চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে শেষ মুহূর্তের প্রস্ততি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। কেন্দ্রে-কেন্দ্রে নির্বাচনী সরঞ্জাম পাঠানোসহ পুরো নগরী ঢেকে ফেলা হয়েছে ৪ স্তরের নিরাপত্তার চাদরে। অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি এড়াতে ২৫ প্লাটুন বিজিবির সঙ্গে মাঠে নেমেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় ১০ হাজার সদস্য। রিটার্নিং কর্মকর্তা জানান, সুষ্ঠু নির্বাচন ইস্যুতে ছাড় দেবেন না একটুও। এই প্রস্তুতিতে আওয়ামী লীগ সন্তুষ্টি জানালেও, শংকায় বিএনপি।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এমন তৎপরতার চিত্র এখন গোটা চট্টগ্রাম জুড়ে। আগামীকালের সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে নির্বিঘ্ন রাখতেই তাদের এই তৎপরতা। র্যাব, পুলিশ, সোয়াত, কাউন্টার টেরোরিজম থেকে শুরু করে বোম ডিসপোজাল ইউনিটের সদস্যদের পর্যন্ত প্রস্তুত রাখা হয়েছে নির্বাচনকে ঘিরে।

নগরীর এমএআজিজ স্টেডিয়ামের জিমনেসিয়াম থেকে সকালেই কেন্দ্রে কেন্দ্রে পাঠানো হয় ইভিএম মেশিনসহ নির্বাচনী সরঞ্জাম। সরঞ্জাম বিতরণ দেখতে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রিটার্নিং কর্মকর্তা হাসানুজ্জামান।

তিনি জানান ৭৩৫ টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ৪১৬ টিই ঝুঁকিপুর্ণ হিসেবে নির্ধারণ করেছেন তারা। সবগুলো ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্ত্বা নিশ্চিত করার পাশাপাশি ঝুকিঁপুর্ণ কেন্দ্রগুলোতে থাকবে বাড়তি সতর্কতা।

নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতি আর প্রশাসনের তৎপরতায়ও সন্তুষ্টু নয় বিএনপি। দলটির নির্বাচনী সমন্ময়কের অভিযোগ, এত তৎপরতার আড়ালে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে ভোট লুটের ষরযন্ত্র করছে সরকার।

এদিকে বরাবরের মতো বিএনপির এমন অভিযোগ নির্বাচনকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টা অ।খ্যা দিয়ে সার্বিক নির্বাচনী পরিবেশে নিজেদের সন্তুষ্টির কথাই বলছে আওয়ামীলীগ।

আগামীকাল সকাল ৮ টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত ইভিএম মেশিনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে। এবারের নির্বাচনে ৭ জন মেয়র প্রার্থীসহ ২২৫ জন কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন।

১৯ লাখ ৩৬ হাজার ৭০৬ জন ভোটার প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে ৪৩ জন কাউন্সিলরসহ নির্বাচিত করবেন একজন নগরপিতাকে।