ধর্ষণের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদন্ড হওয়ায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ
- আপডেট সময় : ০৮:৫৯:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ অক্টোবর ২০২০
- / ১৫০৬ বার পড়া হয়েছে
ধর্ষণের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদন্ড হওয়ায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ। এতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন হবে বলে মনে করছেন অনেকে। তবে, এই আইনে নিরপরাধ ব্যক্তিও অনেক সময় বলি হতে পারে বলে শংকা জানিয়েছেন কেউ কেউ। তারা বলছেন, ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন বন্ধে সমাজ ও পুরুষের দৃষ্টিভঙ্গি বদলানোর পাশাপাশি নারীর নিরাপত্তাও বাড়াতে হবে। এজন্য সামাজিক সচেতনতা দরকার।
ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনের পর, অধ্যাদেশ আকারে জারি করেছে রাষ্ট্রপতি। এ নিয়ে ময়মনসিংহের আইনজীবী, মানবাধিকার কর্মী ও নারী নেত্রীরা মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। আইনের যথাযথ প্রয়োগের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে বলে মনে করেন তারা।
নারী নেত্রীরা বলছেন, শুধু আইন করেই ধর্ষণ রোধ করা যাবে না।
দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে সামাজিক সচেতনতা বাড়ানোর আহ্বান জানান তারা। মানবাধিকার কর্মীরা মনে করেন, এটি কার্যকর হলে ধর্ষিতাকে হত্যা করার প্রবণতা বাড়তে পারে।
আইন সংশোধনকে সাধুবাদ জানিয়েছে জামালপুরের সুশীল সমাজ ও সাধারণ মানুষ। তবে, বিনা দোষে কেউ যাতে মামলার শিকার না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখার আহ্বান জানান তারা।
সন্তোষ জানিয়েছেন যশোরের নারী অধিকার কর্মী, আইনজীবী ও সাধারণ মানুষ। তবে, আইনের যথাযথ প্রয়োগ না হলে আগের মতোই ধর্ষকরা পার পেয়ে যাবে বলে শংকা জানান, তারা।
পর্ণো সাইটের সহজলভ্যতা ধর্ষণকে উৎসাহিত করছে। তাই, এগুলো ফ সাধারণ মানুষ।সরকারের এ উদ্যোগকে যুগান্তকারী বলে মনে করেন, কুমিল্লার এই মানবাধিকার কর্মী।
স্বস্তি প্রকাশ করছে দিনাজপুরের সচেতন মহল। তবে, এর সুফল পেতে সমাজের সব স্তরের মানুষকে সোচ্চার হতে হবে। সেই সাথে রাজনৈতিক প্রশ্রয় বন্ধ করতে হবে বলে মত দেন তারা।
এতে করে ধর্ষণের মতো অপরাধ কমে আসবে বলে মনে করেন, কুড়িগ্রামের আইনজীবীরা।আইনের সুফল পেতে পরিবার, সমাজ ও রাজনৈতিক দলগুলোকেও ভুমিকা রাখতে হবে বলে মনে করেন তিনি।