এতদিন অপেক্ষাকৃত শান্ত জেলাটিও অশান্ত হয়ে ওঠার আশংকা করছেন স্থানীয় মানবাধিকার কর্মীরা। পার্বত্য এলাকায় কাজ করা সাবেক সেনা কর্মকর্তারা বলছেন, শুরুতে আদর্শের কথা বলে পাহাড়ে বসবাসরত সহজ-সরল মানুষদের বিভ্রান্ত করে দল গোছালেও এখন শুধু আর্থিক স্বার্থ এবং আধিপত্যের লড়াইয়ে মেতে উঠেছে পাহাড়ী সংগঠনগুলো।

এই ছবি মঙ্গলবার সকালের। চার ভাগে বিভক্ত পাহাড়ের আঞ্চলিক সংগঠন জেএসএস সংস্কারপন্থী গ্রুপের সদস্যরা বান্দরবানের বাগমারা এলাকার একট বাড়িতে অবস্থান নিয়ে সকালের খাবারের আয়োজন করছিলেন। এসময় প্রতিপক্ষ শন্তু লারমা গ্রুপের সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে ব্রাশফায়ারে হত্যা করে ৬ জনকে।

এর আগে ২০১৮ সালে রাঙ্গামাটির খালিয়াঝুড়ি এলাকায় ইউপিডিএফ গণতান্ত্রীকের শীর্ষ নেতা তপন জ্যোতি চাকমাসহ ৭ জনকে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। এর কিছুদিন পর খাগড়াছড়ির স্বনির্ভর বাজারে ইউপিডিএফের মিছিলে গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয় ৪ জনকে। এছাড়া গেল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দিন বাঘাইছড়িতে হত্যা করা হয় ৪ নির্বাচন কর্মকর্তাসহ ৮ জনকে। প্রতিটি ঘটনায় একে অন্যের ওপর দায় চাপায়। এসব ঘটনার একটিরও বিচার হয়নি। তাই বন্ধ হচ্ছে না রক্তের হলি খেলা। বললেন এই মানবাধিকার কর্মী।

তবে পুলিশের দাবি মাঝে মধ্যে দুই একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া পার্বত্য এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখনো ভালো আছে। দীর্ঘদিন পার্বত্য অঞ্চলে কাজ করা সাবেক এই সেনা কর্মকর্তারা বলছেন, পাহাড়ী সংগঠনগুলোর মধ্যে শুরুতে আদর্শ থাকলেও এখন নেই। শুধু চাঁদাবাজির টাকা ভাগ বাটোয়ারা আর আধিপত্যের লড়াইয়ে ভ্রাতৃঘাতি সংঘাতে মেতেছে তারা। এটা বন্ধ করতে হলে পার্বত্য এলাকায় সেনা তৎপরতা বাড়ানোর বিকল্প নেই।

১৯৯৭ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি বা জেএসএসের সঙ্গে শান্তিচুক্তি করে সরকার। এই চুক্তির বিরোধীতা করে তখনই জন্ম নেই ইউপিডিএফ নামের আরেকটি সংগঠন। ক’দিন পর জেএসএস ভেঙ্গে এমএন লারমা বা জেএসএস সংস্কার আর ইউপিডিএফ বিভক্ত হয়ে গণতান্ত্রীক ইউপিডিএফ তৈরী হয়। এখন চারপক্ষই শসস্ত্র তৎপরতায় জড়িয়ে পড়েছে পার্বত্য এলাকায়। ফুটেজ-৩