ঢাকা ওয়াসায় ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবহারের পরিমাণ কমিয়ে ৩০ শতাংশ করা হবে
- আপডেট সময় : ০৯:১৮:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২১
- / ১৫০৬ বার পড়া হয়েছে
জাতিসংঘের এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ২০৩০ সালের মধ্যে ঢাকা ওয়াসায় ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবহারের পরিমাণ কমিয়ে ৩০ শতাংশ করা হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। দুপুরে সাভারের ভাকুর্তা ইউনিয়নের তেতুলঝোরায় ঢাকা ওয়াসার ওয়েলফিন্ড নির্মাণ প্রকল্প পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের মন্ত্রী জানান, পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে ওয়েলফিল্ড প্লান্টে পানি তোলার ফলে ভূগর্ভস্থ স্তর নিচে নেমে যাওয়ার আশঙ্কা এখন অনেক কম। এসময় ঢাকা ওয়াসার এমডি তাকসিম এ খান বলেন, এ প্রকল্পের কারণে কিছু এলাকায় সমস্যা দেখা দিলেও ওয়াসার ব্যবস্থাপনায় তার সমাধান হয়েছে।
রাজধানীর মিরপুর এলাকার প্রায় ২৫ লাখ মানুষের পানি সংকট সমাধানে দৈনিক ১৫ কোটি লিটার পানি সরবরাহের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ২০১২ সালে সাভারের তেঁতুলঝোরা ও ভাকুর্তা থেকে ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলন প্রকল্প নেয় ঢাকা ওয়াসা। এর আওতায় ৫৭৩ কোটি টাকা ব্যয়ে সাভার ও কেরানীগঞ্জে ৪৬টি পাম্প স্টেশন, দুটি আয়রন অপসারণ প্ল্যান্ট, একটি ভূ-উপরিস্থ জলাধার, অফিস ভবন এবং ৪২ কিলোমিটার পানি সরবরাহ লাইন স্থাপন করা হয়। ১০১৯ সালে প্রকল্পের কাজ শেষ হবার পর, সেখান থেকে পুরো মাত্রায় পানি উত্তোলনের সাথে সাথেই আশপাশের এলাকায় তীব্র পানিসংকট দেখা দেয়। স্থানীয়রা জানান, আগের মতো নলকূপে পানি না ওঠায় মটর বসানোর পরও তা সমাধান হয়নি।
এমন পরিস্থিতিতে ওয়েলফিন্ড নির্মাণ প্রকল্পের কাজ পরিদর্শনে আসেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম ও ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খানসহ সংশ্লিষ্টরা।
এ সময় ওয়াসার গভীর নলকূপের কারণে এসব এলাকার পানির স্তর নামেনি জানিয়ে, প্রকল্পের পর্যবেক্ষণ রিপোর্ট তুলে ধরেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী জানান, ওয়েলফিল্ড প্লান্টে পানি উত্তোলনের ফলে ভূগর্ভস্থ স্তর নিচে নেমে যাওযার আশঙ্কা করা হলেও দু’বছরের স্টাডি রিপোর্টে পানির স্তরে তেমন কোনো তারতম্য পাওয়া যায়নি।
রাজধানীবাসীর চাহিদা মেটাতে গিয়ে স্থানীয়রা যেন পানিসংকট বা কোনো বিড়ম্বনায় না পড়েন, সেদিকে নজর রাখতে ওয়াসার প্রতি নির্দেশনা দেন তাজুল ইসলাম।