০৯:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

কুড়িগ্রাম ও সিরাজগঞ্জে ধরলা ও যমুনা নদীর পানি ফের বৃদ্ধি পেয়েছে

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০২:৩১:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ অগাস্ট ২০২০
  • / ১৫০৮ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কুড়িগ্রাম ও সিরাজগঞ্জে ধরলা ও যমুনা নদীর পানি ফের বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে গাজীপুর, মাদারীপুর, মানিকগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলায় বন্যার পানি নেমে গেলেও দুর্ভোগে পড়েছেন বানভাসীরা। খেয়ে না খেয়ে দিন কাটছে বন্যা দুর্গতদের।

কুড়িগ্রামে বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর উজানের ঢলে আবারো বাড়তে শুরু করেছে ধরলার পানি। এ অবস্থায় নতুন করে দু:চিন্তায় পড়েছেন নদী পাড়ের মানুষজন। হাতে কাজ ও ঘরে খাবার না থাকায় অতিকষ্টে দিন কাটছে চরাঞ্চলবাসীর। নিজেদের খাবারের পাশাপাশি গাবাদি পশুর চরম খাদ্য সংকটে দিন কাটছে তাদের। মিলছে না সরকারী-বেসরকারী ত্রাণ সহায়তাও।

টানা এক সপ্তাহ বন্যার পানি কমার পর ৫ম দফায় সিরাজগঞ্জের যমুনা নদীতে আবারও পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি শহররক্ষা বাঁধ পয়েন্টে ৪ সেন্টিমিটার ও কাজিপুর পয়েন্টে ৯ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের বরাত দিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, যমুনায় নতুন করে এই পানি বৃদ্ধি আগামী ১৬ আগষ্ট পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।

গাজীপুরের তুরাগ, বংশী ও ঘাটাখালী নদীর পানি কমা অব্যাহত রয়েছে। তবে এখনো দুর্ভোগে রয়েছেন বন্যা কবলিত কালিয়াকৈর উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার ১৮২টি গ্রাম ও নিম্নাঞ্চলের মানুষ।

পদ্মার ভয়াবহ ভাঙ্গনে কাঁঠালবাড়ি ইউনিয়নের কাঁঠালবাড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। আড়িয়াল খা তীরবর্ত্তী সন্ন্যাসীরচর, শিরুয়াইল, নিলখী ও বহেরাতলা দক্ষিনেও নদী ভাঙ্গন তীব্র আকার ধারণ করেছে। এ পর্যন্ত নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে ৬ শতাধিক ঘরবাড়ি।

মানিকগঞ্জের যমুনা নদীর পানি শিবালয়ের আরিচা পয়েন্টে গত ২৪ ঘণ্টায় ৮ সেন্টিমিটার কমেছে। জেলার ৭টি উপজেলার ৩১ হাজার ৫৭৭ হেক্টর বিভিন্ন ফসলের জমি পানিতে ডুবে ১৭১ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে সম্পূর্ণ বন্যা মুক্ত হলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরো দৃশ্যমান হবে।

মুন্সীগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি হয়েছে।গত কয়েকদিন ধরেই পদ্মা,মেঘনা ও ধলেশ্বরী নদীর পনি কমেছে।তবে এখনো দূভোগ কমেনী জেলার প্রায় লক্ষাধীক বানভাসী পরিবারের।জেলার শ্রীনগর,সিরাজদিখান,লৌহজং,টঙ্গীবাড়ী ও গজারিয়া উপজেলার ৩৯টি ইউনিয়নের ২৬৫টি গ্রামের অসংখ্য ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান, মাছের ঘের,বাড়ী-ঘরসহ আবাদী জমি পানির নিচে তলিয়ে গেছে।

নেত্রকোনায় পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, খালিয়াজুরী পয়েন্টে ধনু নদীর পানি এখনো বিপদসীমার ২৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

কুড়িগ্রাম ও সিরাজগঞ্জে ধরলা ও যমুনা নদীর পানি ফের বৃদ্ধি পেয়েছে

আপডেট সময় : ০২:৩১:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ অগাস্ট ২০২০

কুড়িগ্রাম ও সিরাজগঞ্জে ধরলা ও যমুনা নদীর পানি ফের বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে গাজীপুর, মাদারীপুর, মানিকগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলায় বন্যার পানি নেমে গেলেও দুর্ভোগে পড়েছেন বানভাসীরা। খেয়ে না খেয়ে দিন কাটছে বন্যা দুর্গতদের।

কুড়িগ্রামে বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর উজানের ঢলে আবারো বাড়তে শুরু করেছে ধরলার পানি। এ অবস্থায় নতুন করে দু:চিন্তায় পড়েছেন নদী পাড়ের মানুষজন। হাতে কাজ ও ঘরে খাবার না থাকায় অতিকষ্টে দিন কাটছে চরাঞ্চলবাসীর। নিজেদের খাবারের পাশাপাশি গাবাদি পশুর চরম খাদ্য সংকটে দিন কাটছে তাদের। মিলছে না সরকারী-বেসরকারী ত্রাণ সহায়তাও।

টানা এক সপ্তাহ বন্যার পানি কমার পর ৫ম দফায় সিরাজগঞ্জের যমুনা নদীতে আবারও পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি শহররক্ষা বাঁধ পয়েন্টে ৪ সেন্টিমিটার ও কাজিপুর পয়েন্টে ৯ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের বরাত দিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, যমুনায় নতুন করে এই পানি বৃদ্ধি আগামী ১৬ আগষ্ট পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।

গাজীপুরের তুরাগ, বংশী ও ঘাটাখালী নদীর পানি কমা অব্যাহত রয়েছে। তবে এখনো দুর্ভোগে রয়েছেন বন্যা কবলিত কালিয়াকৈর উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার ১৮২টি গ্রাম ও নিম্নাঞ্চলের মানুষ।

পদ্মার ভয়াবহ ভাঙ্গনে কাঁঠালবাড়ি ইউনিয়নের কাঁঠালবাড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। আড়িয়াল খা তীরবর্ত্তী সন্ন্যাসীরচর, শিরুয়াইল, নিলখী ও বহেরাতলা দক্ষিনেও নদী ভাঙ্গন তীব্র আকার ধারণ করেছে। এ পর্যন্ত নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে ৬ শতাধিক ঘরবাড়ি।

মানিকগঞ্জের যমুনা নদীর পানি শিবালয়ের আরিচা পয়েন্টে গত ২৪ ঘণ্টায় ৮ সেন্টিমিটার কমেছে। জেলার ৭টি উপজেলার ৩১ হাজার ৫৭৭ হেক্টর বিভিন্ন ফসলের জমি পানিতে ডুবে ১৭১ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে সম্পূর্ণ বন্যা মুক্ত হলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরো দৃশ্যমান হবে।

মুন্সীগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি হয়েছে।গত কয়েকদিন ধরেই পদ্মা,মেঘনা ও ধলেশ্বরী নদীর পনি কমেছে।তবে এখনো দূভোগ কমেনী জেলার প্রায় লক্ষাধীক বানভাসী পরিবারের।জেলার শ্রীনগর,সিরাজদিখান,লৌহজং,টঙ্গীবাড়ী ও গজারিয়া উপজেলার ৩৯টি ইউনিয়নের ২৬৫টি গ্রামের অসংখ্য ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান, মাছের ঘের,বাড়ী-ঘরসহ আবাদী জমি পানির নিচে তলিয়ে গেছে।

নেত্রকোনায় পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, খালিয়াজুরী পয়েন্টে ধনু নদীর পানি এখনো বিপদসীমার ২৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।