০৬:২৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৬ মে ২০২৪

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানী এমাজউদ্দীন আহমদ আর নেই

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০৭:১৭:৪৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ জুলাই ২০২০
  • / ১৫১৬ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানী এমাজউদ্দীন আহমদ আর নেই। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। শুক্রবার রাজধানীর বেসরকারি একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি । তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর। বেশ কিছুদিন ধরে তিনি বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন। তার মৃত্যুর খবরে ছুটে আসেন তার ছাত্র,সহকর্মী আত্মীয়স্বজনসহ রাজনীতিক নেতারা।আসরের নামাজের পর তার দীর্ঘ দিনের কর্মস্থল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয় জানাজা শেষে মিরপুরের বুদ্ধিজিবী করস্থানে মায়ের কররের পাশে চির নিদ্রায় শায়িত করা হয়।

প্রফেসর ড. এমাজউদ্দীন আহমদ, ১৯৩২ সালের ১৫ ডিসেম্বর তৎকালীন মালদাহ জেলার চাঁপাইনবাবগঞ্জ অংশে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি শিবগঞ্জের আদিনা সরকারি ফজলুল হক কলেজ ও রাজশাহী কলেজের প্রাক্তণ ছাত্র। মহান ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে, ১৯৫২ এর পরবর্তী সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ছাত্রনেতা হিসেবে অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ কারাবরণও করেন।

১৯৯২ সালের ১ নভেম্বর থেকে ৩১ আগস্ট ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। গবেষণা ও সৃজনশীল লেখার জন্যে তিনি দেশ ও বিদেশে সম্মানিত হয়েছেন। শিক্ষাক্ষেত্রে অবদানের জন্য ১৯৯২ সালে তাকে দেয়া হয় একুশে পদক।জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের বহু পুরস্কার-সম্মাননা অর্জন করেন তিনি। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে হঠাৎ পেটের অসুখ দেখা দিলে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হয় আর সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকালে মারা যান তিনি।

পরে তার মরদেহ নেয়া হয় রাজধানীর কাঁটাবনে নিজ বাসায়। সেখানে ছুটে আসেন তার ছাত্র,সহকর্মী আত্মীয়স্বজনসহ রাজনীতিক নেতারা। এমাজউদ্দীন আহমদ বিএনপির অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন এবং দলটির নীতি-নির্ধারণে তার গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ছিল বলে ধারণা করা হতো। তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। জুমার পর বাসা সংলগ্ন মসজিদে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়, পরে তার দীর্ঘ দিনের কর্মস্থল ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় জানান শেষে মিরপুরের বুদ্ধিজিবী করস্থানে মায়ের কররের পাশে চির নিদ্রায় শায়িত করা হয়।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানী এমাজউদ্দীন আহমদ আর নেই

আপডেট সময় : ০৭:১৭:৪৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ জুলাই ২০২০

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানী এমাজউদ্দীন আহমদ আর নেই। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। শুক্রবার রাজধানীর বেসরকারি একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি । তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর। বেশ কিছুদিন ধরে তিনি বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন। তার মৃত্যুর খবরে ছুটে আসেন তার ছাত্র,সহকর্মী আত্মীয়স্বজনসহ রাজনীতিক নেতারা।আসরের নামাজের পর তার দীর্ঘ দিনের কর্মস্থল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয় জানাজা শেষে মিরপুরের বুদ্ধিজিবী করস্থানে মায়ের কররের পাশে চির নিদ্রায় শায়িত করা হয়।

প্রফেসর ড. এমাজউদ্দীন আহমদ, ১৯৩২ সালের ১৫ ডিসেম্বর তৎকালীন মালদাহ জেলার চাঁপাইনবাবগঞ্জ অংশে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি শিবগঞ্জের আদিনা সরকারি ফজলুল হক কলেজ ও রাজশাহী কলেজের প্রাক্তণ ছাত্র। মহান ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে, ১৯৫২ এর পরবর্তী সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ছাত্রনেতা হিসেবে অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ কারাবরণও করেন।

১৯৯২ সালের ১ নভেম্বর থেকে ৩১ আগস্ট ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। গবেষণা ও সৃজনশীল লেখার জন্যে তিনি দেশ ও বিদেশে সম্মানিত হয়েছেন। শিক্ষাক্ষেত্রে অবদানের জন্য ১৯৯২ সালে তাকে দেয়া হয় একুশে পদক।জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের বহু পুরস্কার-সম্মাননা অর্জন করেন তিনি। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে হঠাৎ পেটের অসুখ দেখা দিলে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হয় আর সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকালে মারা যান তিনি।

পরে তার মরদেহ নেয়া হয় রাজধানীর কাঁটাবনে নিজ বাসায়। সেখানে ছুটে আসেন তার ছাত্র,সহকর্মী আত্মীয়স্বজনসহ রাজনীতিক নেতারা। এমাজউদ্দীন আহমদ বিএনপির অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন এবং দলটির নীতি-নির্ধারণে তার গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ছিল বলে ধারণা করা হতো। তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। জুমার পর বাসা সংলগ্ন মসজিদে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়, পরে তার দীর্ঘ দিনের কর্মস্থল ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় জানান শেষে মিরপুরের বুদ্ধিজিবী করস্থানে মায়ের কররের পাশে চির নিদ্রায় শায়িত করা হয়।