ঝিনাইদহে সরকারি বরাদ্দে গৃহহীনদের বাড়ি নির্মাণে নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যে তা ধসে আহত হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। এতে চরম আতংকের মধ্যে আছে অসহায় পরিবারগুলো। কোনো প্রকার টেন্ডার বা আলোচনা ছাড়াই ইউএনও তার পিয়নকে দিয়ে কাজ করাচ্ছেন। এমন অভিযোগ করেছেন উপজেলা পরিষদের জনপ্রতিনিধিরা।

জেলার শৈলকুপা পৌর এলাকার হাবিবপুরে সরকারি বরাদ্দের আওতায় একটি ঘর পায় ভ্যানচালক আরব আলী। নির্মাণের সময় ঘরের দেয়াল ধসে আহত হয় এক শ্রমিক। অল্পের জন্য বেঁচে যায় আরব আলী ও তার স্ত্রী-সন্তান। নিম্নমানের রড-সিমেন্ট ব্যবহারের অভিযোগ করেছে তারা। একই প্রকল্পের সুবিধাভোগী আরেকজন অভিযোগ করেন, ঘর হস্তান্তরের আগেই খুঁটিগুলো নড়বড়ে হয়ে গেছে। অভিযোগ উঠায়, নিম্নমানের ইট-বালি রাতারাতি সরিয়ে ফেলা হয়েছে। উপজেলা চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, নিম্নমানের কাজ হওয়ায় সরকারের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে।

এ ব্যাপারে ক্যামেরার সামনে কোনো কথা বলতে রাজি হননি, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম। ২০১৯-২০ অর্থ বছরে আশ্রয়ন-দুই প্রকল্পের অধীনে উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন ও পৌরসভায় ৩৭টি ঘর নির্মাণে বরাদ্দ এসেছে ৪৪লাখ ৪০হাজার টাকা।