বরিশাল, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা ও নড়াইলে জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে মাছের ঘেরসহ ফসলি জমি।

বরিশালে কীর্তনখোলা নদীর জোয়ারের পানি নগরীর অভ্যন্তরে প্রবেশ করেছে। এতে নগরীর পলাশপুর, মোহাম্মদপুর, রসুলপুর, ভাটিখানা, আমানতগঞ্জ, সদর রোড, প্যারারা রোড, আগরপুর রোডসহ বিভিন্ন এলাকা তলিয়ে গেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড দক্ষিনাঞ্চল জোনের প্রধান প্রকৌশলী মো হারুন-অর রশিদ জানান, বরিশাল বিভাগের ১২৫টি নদ-নদীর মধ্যে বেশীরভাগ নদ-নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে।

বাগেরহাটে গত ৪ দিনের টানা বৃষ্টির সাথে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। জেলা শহরের প্রধান বাজার, মোরেলগঞ্জ বাজারসহ বিভিন্ন বাজার ও সড়ক ডুবে গেছে। ভেসে গেছে কয়েক হাজার মৎস্য ঘের।

সাতক্ষীরার আশাশুনি ও শ্যামনগর উপজেলায় কপোতাক্ষ ও খোলপেটুয়া নদীর একাধিক স্থানে জরাজীর্ণ বেড়িবাঁধ ভেঙে কমপক্ষে ৫০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। নদীতে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩-৪ ফুট পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বিভিন্ন পয়েন্টে বেড়িবাঁধ ভেঙে লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এতে ভেসে গেছে হাজার হাজার বিঘা মৎস্য ঘের ও ফসলি জমি। আর পানিবন্দি হয়ে পড়েছে আশাশুনি উপজেলার প্রতাপ-নগর ও শ্রীউলা এবং শ্যামনগরের গাবুরা ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ।

এদিকে, নিম্নচাপের কারণে নড়াইলে অবিরাম বর্ষনে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। গত দুদিন ধরে বৃষ্টির মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় জরুরী প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছে না। এর ফলে শ্রমজীবি মানুষের দুর্ভোগ আরো বেড়ে গেছে।