দীর্ঘ ৬০ বছরেও ড্রেজিং করা হয়নি রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদ
- আপডেট সময় : ০২:০৬:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ জুন ২০২১
- / ১৫০৮ বার পড়া হয়েছে
দীর্ঘ ৬০ বছরেও ড্রেজিং করা হয়নি রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদ। পলি জমে তলদেশ ভরাট হয়ে গেছে। দূষণ-দখলের কবলে পড়ে হ্রদটি ছোট হয়ে যাচ্ছে। ড্রেজিংসহ পরিবেশ সংরক্ষণ করে হ্রদটি রক্ষার উদ্যোগ নেয়ার দাবি উঠেছে।মৎস্য উৎপাদন ও নৌ যোগাযোগে সংকট বাড়লে পার্বত্য অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করে সংশ্লিষ্টরা।
১৯৬০ সালে রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায় কর্ণফুলী নদীর প্রবাহে বাঁধ দিলে সৃষ্টি হয় এই হ্রদ। এ হ্রদে মিশে গেছে মাইনি, চেংগি, কাচালং, রাইংক্ষংসহ ছ’টি নদী। দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম এ হ্রদটির আয়তন ৭০৫ বর্গ কিলোমিটার। পানি বিদ্যুৎ প্রকল্পকে প্রধান লক্ষ্য ধরে এ হ্রদ সৃষ্টি করা হয়।এর অন্যতম লক্ষ্য ছিলো জেলার ছয় উপজেলায় নৌ-যোগাযোগ স্থাপন, দেশীয় মাছের ভান্ডার তৈরি ও বনজ সম্পদ আহরণ। কিন্তু, দীর্ঘ সময়ে পলি জমে তলদেশ ভরাট হয়ে যাওয়ায় হ্রদের নাব্য কমে গেছে। শুষ্ক মৌসুমে অসংখ্য ডুবোচর জেগে উঠায় প্রায় ছ’মাস নৌ যোগাযোগ বন্ধ থাকে।
এ দূরাবস্থা চলতে থাকলে হ্রদটি ক্রমান্বয়ে পরিত্যক্ত জলাশয়ে পরিণত হবে। হ্রদের উপর নির্ভরশীল পাহাড়ের অর্থনীতিতে ধস নামার আশংকা করছে সচেতন মহল। কাপ্তাই হ্রদকে ঘিরে পর্যটন সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে সরকারের রাজস্ব বাড়ানো সম্ভব বলে মনে করেন, সংশ্লিষ্ট