চতুর্মুখী সমস্যায় তিন বছর ধরে বন্ধ রয়েছে মেহেরপুরের নবীনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাজ
- আপডেট সময় : ০২:৫৯:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২০
- / ১৫১৪ বার পড়া হয়েছে
আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের কোন্দল এবং ঠিকাদার ও এলজিইডি’র অবহেলায় প্রায় তিন বছর ধরে বন্ধ রয়েছে মেহেরপুরের নবীনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাজ। ছোট্ট তিনটি কক্ষ নিয়ে কোনোরকমে চলছে পাঠদান।বসার জায়গা নেই শিক্ষকদেরও। এলজিইডি বলছে, নিম্নমানের কাজের প্রমান মিলেছে বুয়েটের পরীক্ষায়। আর, ঠিকাদার দায়ি করছে, স্থানীয় আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের দ্বন্দ্ব ও এলজিইডি কর্তৃপক্ষকে।
জরাজীর্ন একটি টিনের ঘরে বসেন শিক্ষকরা। পাশেই ছোট্ট তিনটি শ্র্রেণি কক্ষ। গাদাগাদি করে বসে কোনোরকমে ক্লাস করে শিক্ষার্থীরা। এভাবেই গত কয়েক বছর ধরে পাঠদান চলছে মেহেরপুর গাংনী উপজেলার নবীনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
২০১৬ সালে বিদ্যালয়টিতে এলজিইডি’র তত্বাবধায়নে ৫৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হয়। কাজ চলার সময়, ২০১৭ সালে ছাদ ধসে পড়ে।তখন নিম্নমানের কাজের অভিযোগ উঠে। বুয়েটের নমুনা পরিক্ষায় তার প্রমান মেলে। বিল্ডিং ভেঙ্গে নতুন করে তৈরির নির্দেশের পর থেকেই কাজ বন্ধ রয়েছে। বেশ কয়েকবার নতুন করে বরাদ্দ পেলেও, কাজ শুরু হয়নি এখনও। এ নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছে, এলাকাবাসী।
ঠিকাদারের দাবি, তার লাইসেন্সে কাজটি পেয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম.এ খালেক। আর খালেক জানান, কাজটি করছেন স্থানীয় ঠিকাদার মোলাক। কাজ বন্ধের জন্য এলজিইডি’র অবহেলা ও আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের দ্বন্দ্বকে দায়ি করেন তিনি।
এলজিইডি বলছে, নির্দিষ্ট সময়ে হয়নি বলে কাজটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। শিগশিরই সমস্যার সমাধান চেয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ ও এলাকাবাসী।