দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনায় দেশের এভিয়েশন খাতকে এগিয়ে নিতে বিমানে উন্নত যাত্রীসেবা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উন্নয়নের বরাদ্দ কেউ দুর্নীতি করে নিজেদের ভাগ্য গড়তে ব্যবহার করলে, তাকে ছাড় দেয়া হবে না বলেও হুশিয়ারি দেন তিনি। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি যাত্রীদের আন্তর্জাতিক মানের সেবা দিতে নির্মিত হচ্ছে তিন তলা তৃতীয় টার্মিনাল। বছরে ২ কোটি যাত্রী চলাচল করতে সক্ষম এ টার্মিনালে ২৪টি বোডিং ব্রিজের ব্যবস্থা থাকলেও প্রকল্পের প্রথম ধাপে চালু হবে ১২টি। ২১ হাজার ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এ টার্মিনালটি হবে সম্পূর্ণ অটোমেটেড প্রযুক্তির। জাপানি প্রতিষ্ঠান মিতসুবিশি, ফুজিটা ও কোরিয়ান কোম্পানি স্যামসাং টার্মিনাল ভবনের নির্মাণকাজ করবে। যা শেষ হতে সময় লাগবে ৪ বছর। সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন। এছাড়া নতুন দুটি বোয়িং ৭৮৭-৯ সিরিজের ড্রিমলাইনার ‘সোনার তরী’ ও ‘অচিন পাখি’র উদ্বোধন করেন তিনি। পাশাপাশি বিমানের মোবাইল অ্যাপসও উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।

এ সময়, দিকনির্দেশনা মূলক বক্তব্যে, বাংলাদেশকে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের সেতুবন্ধন হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয় জানান প্রধানমন্ত্রী। বিমানে যাত্রীসেবা বাড়ানোর তাগিদ দিয়ে বিমানবন্দরে যাত্রী হয়রানি না করার অনুরোধ জানান সরকার প্রধান। নতুন উড়োজাহাজের রক্ষণাবেক্ষণে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে, বিমানবন্দরে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দেন শেখ হাসিনা। দেশের অভ্যন্তরীণ রুটের আরো ৩ টা বিমান আনা হবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।