এক বছরেও দুটি টাগবোট কেনার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারেনি চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ
- আপডেট সময় : ০১:২৭:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ জুলাই ২০২০
- / ১৫০৭ বার পড়া হয়েছে
টেন্ডার আহবানের প্রায় এক বছরেও দুটি টাগবোট কেনার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারেনি চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যে দু’বার শর্ত পরিবর্তন করা হয়েছে টেন্ডারের। বন্দর ব্যবহারকারীরা বলছেন, নির্দিষ্ট একটি কোম্পানিকে কাজ দিতেই এই আয়োজন করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। আর বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশের বিভিন্ন ইয়ার্ডে আন্তর্জাতিক মানের টাগবোট তৈরী হলেও খরচ বাড়াতেই বাইরে থেকে আমদানীকে প্রাধান্য দিয়ে টেন্ডার আহবান করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
পণ্যবাহী মাদার ভেসেলগুলো বন্দর চ্যানেলে প্রবেশের পর তাকে পথ দেখিয়ে গন্তব্যে নিয়ে আসার পাশাপাশি জেটিতে ভেড়ানোর মুল ভুমিকাটায় পালন করে ছোট আকারের এই টাগ বোটগুলো। চট্টগ্রাম বন্দরে এমন টাগবোটের সংখ্যা মাত্র ৭টি। এরমধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী টাগবোটটির সক্ষমতা ৩২ হাজার হর্স পাওয়ার। কিন্তু এর চেয়েও শক্তিশালী অন্তত ১০টি টাগবোটের চাহিদা রয়েছে চট্টগ্রাম বন্দরের। চাহিদা অনুযায়ী গেল বছরের আগস্টে ৫ হাজার হর্স পাওয়ার শক্তি সমৃদ্ধ দুটি টাগবোট কিনতে দরপত্র আহবান করে বন্দর কর্তৃপক্ষ। শুরুতে দেশীয় ইয়ার্ডে তৈরীর সিদ্ধান্ত থাকলেও পরবর্তীতে তা বাইরে থেকে আমদানীর লক্ষ্যনিয়ে আন্তর্জাতিক দরপত্র আহবান করে চট্টগ্রাম বন্দর। কিন্তু এখনো অপারেশনে আসেনি টাগবোট দুটি
বন্দর ব্যবহারকারীরা বলছেন, কয়েক বছর ধরে হাতে গোনা দু/একটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়েছে বন্দরের যন্ত্রাংশ কেনার কার্যক্রম। এবারো নির্দিষ্ট একটি প্রতিষ্ঠানকে কাজ পাইয়ে দিতেই এমন তৎপরতা চালাচ্ছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।জাহাজ নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আন্তর্জাতিক মানের টাগবোট তৈরী হয় বাংলাদেশেই। তাই আমদানীর পরিবর্তে স্থানীয়ভাবে নির্মানকে টার্গেট করে দরপত্র আহবান করলে উপকৃত হতো দেশিয় প্রতিষ্ঠান।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ট্রানজিট সুবিধা শুরু হলে বহুগুণে ব্যাস্ততা বাড়বে চট্টগ্রাম বন্দরের। তাই টাগবোটের মতো গুরুত্বপুর্ণ যন্ত্রাংশ আনতে সময়ক্ষেপন করা হতাশাজনক। টেন্ডার আহবান করা দুটি টাগবোটের জন্য সম্ভাব্য ব্যায় ধরা হয়েছে ১৪০ কোটি টাকা। কিন্তু স্থানীয়ভাবে বানালে প্রতিটির দাম পড়তো ৪০ কোটি টাকারও নিচে। এমনটাই জানালেন জাহাজ নির্মানের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা।