০২:৩৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে শিল্প জোনের জন্য নির্ধারিত সরকারী খাস জমিকে নিয়ে বিভ্রান্তী ছড়াচ্ছে প্রভাবশালী একটি মহল

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০৩:১৮:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ মার্চ ২০২০
  • / ১৫০৮ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে শিল্প জোনের জন্য নির্ধারিত সরকারী খাস জমিকে বন বিভাগের জমি হিসেবে প্রচার করে বিভ্রান্তী ছড়ানোর চেষ্টা করছে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল। এতে থমকে গেছে বেশ কয়েকটি শিল্প প্রতিষ্ঠানের নির্মান কাজ। সরকারী জমি বন্দোবস্ত পাওয়া উদ্যোক্তারা বলছেন, আশপাশে বেশ কয়েকটি শিল্প প্রতিষ্ঠান থাকলেও নতুন প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতায় পড়েছেন তারা। আর সীতাকুণ্ডের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বললেন, বন বিভাগের কাছে জমির কাগজপত্র চেয়ে একাধিকবার নোটিশ পাঠালেও তার উত্তর পাওয়া যায়নি।

সীতাকুণ্ডের ছলিমপুর মৌজার সাগর পারের এই পরিত্যাক্ত খাস জমিতে একটি শীপ ব্রেকিং ইয়ার্ড গড়ে তোলার শর্তে বন্দোবস্ত পেয়েছে বিবিসি স্টীল নামের একটি কোম্পানী। অফিস নির্মান, যন্ত্রাংশের আমদানী, রাস্তা তৈরীসহ অর্ধেক কাজ এগোনোর পর জমিটি বন বিভাগের দাবি করে আদালতে মামলা করে স্থানীয় একটি এনজিও।

অথচ একই মৌজায় পাশের জমিতে আরো তিনটি শিপ ইয়ার্ড গড়ে উঠেছে অনেক আগে। এই বাস্তবতায় শিল্প সম্প্রসারণ বাধাগ্রস্হ হওয়ার পাশাপাশি বিপুল পরিমান মানুষের কর্মসংস্থানও গেছে।

বর্ষাকালে ভরা জোয়ারে ডুবে থাকা যেই জমিকে বন বিভাগের বলে দাবি করা হচ্ছে সেখানে বনবিভাগের কোন কর্মকর্তা কর্মচারিকে কখনো দেখেনি স্থানীয় বাসিন্দারা। বরং শিল্পায়ন বাধাগ্রস্ত হওয়ায় হতাশ তারা।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বললেন, রেকর্ড অনুযায়ী খাস খতিয়ানের এই জমির মালিক জেলা প্রশাসক। মৌখিকভাবে জায়গাটি বন বিভাগের বলা হলেও কাগজপত্রে এমন কোন প্রমাণ নেই।

২০১১ সালে ফৌজদারহাটের উত্তর ছলিমপুর থেকে উত্তর সোনাইছড়ি পর্যন্ত কয়েক কিলোমিটার এলাকার সাগরের পরিত্যাক্ত বেলাভূমীকে জাহাজ ভাঙ্গা শিল্প জোন হিসেবে স্বীকৃতি দেয় সরকার। এরপর থেকেই এই এলাকায় গড়ে ওঠে দেড়শোটি শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ড। প্রায় ৭০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থানসম্পন্ন শিল্পটি থেকে বছরে রাজস্ব আসে কমপক্ষে দেড় হাজার কোটি টাকা।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে শিল্প জোনের জন্য নির্ধারিত সরকারী খাস জমিকে নিয়ে বিভ্রান্তী ছড়াচ্ছে প্রভাবশালী একটি মহল

আপডেট সময় : ০৩:১৮:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ মার্চ ২০২০

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে শিল্প জোনের জন্য নির্ধারিত সরকারী খাস জমিকে বন বিভাগের জমি হিসেবে প্রচার করে বিভ্রান্তী ছড়ানোর চেষ্টা করছে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল। এতে থমকে গেছে বেশ কয়েকটি শিল্প প্রতিষ্ঠানের নির্মান কাজ। সরকারী জমি বন্দোবস্ত পাওয়া উদ্যোক্তারা বলছেন, আশপাশে বেশ কয়েকটি শিল্প প্রতিষ্ঠান থাকলেও নতুন প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতায় পড়েছেন তারা। আর সীতাকুণ্ডের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বললেন, বন বিভাগের কাছে জমির কাগজপত্র চেয়ে একাধিকবার নোটিশ পাঠালেও তার উত্তর পাওয়া যায়নি।

সীতাকুণ্ডের ছলিমপুর মৌজার সাগর পারের এই পরিত্যাক্ত খাস জমিতে একটি শীপ ব্রেকিং ইয়ার্ড গড়ে তোলার শর্তে বন্দোবস্ত পেয়েছে বিবিসি স্টীল নামের একটি কোম্পানী। অফিস নির্মান, যন্ত্রাংশের আমদানী, রাস্তা তৈরীসহ অর্ধেক কাজ এগোনোর পর জমিটি বন বিভাগের দাবি করে আদালতে মামলা করে স্থানীয় একটি এনজিও।

অথচ একই মৌজায় পাশের জমিতে আরো তিনটি শিপ ইয়ার্ড গড়ে উঠেছে অনেক আগে। এই বাস্তবতায় শিল্প সম্প্রসারণ বাধাগ্রস্হ হওয়ার পাশাপাশি বিপুল পরিমান মানুষের কর্মসংস্থানও গেছে।

বর্ষাকালে ভরা জোয়ারে ডুবে থাকা যেই জমিকে বন বিভাগের বলে দাবি করা হচ্ছে সেখানে বনবিভাগের কোন কর্মকর্তা কর্মচারিকে কখনো দেখেনি স্থানীয় বাসিন্দারা। বরং শিল্পায়ন বাধাগ্রস্ত হওয়ায় হতাশ তারা।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বললেন, রেকর্ড অনুযায়ী খাস খতিয়ানের এই জমির মালিক জেলা প্রশাসক। মৌখিকভাবে জায়গাটি বন বিভাগের বলা হলেও কাগজপত্রে এমন কোন প্রমাণ নেই।

২০১১ সালে ফৌজদারহাটের উত্তর ছলিমপুর থেকে উত্তর সোনাইছড়ি পর্যন্ত কয়েক কিলোমিটার এলাকার সাগরের পরিত্যাক্ত বেলাভূমীকে জাহাজ ভাঙ্গা শিল্প জোন হিসেবে স্বীকৃতি দেয় সরকার। এরপর থেকেই এই এলাকায় গড়ে ওঠে দেড়শোটি শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ড। প্রায় ৭০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থানসম্পন্ন শিল্পটি থেকে বছরে রাজস্ব আসে কমপক্ষে দেড় হাজার কোটি টাকা।