ঝালকাঠির আটঘরে প্রাচীন বাহন নৌকার হাটটি জমে ওঠেছে
- আপডেট সময় : ০৭:৪৮:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ জুন ২০২০
- / ১৫১২ বার পড়া হয়েছে
খাল-বিল আর নদী বেষ্টিত বরিশাল বিভাগের ঝালকাঠির আটঘরে প্রাচীন বাহন নৌকার হাটটি জমে ওঠেছে। নৌকার এই হাটে লাখ-লাখ টাকার কেনা-বেচা হলেও লাভের সিংহভাগ চলে যায় মধ্যস্বত্বভোগী পাইকারদের পকেটে। পুঁজির অভাবে কারিগররা একশ’ বছরেও তাদের ভাগ্য বদল করতে পারেনি। সরকার কারিগরদের জীবিকার বিষয়টি চিন্তা করে মৌসুমি ঋন ও অনুদানের ব্যবস্থা করবে সেটাই সংশ্লিষ্ঠ সবার প্রত্যাশা।
এখন বর্ষা মৌসুম। খাল-বিল আর নদ-নদী বেষ্টিত বরিশাল অঞ্চলে থৈ-থৈ পানি সবখানে। এ মৌসুমে পেয়ারা, আমড়া কিংবা মাছের ঘের সবখানেই নৌকা প্রধান বাহন। কেবল কৃষি কাজই নয়, এ অঞ্চলে অনেক এলাকা আছে, যেখানে এক বাড়ি থেকে আরেক বাড়ি যেতেও নৌকা ছাড়া ভাবাই যায় না। আবহমানকাল থেকেই এ অঞ্চলের গ্রামে গ্রামে নৌকা তৈরি হয়ে আসছে। এ অঞ্চলের মানুষের চাহিদা মেটাতে ঝালকাঠি ও পিরোজপুর জেলার সীমান্তবর্তী আটঘরে একশ বছরেও বেশি সময় ধরে নৌকায় হাট বসে আসছে। গ্রামের সাধারণ গাছ দিয়েই তৈরি হচ্ছে ছুঁই ছাড়া এসব ডিঙ্গি নৌকা । দু’হাজার থেকে পাঁচ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে প্রতিটি নৌকা। বর্ষার চার মাস এখানে প্রতি শুক্রবার নৌকার হাট বসে । আবহামানকাল থেকেই নান্দনিক এ জীবিকাটির সাথে ঝালকাঠি, পিরোজপুর ও বরিশাল জেলার হাজার হাজার মানুষ জড়িয়ে আছে । নৌকা তৈরি, মেরামত, হাটের খুচরা ও পাইকারী বিক্রেতা এবং সাধারণ ক্রেতার হাত ঘুরে প্রতি হাটে দেড়-দুই লাখ টাকার নৌকা বিক্রি হচ্ছে।
ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক জানালেন, করোনায় ক্ষতি গ্রস্থ নৌকা তৈরির কারিগরদের দারিদ্র্যতার কথা চিন্তা করে এ মৌসুমে তাদের সরকারীভাবে সাহায্য সহযোগিতা করা হবে।
দক্ষিনাঞ্চলের সবচে’ বড় এ নৌকার প্রতি হাটে লাখ-লাখ টাকার কেনা-বেচা হলেও লাভের সিংহভাগ চলে যায় মধ্যস্বত্বভোগী পাইকারদের পকেটে। পুঁজির অভাবে কারিগররা তাদের ভাগ্য বদল করতে পারেনি একশ বছরেও। তাই বর্ষার এ নান্দনিক জীবিকার বিষয়টি চিন্তা করে মৌসুমি ঋন ও অনুদানের ব্যবস্থা করে সরকার হাজার হাজার মানুষের পাশে এগিয়ে আসবে, সেটাই সংশ্লিষ্ঠ সবার প্রত্যাশা ।