০৮:৫৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

কিছু এলাকার পানি কমলেও মধ্যাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ১১:৫৫:০১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ জুলাই ২০২০
  • / ১৫০৪ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কুড়িগ্রাম, জামালপুর, সিরাজগঞ্জ, পাবনা, গাইবান্ধা ও নেত্রকোনার কিছু এলাকার পানি কমলেও মধ্যাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। বানভাসীরা রয়েছে দুর্ভোগে। এদিকে, যমুনার পানি অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় বিভিন্ন এলাকায় অব্যাহত রয়েছে নদীভাঙন।

কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র ও ধরলার পানি হ্রাস পেয়ে বিপদসীমার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির সামান্য উন্নতি হয়েছে। তবে বন্যার পানি চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলের ঘর-বাড়ি থেকে পুরোপুরি নেমে না যাওয়ায় দুর্ভোগ বেড়েছে বন্যা দুর্গতদের। অন্যদিকে পানির স্রোতে ক্ষতিগ্রস্থ ঘর-বাড়িতে ফিরতে পারছেন না বাঁধ, পাকা সড়ক ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আশ্রয় নেয়া বানভাসীরা। বন্যা কবলিতরা কর্মহীন হয়ে পড়ায় খাদ্য সংকট তীব্র আকার ধারণ করছে।

উজানে যমুনার নদীর পানি কমে জামালপুরে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। এদিকে ভাটি অঞ্চলে ব্রহ্মপুত্র ও ঝিনাই নদীর পানিও কিছুটা কমতে শুরু করেছে। তবে শহরের নাউভাঙ্গা চরের বাড়িঘর এখনো পানিতে তলিয়ে রয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে যমুনার পানি ২১ সেন্টিমিটার কমে সকালে বিপদসীমার ৪ সেন্টিমিটার নীচে ছিল। ৩১টি আশ্রয়কেন্দ্রে ৬ হাজার বন্যার্ত মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।

গত ২৪ ঘন্টায় সিরাজগঞ্জের কাজিপুর পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি ২৭ সেন্টিমিটার কমে সকালে বিপদসীমার ৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে এবং একই সময় সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ পয়েন্টে যমুনার পানি ১৯ সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। চরাঞ্চল ও নদী তীরসংলগ্ন এলাকার মানুষেরা খাদ্য সংকটে পড়েছে।

পদ্মা ও আড়িয়াল খাঁর পানি অস্বাভাবিকহারে বাড়ায় মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার চরাঞ্চলের ৬টি ইউনিয়নের বেশকিছু গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। তলিয়ে গেছে রাস্তাঘাটও। এদিকে, পদ্মা ও আড়িয়ালখা নদীতে পানি বাড়তে থাকায় উপজেলার বেশকিছু এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে।

টাঙ্গাইলে বিভিন্ন নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। এর ফলে জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। এখনো যমুনা, ধলেশ্বরী ও ঝিনাই নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জেলায় ৬টি উপজেলায় ১ লাখ ২৯ হাজার ১২১ জন পানিবন্দি রয়েছে। এছাড়াও ৩ হাজার ৬৮৬ হেক্টর ফসলী জমি নিমজ্জিত হয়েছে।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

কিছু এলাকার পানি কমলেও মধ্যাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি

আপডেট সময় : ১১:৫৫:০১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ জুলাই ২০২০

কুড়িগ্রাম, জামালপুর, সিরাজগঞ্জ, পাবনা, গাইবান্ধা ও নেত্রকোনার কিছু এলাকার পানি কমলেও মধ্যাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। বানভাসীরা রয়েছে দুর্ভোগে। এদিকে, যমুনার পানি অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় বিভিন্ন এলাকায় অব্যাহত রয়েছে নদীভাঙন।

কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র ও ধরলার পানি হ্রাস পেয়ে বিপদসীমার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির সামান্য উন্নতি হয়েছে। তবে বন্যার পানি চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলের ঘর-বাড়ি থেকে পুরোপুরি নেমে না যাওয়ায় দুর্ভোগ বেড়েছে বন্যা দুর্গতদের। অন্যদিকে পানির স্রোতে ক্ষতিগ্রস্থ ঘর-বাড়িতে ফিরতে পারছেন না বাঁধ, পাকা সড়ক ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আশ্রয় নেয়া বানভাসীরা। বন্যা কবলিতরা কর্মহীন হয়ে পড়ায় খাদ্য সংকট তীব্র আকার ধারণ করছে।

উজানে যমুনার নদীর পানি কমে জামালপুরে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। এদিকে ভাটি অঞ্চলে ব্রহ্মপুত্র ও ঝিনাই নদীর পানিও কিছুটা কমতে শুরু করেছে। তবে শহরের নাউভাঙ্গা চরের বাড়িঘর এখনো পানিতে তলিয়ে রয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে যমুনার পানি ২১ সেন্টিমিটার কমে সকালে বিপদসীমার ৪ সেন্টিমিটার নীচে ছিল। ৩১টি আশ্রয়কেন্দ্রে ৬ হাজার বন্যার্ত মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।

গত ২৪ ঘন্টায় সিরাজগঞ্জের কাজিপুর পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি ২৭ সেন্টিমিটার কমে সকালে বিপদসীমার ৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে এবং একই সময় সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ পয়েন্টে যমুনার পানি ১৯ সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। চরাঞ্চল ও নদী তীরসংলগ্ন এলাকার মানুষেরা খাদ্য সংকটে পড়েছে।

পদ্মা ও আড়িয়াল খাঁর পানি অস্বাভাবিকহারে বাড়ায় মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার চরাঞ্চলের ৬টি ইউনিয়নের বেশকিছু গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। তলিয়ে গেছে রাস্তাঘাটও। এদিকে, পদ্মা ও আড়িয়ালখা নদীতে পানি বাড়তে থাকায় উপজেলার বেশকিছু এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে।

টাঙ্গাইলে বিভিন্ন নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। এর ফলে জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। এখনো যমুনা, ধলেশ্বরী ও ঝিনাই নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জেলায় ৬টি উপজেলায় ১ লাখ ২৯ হাজার ১২১ জন পানিবন্দি রয়েছে। এছাড়াও ৩ হাজার ৬৮৬ হেক্টর ফসলী জমি নিমজ্জিত হয়েছে।