উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে চমক দেখাবে কক্সবাজার
- আপডেট সময় : ০৫:৩১:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১
- / ১৫০৮ বার পড়া হয়েছে
বিশ্ব পর্যটন দিবস আজ। কক্সবাজার থেকে দেশের পর্যটন খাতে সবচেয়ে বেশি আয় হলেও গুরুত্বপূর্ণ এ শিল্পের সম্ভাবনাময় খাতটি এখনো নানা অবহেলার শিকার। পাথুরে সৈকত ইনানী, হিমছড়ি ঝর্ণা, প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিনসহ সৌন্দ্যর্যের বহু উপাদান থাকলেও, বছরের পর বছর ধরে সে সবের কাঙ্ক্ষিত ব্যবহার হচ্ছে না। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মহাপরিকল্পনার উন্নয়ন প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হলে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে চমক দেখাবে কক্সবাজার।
প্রকৃতি তার সব সৌন্দর্য্য দিয়ে আগলে রেখেছে বিশ্বের সর্ববৃহৎ এবং অবিচ্ছেদ্য সমুদ্র সৈকতের নগরী কক্সবাজারকে। সবুজ পাহাড় আর উত্তাল সমুদ্রের সাথে মিতালী করে বয়ে গেছে দীর্ঘ ৮০ কিলোমিটার মেরিন ড্রাইভ। যে কারোই চোখ জুড়াবে এই দৃশ্য।
এখানকার দৃষ্টিনন্দন পর্যটন স্পটগুলো যথাযথ দেখ-ভালের অভাবে দিন দিন সৌন্দর্য্য হারাতে বসেছে। এর মাঝেই সমুদ্রে রানওয়ে সমৃদ্ধ দেশের প্রথম আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর হতে চলেছে কক্সবাজারে। ২০২২ সালের মাঝে চালু হবে রেল যোগাযোগও। এর ফলে এশিয়া মহাদেশের অন্যান্য দেশগুলোর সাথে আকাশ ও রেলপথে সহজ যোগাযোগে পর্যটনের নতুন হাব হয়ে উঠবে কক্সবাজার।
স্থানীয় পর্যটন ব্যবসায়ীরা বলছেন, চলমান উন্নয়ন প্রকল্পগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন হলে দেশের অর্থনীতিতে সম্ভাবনার নতুন দুয়ার খুলে দেবে কক্সবাজার।
এদিকে কক্সবাজারকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মহাপরিকল্পনার কথা জানান মেয়র মুজিবুর রহমান। বলেন, মাস্টারপ্ল্যান অনুযায়ী সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডগুলো শিগগিরই দৃশ্যমান হবে।
পর্যটন শিল্পের মানোন্নয়নে মাস্টারপ্ল্যানের মাধ্যমে পর্যটন নগরীকে সাজাতে সরকার সচেষ্ট বলে জানান কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক।
পর্যটন সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রতিবছর ৫০ লাখেরও বেশি দেশী-বিদেশী পর্যটকের আগমন ঘটে বিশ্বের দীর্ঘতম সৈকতের এই শহরে। যেখান থেকে সরকার রাজস্ব পায় অন্তত হাজার কোটি টাকা।