০১:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪

দেশের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে বন্যা পানি আরো কমেছে

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০৬:৫৪:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ অগাস্ট ২০২০
  • / ১৫৪৩ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

দেশের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে বন্যা পানি আরো কমেছে। বিভিন্ন নদ-নদীর পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে কিছু-কিছু এলাকায় নতুন করে দেখা দিয়েছে নদী-ভাঙ্গন। অন্যদিকে, দুর্গত এলাকায় খাদ্য সংকটে পরেছে বন্যার্তরা।

কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি বিপদসীমার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরও উন্নতি হয়েছে। চরাঞ্চলের ঘর-বাড়ি থেকে নেমে গেছে বন্যার পানি। তবে নদ-নদীর তীরবর্তী ও নিম্নাঞ্চলের ক্ষতিগ্রস্ত ঘর-বাড়িতে এখনও ফিরতে পারেননি বাঁধে ও পাকা সড়কে আশ্রয় নেয়া অনেক পরিবার।বন্যা দুর্গত চরাঞ্চলগুলোতে কোন কাজ না থাকায় খাদ্য সংকটে পড়েছেন।

মানিকগঞ্জের যমুনা নদীর পানি শিবালয়ের আরিচা পয়েন্টে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৩ সেন্টিমিটার কমলেও বিপদসীমার ৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে জেলার অভ্যন্তরীণ নদ নদীর পানি কমতে শুরু করলেও দুর্ভোগ কমেনি।

পদ্মা নদীতে পানি কমতে থাকায় মাদারীপুরের শিবচরের চরাঞ্চলের নদী ভাঙ্গনের ব্যাপকতা বেড়েছে। ৫ শতাধিক ঘরবাড়ি কোনমতে অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়েছে।

পাবনায় গত ২৪ ঘন্টায় যমুনা নদীর পানি ১৪ সেন্টিমিটার কমে নগরবাড়ি পয়েন্টে বিপদ সীমার ৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।আর পদ্মা নদীর পানি পাকশী হার্ডিঞ্জ ব্রীজ পয়েন্টে বিপদ সীমার ৯৩ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে পানি বন্দি রয়েছে কয়েক হাজার মানুষ।

গোপালগঞ্জে মধুমতি, কুমার নদ, শৈলদহ, বাঘিয়ারকুল, ঘাঘর নদী ও এমবিআর চ্যানেলের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় প্লাবিত হয়েছে আরো কয়েকটি নতুন এলাকা।এতে চার উপজেলার অন্তত ৩০টি গ্রাম ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দী রয়েছে কয়েক হাজার মানুষ।

গাজীপুরে তুরাগ ও বংশী নদীর পানি ধীরগতিতে কমায় দুর্ভোগে পড়েছে বন্যা কবলিত এলাকার লোকজন।কালিয়াকৈর উপজেলার ১৮২টি গ্রাম এখনো বন্যা কবলিত।

নেত্রকোনার খালিয়াজুরী পয়েন্টে ধনু নদীর পানি করে এখনো বিপদসীমার ৪৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে উপজেলার অনেক মানুষ এখনও পানিবন্দি রয়েছে।

ঢাকার সাভার ও ধামরাইয়ে বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে। তবে এখনো পর্যন্ত এ অঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকা তলিয়ে রয়েছে ।সাভার পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডসহ উপজেলার ভাকুর্তা, কাউন্দিয়া, বনগাঁও, তেতুঁলঝোড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামসহ ধামরাইয়ের অধিকাংশ এলাকা এখনো বন্যার পানিতে তলিয়ে আছে।

এদিকে, যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে কমতে থাকায় জেলার বন্যা পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হয়েছে।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

দেশের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে বন্যা পানি আরো কমেছে

আপডেট সময় : ০৬:৫৪:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ অগাস্ট ২০২০

দেশের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে বন্যা পানি আরো কমেছে। বিভিন্ন নদ-নদীর পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে কিছু-কিছু এলাকায় নতুন করে দেখা দিয়েছে নদী-ভাঙ্গন। অন্যদিকে, দুর্গত এলাকায় খাদ্য সংকটে পরেছে বন্যার্তরা।

কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি বিপদসীমার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরও উন্নতি হয়েছে। চরাঞ্চলের ঘর-বাড়ি থেকে নেমে গেছে বন্যার পানি। তবে নদ-নদীর তীরবর্তী ও নিম্নাঞ্চলের ক্ষতিগ্রস্ত ঘর-বাড়িতে এখনও ফিরতে পারেননি বাঁধে ও পাকা সড়কে আশ্রয় নেয়া অনেক পরিবার।বন্যা দুর্গত চরাঞ্চলগুলোতে কোন কাজ না থাকায় খাদ্য সংকটে পড়েছেন।

মানিকগঞ্জের যমুনা নদীর পানি শিবালয়ের আরিচা পয়েন্টে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৩ সেন্টিমিটার কমলেও বিপদসীমার ৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে জেলার অভ্যন্তরীণ নদ নদীর পানি কমতে শুরু করলেও দুর্ভোগ কমেনি।

পদ্মা নদীতে পানি কমতে থাকায় মাদারীপুরের শিবচরের চরাঞ্চলের নদী ভাঙ্গনের ব্যাপকতা বেড়েছে। ৫ শতাধিক ঘরবাড়ি কোনমতে অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়েছে।

পাবনায় গত ২৪ ঘন্টায় যমুনা নদীর পানি ১৪ সেন্টিমিটার কমে নগরবাড়ি পয়েন্টে বিপদ সীমার ৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।আর পদ্মা নদীর পানি পাকশী হার্ডিঞ্জ ব্রীজ পয়েন্টে বিপদ সীমার ৯৩ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে পানি বন্দি রয়েছে কয়েক হাজার মানুষ।

গোপালগঞ্জে মধুমতি, কুমার নদ, শৈলদহ, বাঘিয়ারকুল, ঘাঘর নদী ও এমবিআর চ্যানেলের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় প্লাবিত হয়েছে আরো কয়েকটি নতুন এলাকা।এতে চার উপজেলার অন্তত ৩০টি গ্রাম ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দী রয়েছে কয়েক হাজার মানুষ।

গাজীপুরে তুরাগ ও বংশী নদীর পানি ধীরগতিতে কমায় দুর্ভোগে পড়েছে বন্যা কবলিত এলাকার লোকজন।কালিয়াকৈর উপজেলার ১৮২টি গ্রাম এখনো বন্যা কবলিত।

নেত্রকোনার খালিয়াজুরী পয়েন্টে ধনু নদীর পানি করে এখনো বিপদসীমার ৪৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে উপজেলার অনেক মানুষ এখনও পানিবন্দি রয়েছে।

ঢাকার সাভার ও ধামরাইয়ে বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে। তবে এখনো পর্যন্ত এ অঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকা তলিয়ে রয়েছে ।সাভার পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডসহ উপজেলার ভাকুর্তা, কাউন্দিয়া, বনগাঁও, তেতুঁলঝোড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামসহ ধামরাইয়ের অধিকাংশ এলাকা এখনো বন্যার পানিতে তলিয়ে আছে।

এদিকে, যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে কমতে থাকায় জেলার বন্যা পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হয়েছে।