কেন্দ্রে কেন্দ্রে সহিংসতা ও ভোটারদের বুথে ঢুকতে না দেয়াসহ এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়ার অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগের মধ্য দিয়ে শেষ হলো চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। সবচেয়ে বেশি সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে। দুই পক্ষের সংঘর্ষের কারণে লালখানবাজার ও পাহাড়তলীর তিনটি ভোটকেন্দ্রে কিছু সময়ের জন্য ভোটগ্রহণ স্থগিতও রাখে নির্বাচন কমিশন। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার পর ফের ভোটগ্রহণ শুরু হয় কেন্দ্রগুলোতে। তবে ভোট কারচুপির অভিযোগ এনে নির্বাচন বাতিলের দাবি জানিয়েছে বেশ কয়েকজন কাউন্সিলর প্রার্থী।

ঘড়ির কাটায় সকাল ১০টা। নগরীর লালখানবাজারের শহীদনগর সিটি কর্পোরেশন উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের দৃশ্য এটি। ভোটের জন্য জন্য ভোটারদের এমন আকুতি নজর কারে সবার।

বিক্ষোভ দেখানো এসব ভোটারদের দাবি আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী কবির আহমেদ মানিকের সমর্থক তারা। প্রতিপক্ষ আবু হাসনাত বেলালের কর্মীরা তাদের ঢুকতে দিচ্ছে না ভোটকেন্দ্রে। পুলিশের সহায়তা চেয়েও পাননি তারা।

একই চিত্র বকস কিন্ডার গার্টেন ভোটকেন্দ্রে, পুলিশ লাইনস স্কুল, আগ্রাবাদের পাঠানটুলি, আমবাগান, ঝাউতরা, পাহাড়তলীসহ অন্তত ১০ টি ভোটকেন্দ্রের। অনেক কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়ার অভিযোগ করেছেন বিভিন্ন প্রার্থীর এজেন্টরা।

পাল্টাপাল্টি অভিযোগ আছে কাউন্সিলর প্রার্থীদেরও।

তবে পুলিশের দাবি বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ণই আছে নির্বাচনী পরিবেশ।

নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে দু’দিন আগে ৪১৬ টি ভোটকেন্দ্রকে ঝুঁকিপুর্ণ চিহ্নিত করে বাড়তি সতর্কতার কথা বলা হয়েছিলো। কিন্তু বাস্তবচিত্র ছিলো ভিন্ন। এদিকে সকালের দিকে কেন্দ্রেগুলোতে ভোটার উপস্থিতি থাকলেও কেন্দ্রে কেন্দ্রে সহিংসতার খবর ছড়িয়ে পরার পর দুপুরের আগে থেকেই ভোটার কমতে শুরু করে কেন্দ্রগুলোতে।