১১:৫৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪

ই-কমার্স প্রতারণার ফাঁদে পড়ে সর্বস্বান্ত হচ্ছে লাখ লাখ মানুষ

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০১:৫২:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • / ১৫১৬ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ই-কমার্স প্রতারণার ফাঁদে পড়ে সর্বস্বান্ত হচ্ছে লাখ লাখ মানুষ। নিয়ম কানুনের তোয়াক্কা না করে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে আগাম টাকা নিয়ে পণ্য না দিয়ে উধাও হয়ে যাচ্ছে অনেক প্রতিষ্ঠান। অনেকে গছিয়ে দিচ্ছে নিম্নমানের পণ্য। এরই মধ্যে ই-ভ্যালি, ই-অরেঞ্জ, ধামাকাসহ ১৪টি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান সবার সামনে গ্রাহকের হাজার হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় পার পাচ্ছে প্রতারক চক্র। শিগগিরই প্রতারক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার পরামর্শ দিয়েছে টিআইবি।

ই-কমার্স প্রতারকদের লোভনীয় প্রস্তাবের খপ্পরে পড়ে নি:স্ব জাহিদুলের মতো দেশের লাখ লাখ ক্রেতা। সবচেয়ে বেশি অভিযোগ ই-ভ্যালি, ই-অরেঞ্জ, ধামাকা ডট কম, প্রিয় শপিং কিউকম সহ ২১টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। প্রতারণার ফাঁদে পড়ে ই-ভ্যালির ২ লাখ, ই-অরেঞ্জর ২ লাখ, ধামাকায় এক লাখ, প্রিয় শপিং,,কিউকমসহ ১৪টি ই-কমার্স সাইটের গ্রাহকরা খুইয়েছেন সব বিনিয়োগ। এসব ই-কমার্স সাইটের ফেসবুক পেজে গেলে দেখা যায় অসংখ্য গ্রাহকের হা হা কার। (স্কিন সট যাবে)

ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে নানা মূল্য ছাড়ের নামে বিশাল অফারের ফাঁদে ফেলে লুট করা হয়েছে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা। শুধু ই-ভ্যালির দায় ৫৪৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে মার্চেন্ট বা পণ্য সরবরাহকারীরাই পাবেন ২০৫ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। আর গ্রাহকদের পাওনা ৩১১ কোটি টাকা। ই-অরেঞ্জের শীর্ষ পাঁচ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে রাজধানীর শিল্পাঞ্চল থানায় ৬৬৩ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা হয়েছে । আবার প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ৩৭ জন গ্রাহক ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা করেন গুলশান থানায় । ধামাকা শপিংয়ের বিরুদ্ধে ৫ লাখ গ্রাহকের ৮০৩ কোটি ৫১ লাখ টাকা ও সরবরাহকারীর ২০০ কোটি টাকাসহ মোট ১ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। সাধারণ মানুষ আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও প্রতারক চক্র হাতিয়ে নিয়েছে বিপুল অংকের টাকা।

গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণায় বিব্রত ই-ক্যাব কর্মকর্তারা। সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াহেদ তমাল বলেন, প্রতারকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিভিন্ন সংস্থাকে সহযোগিতা করছে ই-ক্যাব।

ই-কমার্স ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরে অভিযোগের স্তুপ জমেছে। প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক জানান, টাকা নিয়ে ই-কমার্স ব্যবসা বন্ধে করে মালিক পালিয়ে যাওয়ায় কোন ব্যবস্থা নেয়া যাচ্ছে না।

এদিকে গ্রাহকের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে বিপুল অঙ্কের টাকা নেয়ার জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের দুর্বল ব্যবস্থাকে দায়ী করেছে টিআইবি।

ই-কমার্স খাতে আগামী দিনে প্রতারণা রোধে সরকারকে তদারকি আরো জোরদার করার পরামর্শ দেন টিআইবি নির্বাহী পরিচালক ডক্টর ইফতেখারুজ্জামান ।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

ই-কমার্স প্রতারণার ফাঁদে পড়ে সর্বস্বান্ত হচ্ছে লাখ লাখ মানুষ

আপডেট সময় : ০১:৫২:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১

ই-কমার্স প্রতারণার ফাঁদে পড়ে সর্বস্বান্ত হচ্ছে লাখ লাখ মানুষ। নিয়ম কানুনের তোয়াক্কা না করে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে আগাম টাকা নিয়ে পণ্য না দিয়ে উধাও হয়ে যাচ্ছে অনেক প্রতিষ্ঠান। অনেকে গছিয়ে দিচ্ছে নিম্নমানের পণ্য। এরই মধ্যে ই-ভ্যালি, ই-অরেঞ্জ, ধামাকাসহ ১৪টি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান সবার সামনে গ্রাহকের হাজার হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় পার পাচ্ছে প্রতারক চক্র। শিগগিরই প্রতারক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার পরামর্শ দিয়েছে টিআইবি।

ই-কমার্স প্রতারকদের লোভনীয় প্রস্তাবের খপ্পরে পড়ে নি:স্ব জাহিদুলের মতো দেশের লাখ লাখ ক্রেতা। সবচেয়ে বেশি অভিযোগ ই-ভ্যালি, ই-অরেঞ্জ, ধামাকা ডট কম, প্রিয় শপিং কিউকম সহ ২১টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। প্রতারণার ফাঁদে পড়ে ই-ভ্যালির ২ লাখ, ই-অরেঞ্জর ২ লাখ, ধামাকায় এক লাখ, প্রিয় শপিং,,কিউকমসহ ১৪টি ই-কমার্স সাইটের গ্রাহকরা খুইয়েছেন সব বিনিয়োগ। এসব ই-কমার্স সাইটের ফেসবুক পেজে গেলে দেখা যায় অসংখ্য গ্রাহকের হা হা কার। (স্কিন সট যাবে)

ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে নানা মূল্য ছাড়ের নামে বিশাল অফারের ফাঁদে ফেলে লুট করা হয়েছে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা। শুধু ই-ভ্যালির দায় ৫৪৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে মার্চেন্ট বা পণ্য সরবরাহকারীরাই পাবেন ২০৫ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। আর গ্রাহকদের পাওনা ৩১১ কোটি টাকা। ই-অরেঞ্জের শীর্ষ পাঁচ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে রাজধানীর শিল্পাঞ্চল থানায় ৬৬৩ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা হয়েছে । আবার প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ৩৭ জন গ্রাহক ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা করেন গুলশান থানায় । ধামাকা শপিংয়ের বিরুদ্ধে ৫ লাখ গ্রাহকের ৮০৩ কোটি ৫১ লাখ টাকা ও সরবরাহকারীর ২০০ কোটি টাকাসহ মোট ১ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। সাধারণ মানুষ আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও প্রতারক চক্র হাতিয়ে নিয়েছে বিপুল অংকের টাকা।

গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণায় বিব্রত ই-ক্যাব কর্মকর্তারা। সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াহেদ তমাল বলেন, প্রতারকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিভিন্ন সংস্থাকে সহযোগিতা করছে ই-ক্যাব।

ই-কমার্স ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরে অভিযোগের স্তুপ জমেছে। প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক জানান, টাকা নিয়ে ই-কমার্স ব্যবসা বন্ধে করে মালিক পালিয়ে যাওয়ায় কোন ব্যবস্থা নেয়া যাচ্ছে না।

এদিকে গ্রাহকের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে বিপুল অঙ্কের টাকা নেয়ার জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের দুর্বল ব্যবস্থাকে দায়ী করেছে টিআইবি।

ই-কমার্স খাতে আগামী দিনে প্রতারণা রোধে সরকারকে তদারকি আরো জোরদার করার পরামর্শ দেন টিআইবি নির্বাহী পরিচালক ডক্টর ইফতেখারুজ্জামান ।