উজানের ঢল ও অতি বৃষ্টিতে কুড়িগ্রাম, সিরাজগঞ্জ ও লালমনিরহাটসহ উত্তরাঞ্চলের বেশকিছু জেলায় আবারো বন্যা দেখা দিয়েছে। কয়েকটি নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে। তলিয়ে গেছে প্রচুর ফসলি জমি।

কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি সামান্য হ্রাস পেতে শুরু করলেও বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। ধরলা নদীর পানি সামান্য হ্রাস পেয়ে বিপদসীমার ২২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে করে নদ-নদীর অববাহিকার প্রায় ২ হাজার হেক্টর জমির আমন ক্ষেত গত ৪ দিন ধরে বন্যার পানিতে তলিয়ে আছে। অন্যদিকে পানি কমার সাথে সাথে ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা, দুধকুমার নদের ২০টি পয়েন্টে শুরু হয়ে তীব্র নদী ভাঙ্গন। ভাঙ্গনের মুখে পড়েছে ঘর-বাড়ি ও ফসলী জমিসহ বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও অবিরাম বৃষ্টিতে যমুনার নদীর পানি সিরাজগঞ্জের দু’টি পয়েন্টের একটিতে বিপদসীমার কাছাকাছি অবস্থান করলেও আরেকটিতে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ শহররক্ষা বাঁধ পয়েন্টে আরো ১৩ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার মাত্র ৫ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও কাজিপুর পয়েন্টে একই পরিমান পানি বৃদ্ধি পেয়ে সকাল ৬টা পর্যন্ত বিপদসীমার ৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।

এদিকে, গেলরাতে থেকে ধরলা ও তিস্তার পানি বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় উন্নতি হচ্ছে লালমনিরহাটের বন্যা পরিস্থিতি। তবে সদর উপজেলার কুলাঘাট, মোঘলহাট, খুনিয়াগাছ ও আদিতমারী উপজেলার মহিশখোচা ইউনিয়নের শিল্পাঞ্চলের প্রায় এক হাজার পরিবার এখনও পানিবন্দী রয়েছে।