চলতি বছরে রপ্তানী-রেমিটেন্স দুটোই নিম্নমুখী
- আপডেট সময় : ০২:১৩:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ জুলাই ২০২২
- / ১৫১৬ বার পড়া হয়েছে
গেল অর্থবছরে ৫২ বিলিয়ন ডলার উপার্জন করে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে রপ্তানী আয়। কিছুটা কমলেও খুব একটা ছন্দপতন ঘটেনি রেমিট্যান্স প্রবাহে। কিন্তু উর্ধ্বমুখি আমদানী ব্যয় মেটাতে হাত দিতে হয়েছে রিজার্ভে। এবছর রপ্তানী আর রেমিটেন্স দুটোই নিম্নমুখি; তাই এই ঘাটতির যোগান নিয়ে চিন্তিত ব্যবসায়ী নেতারা। আর অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এখনি সতর্ক না হলে, সংকট মারাত্মক আকার ধারণ করবে।
কয়েক বছর ধরেই খাতা কলমে রপ্তানী আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ৫০ বিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করলেও ৪০ বিলিয়নেই সন্তুষ্টির ঢেকুর তুলেছে সরকার। কিন্তু ২০২১–২২ অর্থবছরে শুধু লক্ষ্যমাত্রাই ছাড়ায়নি, আগের বছরের চেয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩৫ শতাংশের বেশি।
রপ্তানি আয়ে এই রেকর্ড গড়ার অন্যতম অনুসঙ্গ করোনার পরে বৈশ্বিক চাহিদায় বড় ধরনের পরিবর্তন। ৫২ বিলিয়ন ডলারের মধ্যে ৪২ বিলিয়নের বেশি এসেছে শুধু তৈরী পোষাক খাত থেকে। কিন্তু চলতি বছর রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ আর আন্তর্জাতিক রাজনীতির যাতাকলে পিষ্ট রপ্তানী আয়ের এই প্রধান উৎসটি।
করোনার সময় রপ্তানীর চেয়ে আমদানী ছিলো কম। বিপরীতে রেমিটেন্স আসে অনেক বেশী। একারণে রিজার্ভ বাড়তে থাকে। করোনার পর সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে আসায় পাল্টে গেছে দৃশ্যপট।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, তৈরী পোষাক খাতের ৭০ শতাংশই কাঁচামাল আর মেশিনারী আমদানীতে খরচ হয়ে যায়। তাই রিজার্ভের বড় অংশটি রেমিটেন্সের ওপর নির্ভরশীল। বিদায়ী অর্থবছরে প্রবাসী আয় থেকে ২ হাজার ১০৩ কোটি ডলার এলেও, এবার সেখানে লেগেছে ভাটার টান। তাই আমদানি রপ্তানীর ফারাক কমাতে সতর্ক হতে হবে সরকারকে।
করোনার পর বিদেশে যাওয়া কর্মীর সংখ্যা বেড়েছে সোয়া ৬ লাখ। কিন্তু রেমিটেন্সে তার প্রভাব নেই। ব্যাংকের সঙ্গে খোলা বাজারে ডলারের দামের বড় পার্থক্য প্রবাসী আয় কমার মূল কারণ বলছেন অর্থনীতিবিদরা।