ইউরোর রাউন্ড অব সিক্সটিনে অঘটনের শিকার- রাশিয়া বিশ্বকাপের দুই ফাইনালিষ্ট- ফ্রান্স ও ক্রোয়েশিয়া। টাইব্রেকে ফ্রান্সকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছেছে সুইজারল্যান্ড। ৯০ মিনিটের পর অতিরিক্ত ৩০ মিনিটেও ৩-৩ গোলের সমতায় ছিলো ম্যাচ। অন্য ম্যাচে ক্রোয়েশিয়াকে ৫-৩ গোলে হারিয়ে শেষ আটে স্পেন।

কিলিয়ান এমবাপ্পের চোখে মুখে অবিশ্বাস। ঘোর কাটতে কয়েক মূহুর্ত লাগলো সুইজারল্যান্ডেরও। পেনাল্টি শ্যুটআউটে পিএসজি তারকার শট রুখে দিয়ে ততক্ষণে ইতিহাসের পাতায় সুইসরা। প্রথমবারের মতো ইউরোর শেষ আটে রেড ক্রস।

সব মিলিয়ে ১৯৫৪ সালের পর প্রথম কোনো বড় আসরের কোয়ার্টারে ওঠা। বিপরীতে রাউন্ড অব সিক্সটিনে থামলো তারকায় ঠাসা ফ্রান্সের এবারের যাত্রা।

ম্যাচের শুরুটাও ছিলো সুইজারল্যান্ডের। ফরাসিদের বিপক্ষে লিড নিতে সময় নিলো মাত্র ১৫ মিনিট। সুইসদের এগিয়ে দেন হারিস সেফেরোভিচ।

বিরতির পর ব্যবধান দ্বিগুণ করতে পারতো সুইসরা। যদি না বাধার দেয়াল হয়ে দাঁড়াতেন হুগো লরিস।
রিকার্দো রদ্রিগেজের পেনাল্টি ঠেকিয়ে নায়ক ফ্রান্স গোলরক্ষক।

উল্টো ১৮ মিনিটের ফরাসি ঝড়ে লন্ডভন্ড সুইস রক্ষণ। ৫৭ মিনিটে শুরুটা করিম বেনজেমার। দুই মিনিটের ব্যবধানে পূর্ণ করেন গোলের জোড়া। আর ৭৫ মিনিটে শেষটায় পল পগবা।

তবে রোমাঞ্চের তখনও বাকি। শেষ দশ মিনিটে দুই গোল দিয়ে সমতায় ফেরে সুইজারল্যান্ড।

৩-৩ গোলের সমতায় কাটে অতিরিক্ত ত্রিশ মিনিটও। ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। যেখানে নিজেদের ৫ শটে শতভাগ সফল সুইজারল্যান্ড। বিপরীতে প্রথম চার শটে পগবা, জিরুদরা সফল হলেও, শেষ শটে মিস করে খলনায়কে রূপ নেন এমবাপ্পে।

শেষ ষোল’ আরেক ম্যাচে ক্রোয়েশিয়াকে গোল বন্যায় ভাসিয়ে কোয়ার্টের উঠেছে স্পেন। যদিও গোল উৎসবের শুরুটা করেছিল রাশিয়া বিশ্বকাপের রানার্স আপরা। অবশ্য প্রথামার্ধেই সারাবিয়ার গোলে সমতা আনে স্পেন।
দ্বিতীয়ার্ধে যেন বদলে যায় সাবেক চ্যাম্পিয়নরা। ৫৭ আর ৭৭ মিনিটের দুই গোলে।

তবে ক্রোয়েটদের প্রত্যাবর্তনের গল্পটা শুরু এর পরপরই। ৮৫ আর ৯২ মিনিটে দুই গোল শোধ দিয়ে শেষ আটের স্বপ্ন টিকিয়ে রাখে ক্রোয়েশিয়া।

৩-৩ গোলে সমতা। ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে। যেখানে দুই ১৫ মিনিটে দুই গোলে ক্রোয়েডদের হতাশায় ডুবায় স্পেন, নিশ্চিত করে কোয়ার্টার ফাইনাল।