০১:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪

দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে মো. সাহাবুদ্দিনের শপথগ্রহণ

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০২:১২:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৩
  • / ১৬৯৫ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন। সকালে বঙ্গভবনের দরবার হলে আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানে তিনি শপথ নেন। নতুন রাষ্ট্রপতিকে শপথ বাক্য পাঠ করান জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, প্রধান বিচারপতিসহ বিশিষ্টজনরা। পরে বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতা শেষে বঙ্গভবন থেকে বিদায় দেয়া হয় রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ আবদুল হামিদকে। এর আগে শপথ গ্রহণের পর বিদায়ী রাষ্ট্রপতি বলেন, এখন থেকে একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে চলাফেরা করতে পারবেন, এটাই সবেচেয়ে বড় আনন্দ।

নতুন রাষ্ট্রপতির শপথ অনুষ্ঠান। তাইতো সাজসাজ রব পুরো বঙ্গভবন ও শপথের মূল আনুষ্ঠানিকতাস্থল ঐতিহাসিক দরবার হলে। সকাল সাড়ে দশটায় ছোটবোন শেখ রেহানাকে সঙ্গে নিয়ে শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বর্ণাঢ্য আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, মন্ত্রীপরিষদের সদস্য, সংসদ সদস্য, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, রাজনৈতিক দলের নেতা, তিন বাহিনীর প্রধান, কূটনীতিক, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক এবং বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা। উপস্থিত ছিলেন দুই রাষ্ট্রপতির পরিবারের সদস্যরাও।

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধরী শপথ মঞ্চে উপস্থিতির পর, সকাল ১০টা ৫৪ মিনিটে শুরু হয় আনুষ্ঠানিকতা। জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের পর কোরআন তেলাওয়াত করা হয়। এরপর মন্ত্রী পরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেনের পরিচালনায় বেলা ১১টায় নতুন রাষ্ট্রপতিকে শপথ পাঠ করান জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী।

শপথ শেষে, আনুষ্ঠানিকভাবে চেয়ার বদল করেন নতুন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও বিদায়ী রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। এরপর শপথ নথিতে স্বাক্ষর করেন নতুন রাষ্ট্রপতি। আর এরমধ্য দিয়ে শেষ হয় শপথের মূল আনুষ্ঠানিকতা। শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে নতুন রাষ্ট্রপতিকে শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি তাঁর কাছে প্রত্যাশার কথা তুলে ধরেন রাজনীতিবিদ ও বিশিষ্টজনরা।

বঙ্গভবন ছাড়ার আগে বিদায়ী রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেন, এরমধ্য দিয়ে বন্দি জীবন শেষে স্বাধীনভাবে চলার সুযোগ হবে। টানা দু’মেয়াদে ১০ বছর ৪১ দিন রাষ্ট্রপতি হিসেবে অধিষ্ঠিত ছিলেন মো. আবদুল হামিদ। তাইতো দেশের ৫২ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো রাষ্ট্রপ্রধানকে রাষ্ট্রীয় বিদায় জানালো বঙ্গভবন। বিদায়ী রাষ্ট্রপতিকে গার্ড অব অনার প্রদান করে প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের একটি চৌকস দল।

পরে দুই দলে বিভক্ত হয়ে গাড়ির দুই পাশে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়ান বঙ্গভবনের কর্মকর্তারা। বঙ্গভবনের প্রধান ফটক থেকে বাইরের গেটের ফোয়ারা পর্যন্ত খোলা জিপে ফুলের পাপড়ি ছুঁড়ে সদ্য বিদায়ী রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদকে বিদায় জানান তারা। বেলা পৌনে ২টার দিকে শেষবারের মতো মোটর শোভাযাত্রার মাধ্যমে নিকুঞ্জের বাসভবনের উদ্দেশে বঙ্গভবন ত্যাগ করেন, বিদায়ী রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে মো. সাহাবুদ্দিনের শপথগ্রহণ

আপডেট সময় : ০২:১২:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৩

দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন। সকালে বঙ্গভবনের দরবার হলে আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানে তিনি শপথ নেন। নতুন রাষ্ট্রপতিকে শপথ বাক্য পাঠ করান জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, প্রধান বিচারপতিসহ বিশিষ্টজনরা। পরে বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতা শেষে বঙ্গভবন থেকে বিদায় দেয়া হয় রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ আবদুল হামিদকে। এর আগে শপথ গ্রহণের পর বিদায়ী রাষ্ট্রপতি বলেন, এখন থেকে একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে চলাফেরা করতে পারবেন, এটাই সবেচেয়ে বড় আনন্দ।

নতুন রাষ্ট্রপতির শপথ অনুষ্ঠান। তাইতো সাজসাজ রব পুরো বঙ্গভবন ও শপথের মূল আনুষ্ঠানিকতাস্থল ঐতিহাসিক দরবার হলে। সকাল সাড়ে দশটায় ছোটবোন শেখ রেহানাকে সঙ্গে নিয়ে শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বর্ণাঢ্য আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, মন্ত্রীপরিষদের সদস্য, সংসদ সদস্য, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, রাজনৈতিক দলের নেতা, তিন বাহিনীর প্রধান, কূটনীতিক, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক এবং বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা। উপস্থিত ছিলেন দুই রাষ্ট্রপতির পরিবারের সদস্যরাও।

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধরী শপথ মঞ্চে উপস্থিতির পর, সকাল ১০টা ৫৪ মিনিটে শুরু হয় আনুষ্ঠানিকতা। জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের পর কোরআন তেলাওয়াত করা হয়। এরপর মন্ত্রী পরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেনের পরিচালনায় বেলা ১১টায় নতুন রাষ্ট্রপতিকে শপথ পাঠ করান জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী।

শপথ শেষে, আনুষ্ঠানিকভাবে চেয়ার বদল করেন নতুন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও বিদায়ী রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। এরপর শপথ নথিতে স্বাক্ষর করেন নতুন রাষ্ট্রপতি। আর এরমধ্য দিয়ে শেষ হয় শপথের মূল আনুষ্ঠানিকতা। শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে নতুন রাষ্ট্রপতিকে শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি তাঁর কাছে প্রত্যাশার কথা তুলে ধরেন রাজনীতিবিদ ও বিশিষ্টজনরা।

বঙ্গভবন ছাড়ার আগে বিদায়ী রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেন, এরমধ্য দিয়ে বন্দি জীবন শেষে স্বাধীনভাবে চলার সুযোগ হবে। টানা দু’মেয়াদে ১০ বছর ৪১ দিন রাষ্ট্রপতি হিসেবে অধিষ্ঠিত ছিলেন মো. আবদুল হামিদ। তাইতো দেশের ৫২ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো রাষ্ট্রপ্রধানকে রাষ্ট্রীয় বিদায় জানালো বঙ্গভবন। বিদায়ী রাষ্ট্রপতিকে গার্ড অব অনার প্রদান করে প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের একটি চৌকস দল।

পরে দুই দলে বিভক্ত হয়ে গাড়ির দুই পাশে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়ান বঙ্গভবনের কর্মকর্তারা। বঙ্গভবনের প্রধান ফটক থেকে বাইরের গেটের ফোয়ারা পর্যন্ত খোলা জিপে ফুলের পাপড়ি ছুঁড়ে সদ্য বিদায়ী রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদকে বিদায় জানান তারা। বেলা পৌনে ২টার দিকে শেষবারের মতো মোটর শোভাযাত্রার মাধ্যমে নিকুঞ্জের বাসভবনের উদ্দেশে বঙ্গভবন ত্যাগ করেন, বিদায়ী রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।