০৩:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৫ মে ২০২৪

যে কারণে নাসুমের বল ওয়াইড দেননি আম্পায়ার

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০৩:০৮:১৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ অক্টোবর ২০২৩
  • / ১৭২২ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বৃহস্পতিবার পুণেতে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বিরাট কোহলির সেঞ্চুরি নিয়ে বিস্তর চর্চা চলছে ক্রিকেটমহলে। সেই সঙ্গে আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছেন আম্পায়ার রিচার্ড কেটেলবরো। অনেকেরই দাবি, বিরাট শতরানে পৌঁছতে আম্পায়ারের বদান্যতা পেয়েছেন। আম্পায়ার কেটেলবরো একটি ওয়াইড বল না দিয়ে কোহলিকে সাহায্য করেছেন সেঞ্চুরিতে পৌঁছতে।

আসলে জয়ের জন্য যখন ভারতের দরকার ছিল ২ রান, শতরানে পৌঁছতে কোহলির প্রয়োজন ছিল ৩ রান। ৪১.১ ওভারে নাসুম আহমেদের লেগ সাইডের ডেলিভারি কোহলির পায়ের পিছন দিয়ে উইকেটকিপারের দস্তানায় চলে যায়। বেশিরভাগ ক্রিকেটপ্রেমীর ধারণা ছিল সেটি ওয়াইড বল হবে। তবে আম্পায়ার কেটেলবরো ওয়াইড দেননি। মুচকি হাসিও দেখা যায় আম্পায়ারের ঠোঁটের কোণে।

গতকালকের বাংলাদেশ বনাম ভারত ম্যাচে কোহলির শতরানের কৃতিত্বে চোনা ফেলার উদ্দেশ্যেই আম্পায়ারের সমালোচনা শুরু করে দেন। তবে আসল ঘটনা হল, বোলারদের সুবিধার জন্য বদলানো একটি নিয়মই এক্ষেত্রে ব্যাটসম্যানের অনুকূলে চলে যায়। অর্থাৎ, বোলারদের কথা ভেবে তৈরি হওয়া নতুন নিয়মের জন্যই আম্পায়ার ওয়াইড বল দেননি এবং যার সুযোগ নিয়ে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন বিরাট।

আধুনিক ক্রিকেটে ব্যাটসম্যানদের অফ-স্টাম্প, লেগ-স্টাম্পের দিকে সরে গিয়ে শট খেলার প্রবণতার জন্যই ২০২২ সালের মার্চে ওয়াইড বলের নিয়মে রদবদল ঘটায় এমসিসি। ২০২২ সালের ১ অক্টোবর থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সেই নয়া নিয়ম কার্যকরী করে আইসিসি। সেই নিয়ম বদলের জন্যই আম্পায়ার নাসুমের বলটিকে ওয়াইড দেননি।

বদলে যাওয়ার আগে এমসিসির ক্রিকেটের নিয়মাবলির ২২.১.১ ধারায় ওয়াইড হিসেবে বিবেচিত হতো সেই বলটি, যেটি ব্যাটসম্যান যেখানে দাঁড়িয়ে রয়েছেন এবং তাঁর প্রাথমিক স্টান্সের সময়েও নাগাল এড়িয়ে যেত। তবে নিয়ম বদলের পরে ব্যাটসম্যানের পরিবর্তিত অবস্থানের উপরে জোর দেওয়া হয়। অর্থাৎ, এখন ওয়াইড বল ঘোষণার জন্য বিবেচিত হয় বল খেলার সময় ব্যাটসম্যান কোথায় দাঁড়িয়ে রয়েছেন, রানআপ থেকে বোলারের ডেলিভারি স্ট্রাইডের মাঝে ব্যাটসম্যান কোথায় ছিলেন এবং ব্যাটারের প্রাথমিক স্টান্স কী ছিল, সেই সব বিষয়ই।

এক্ষেত্রে নাসুমের ডেলিভারির আগে কোহলি ওপেন স্টান্সে দাঁড়িয়েছিলেন। তাঁর ফ্রন্ট ফুট ছিল লেগ স্টাম্পের বাইরে। নাসুম বল ছাড়ার পরে কোহলি স্টান্স বদল করেন। তিনি কিছুটা ভিতরের দিকে সরে যান এবং বলের নাগাল এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। বিরাট যদি নিজের জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকতেন, তবে নাসুমের বল গিয়ে লাগত কোহলির প্যাডে। সুতরাং, নিয়ম মেনেই কেটেলবরো এক্ষেত্রে ওয়াইড দেননি।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

যে কারণে নাসুমের বল ওয়াইড দেননি আম্পায়ার

আপডেট সময় : ০৩:০৮:১৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ অক্টোবর ২০২৩

বৃহস্পতিবার পুণেতে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বিরাট কোহলির সেঞ্চুরি নিয়ে বিস্তর চর্চা চলছে ক্রিকেটমহলে। সেই সঙ্গে আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছেন আম্পায়ার রিচার্ড কেটেলবরো। অনেকেরই দাবি, বিরাট শতরানে পৌঁছতে আম্পায়ারের বদান্যতা পেয়েছেন। আম্পায়ার কেটেলবরো একটি ওয়াইড বল না দিয়ে কোহলিকে সাহায্য করেছেন সেঞ্চুরিতে পৌঁছতে।

আসলে জয়ের জন্য যখন ভারতের দরকার ছিল ২ রান, শতরানে পৌঁছতে কোহলির প্রয়োজন ছিল ৩ রান। ৪১.১ ওভারে নাসুম আহমেদের লেগ সাইডের ডেলিভারি কোহলির পায়ের পিছন দিয়ে উইকেটকিপারের দস্তানায় চলে যায়। বেশিরভাগ ক্রিকেটপ্রেমীর ধারণা ছিল সেটি ওয়াইড বল হবে। তবে আম্পায়ার কেটেলবরো ওয়াইড দেননি। মুচকি হাসিও দেখা যায় আম্পায়ারের ঠোঁটের কোণে।

গতকালকের বাংলাদেশ বনাম ভারত ম্যাচে কোহলির শতরানের কৃতিত্বে চোনা ফেলার উদ্দেশ্যেই আম্পায়ারের সমালোচনা শুরু করে দেন। তবে আসল ঘটনা হল, বোলারদের সুবিধার জন্য বদলানো একটি নিয়মই এক্ষেত্রে ব্যাটসম্যানের অনুকূলে চলে যায়। অর্থাৎ, বোলারদের কথা ভেবে তৈরি হওয়া নতুন নিয়মের জন্যই আম্পায়ার ওয়াইড বল দেননি এবং যার সুযোগ নিয়ে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন বিরাট।

আধুনিক ক্রিকেটে ব্যাটসম্যানদের অফ-স্টাম্প, লেগ-স্টাম্পের দিকে সরে গিয়ে শট খেলার প্রবণতার জন্যই ২০২২ সালের মার্চে ওয়াইড বলের নিয়মে রদবদল ঘটায় এমসিসি। ২০২২ সালের ১ অক্টোবর থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সেই নয়া নিয়ম কার্যকরী করে আইসিসি। সেই নিয়ম বদলের জন্যই আম্পায়ার নাসুমের বলটিকে ওয়াইড দেননি।

বদলে যাওয়ার আগে এমসিসির ক্রিকেটের নিয়মাবলির ২২.১.১ ধারায় ওয়াইড হিসেবে বিবেচিত হতো সেই বলটি, যেটি ব্যাটসম্যান যেখানে দাঁড়িয়ে রয়েছেন এবং তাঁর প্রাথমিক স্টান্সের সময়েও নাগাল এড়িয়ে যেত। তবে নিয়ম বদলের পরে ব্যাটসম্যানের পরিবর্তিত অবস্থানের উপরে জোর দেওয়া হয়। অর্থাৎ, এখন ওয়াইড বল ঘোষণার জন্য বিবেচিত হয় বল খেলার সময় ব্যাটসম্যান কোথায় দাঁড়িয়ে রয়েছেন, রানআপ থেকে বোলারের ডেলিভারি স্ট্রাইডের মাঝে ব্যাটসম্যান কোথায় ছিলেন এবং ব্যাটারের প্রাথমিক স্টান্স কী ছিল, সেই সব বিষয়ই।

এক্ষেত্রে নাসুমের ডেলিভারির আগে কোহলি ওপেন স্টান্সে দাঁড়িয়েছিলেন। তাঁর ফ্রন্ট ফুট ছিল লেগ স্টাম্পের বাইরে। নাসুম বল ছাড়ার পরে কোহলি স্টান্স বদল করেন। তিনি কিছুটা ভিতরের দিকে সরে যান এবং বলের নাগাল এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। বিরাট যদি নিজের জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকতেন, তবে নাসুমের বল গিয়ে লাগত কোহলির প্যাডে। সুতরাং, নিয়ম মেনেই কেটেলবরো এক্ষেত্রে ওয়াইড দেননি।