০৫:০৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

দেশের চাহিদা না মিটিয়ে সয়ামিল ভারতে রপ্তানী করায় ব্যবসায়ীদের উদ্বেগ

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০৮:০৭:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • / ১৫১১ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

পোল্ট্রি ফিড তৈরির জন্য মোট ৯ ধরনের কাঁচামাল প্রয়োজন। যার মধ্যে সয়ামিল অন্যতম। এই সয়ামিলের কাঁচামাল আমদানির উপর নির্ভরশীল। করোনা মহামারীর মধ্যে অন্যান্য শিল্পের সাথে দেশের পোল্ট্রি শিল্পও বিপর্যস্ত। এমন পরিস্থিতিতে যখন দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে, তখন কিছু কোম্পানি বিদেশে রপ্তানি করছে পোল্ট্রি ও ফিশ ফিডের অন্যতম উপাদান সয়ামিল। এর ফলে দেশীয় ফিড মিলগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশংকা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

ভোজ্যতেলের পাশাপাশি পোল্ট্রি ফিশ খাদ্যে ব্যবহৃত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ কাঁচামাল হলো সয়াবিন মিল। যার অধিকাংশই আমদানি নির্ভর। দেশীয় সয়াবিন তেল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে মোট চাহিদার মাত্র ৫০ শতাংশ সয়াবিন পাওয়া গেলেও বাকী ৫০ শতাংশই বিদেশ থেকে আমদানী করা হয়। কিন্তু দেশের চাহিদা শতভাগ না ‍মিটিয়ে পোল্ট্রি শিল্পের গুরুত্বপূর্ণ এই উপাদানটি ভারতে রপ্তানি করছে বেসরকারী কোম্পানি সিটি গ্রুপ এবং মেঘনা গ্রুপ। সম্প্রতি ভারতে পাঠানো একটি ট্রাকের সামনে থাকা ব্যানারে দেখা যায়, বেনিফিট ইন্ডিয়ান লাইভ স্টোক ফার্মার্সে সয়াবিন মিল রপ্তানী করেছে মেঘনা গ্রুপ।

দেশের চাহিদা পূরণ না করে কেন রপ্তানি করা হচ্ছে? জানতে চাইলে মেঘনা গ্রুপের কর্মকর্তা মুঠোফোনে ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, দেশে সয়াবিন মিলের কোনো সংকট নেই।

দেশের চাহিদা পূরণ না করে অন্যদেশে সয়াবিন মিল রপ্তানী করায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ফিড ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ।

ভারতে রপ্তানীর কারণে দেশের বাজারে প্রতিদিনই বাড়ছে সয়াবিন মিলের দাম । ফলে দেশীয় মিলগুলো বন্ধের আশংকা করছেন তিনি।

এবিষয়ে জানতে চাইলে প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জানান, যারা কৃত্রিম সংকট তৈরী করে-তারাই অতি মুনাফার আশায় এখন রপ্তানি করছে।

দেশীয় স্বার্থ রক্ষায় সয়াবিন মিল রপ্তানী বন্ধে যথাযথ উদ্যোগ নেয়ার কথাও জানান তিনি।

উৎপাদনকারী দেশগুলোর চাহিদা মিটিয়ে বিশ্বে উৎপাদিত সয়াবিনের মাত্র ১৮ দশমিক ৬ শতাংশ বা ১ কোটি ২৬ লাখ টন তেল আসে আন্তর্জাতিক বাজারে। সয়াবিন তেল আমদানিকারক দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান তৃতীয়। আর সবচেয়ে বেশি আমদানি করে ভারত।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

দেশের চাহিদা না মিটিয়ে সয়ামিল ভারতে রপ্তানী করায় ব্যবসায়ীদের উদ্বেগ

আপডেট সময় : ০৮:০৭:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২১

পোল্ট্রি ফিড তৈরির জন্য মোট ৯ ধরনের কাঁচামাল প্রয়োজন। যার মধ্যে সয়ামিল অন্যতম। এই সয়ামিলের কাঁচামাল আমদানির উপর নির্ভরশীল। করোনা মহামারীর মধ্যে অন্যান্য শিল্পের সাথে দেশের পোল্ট্রি শিল্পও বিপর্যস্ত। এমন পরিস্থিতিতে যখন দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে, তখন কিছু কোম্পানি বিদেশে রপ্তানি করছে পোল্ট্রি ও ফিশ ফিডের অন্যতম উপাদান সয়ামিল। এর ফলে দেশীয় ফিড মিলগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশংকা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

ভোজ্যতেলের পাশাপাশি পোল্ট্রি ফিশ খাদ্যে ব্যবহৃত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ কাঁচামাল হলো সয়াবিন মিল। যার অধিকাংশই আমদানি নির্ভর। দেশীয় সয়াবিন তেল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে মোট চাহিদার মাত্র ৫০ শতাংশ সয়াবিন পাওয়া গেলেও বাকী ৫০ শতাংশই বিদেশ থেকে আমদানী করা হয়। কিন্তু দেশের চাহিদা শতভাগ না ‍মিটিয়ে পোল্ট্রি শিল্পের গুরুত্বপূর্ণ এই উপাদানটি ভারতে রপ্তানি করছে বেসরকারী কোম্পানি সিটি গ্রুপ এবং মেঘনা গ্রুপ। সম্প্রতি ভারতে পাঠানো একটি ট্রাকের সামনে থাকা ব্যানারে দেখা যায়, বেনিফিট ইন্ডিয়ান লাইভ স্টোক ফার্মার্সে সয়াবিন মিল রপ্তানী করেছে মেঘনা গ্রুপ।

দেশের চাহিদা পূরণ না করে কেন রপ্তানি করা হচ্ছে? জানতে চাইলে মেঘনা গ্রুপের কর্মকর্তা মুঠোফোনে ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, দেশে সয়াবিন মিলের কোনো সংকট নেই।

দেশের চাহিদা পূরণ না করে অন্যদেশে সয়াবিন মিল রপ্তানী করায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ফিড ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ।

ভারতে রপ্তানীর কারণে দেশের বাজারে প্রতিদিনই বাড়ছে সয়াবিন মিলের দাম । ফলে দেশীয় মিলগুলো বন্ধের আশংকা করছেন তিনি।

এবিষয়ে জানতে চাইলে প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জানান, যারা কৃত্রিম সংকট তৈরী করে-তারাই অতি মুনাফার আশায় এখন রপ্তানি করছে।

দেশীয় স্বার্থ রক্ষায় সয়াবিন মিল রপ্তানী বন্ধে যথাযথ উদ্যোগ নেয়ার কথাও জানান তিনি।

উৎপাদনকারী দেশগুলোর চাহিদা মিটিয়ে বিশ্বে উৎপাদিত সয়াবিনের মাত্র ১৮ দশমিক ৬ শতাংশ বা ১ কোটি ২৬ লাখ টন তেল আসে আন্তর্জাতিক বাজারে। সয়াবিন তেল আমদানিকারক দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান তৃতীয়। আর সবচেয়ে বেশি আমদানি করে ভারত।