জামালপুরে কর্মহীন অধিকাংশ শ্রমজীবী মানুষ
- আপডেট সময় : ০৩:৫৯:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ এপ্রিল ২০২০
- / ১৫০৪ বার পড়া হয়েছে
জামালপুরে করোনা আতঙ্ক আর প্রশাসনের অঘোষিত লকডাউনে কর্মহীন হয়ে পড়েছে অধিকাংশ শ্রমজীবী মানুষ। তবে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এসব কর্মহীন লোকের তালিকা তৈরি করে চাল-ডাল বিতরণ করলেও প্রয়োজনের তুলনায় তা খুবই অপ্রতুল বলে জানিয়েছেন তারা। ওদিকে, গাইবান্ধার বিভিন্ন প্রত্যন্ত গ্রামগুলোতে কর্মহীন হয়ে পড়েছে অসংখ্য পরিবার। করোনা আতঙ্কের প্রভাবে ঘর থেকে বের হতে পারছে না তারা। ফলে মানবেতর জীবন যাপন করছে এসব পরিবার। খাবারের অভাবে সরকারের সহযোগিতার দিকে চেয়ে আছে তারা।
জামালপুরের ৭ উপজেলায় বাস করা ২৬ লাখ লোকের অধিকাংশই শ্রমজীবী। দৈনিক রোজগারের পয়সায় চলে তাদের সংসার। তবে করোনা ভাইরাসের কারণে জেলা জুড়ে অঘোষিত লকডাউন আর দোকানপাটসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাওয়ায়, কাজের অভাবে শ্রমজীবী মানুষগুলো এখন কর্মহীন। নিত্যদিনের সংসার চালানোই দায় হয়ে পড়ায় সরকারি সহযোগিতা ছাড়া তাদের সামনে আর কোনো আশা নেই।
এদিকে সরকারের পক্ষ থেকে রিক্সাচালক, হিজরা, নরসুন্দর, মুদ্রণ শ্রমিক ও বাস-ট্রাকের হেলপারদের জন্য ১০ কেজি করে চাল ছাড়াও ডাল, লবন, সাবান বিতরণ করা হচ্ছে বলে জানালেন জেলা প্রশাসক।
সরকারী সহায়তাকে অপ্রতুল জানিয়ে শ্রমজীবী মানুষেরা পরিবারের সদস্য অনুযায়ী প্রয়োজনীয় খাদ্য সহায়তার দাবী জানিয়েছেন।
গাইবান্ধায় নিম্ন আয়ের মানুষের কাছে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার আতংকের চেয়েও বেশি ভয়াবহ- ক্ষুধার যন্ত্রণা। তাই পেটের দায়ে রাস্তায় কাজ খুঁজতে নামছেন তারা। কিন্তু কাজে নেয়ার মতোও এখন কেউ নেই। এসব নিম্ন আয়ের মানুষের দাবি, সরকার যেন তাদের তিন বেলার খাবারের ব্যবস্থা করেন। তাহলেই তারা ঘরে থাকতে পারবেন।
এদিকে, গ্রামগুলোতেও অসহায় মানুষদের সহায়তা দেয়া হচ্ছে বলে জানান জেলা প্রশাসক।
গাইবান্ধায় করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় ২৪ ঘন্টায় আরো ২৪০ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। যাদের বেশিরভাগই বিদেশ-ফেরত।