আজ শুরু হচ্ছে জামালপুরের মাদারগঞ্জ থেকে বগুড়ার সারিয়াকান্দি সরাসরি ফেরি চলাচল। এতোদিন এই অঞ্চলের মানুষ ঝুঁকি নিয়ে নৌকায় যমুনা পারাপার হতো। সরাসরি ফেরি চালু হলে জামালপুরের সাথে বগুড়াসহ উত্তরাঞ্চলের বেশ কয়েকটি জেলার যোগাযোগ সহজ হবে। ঢাকায় যাতায়াতের ক্ষেত্রে তাদের প্রায় ৮০ কিলোমিটার দূরত্ব কমে যাবে।

বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার কালিতলা ও মথুরাপাড়া খেয়াঘাট থেকে, ৫০ টাকা নৌকা ভাড়ায় জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার জামথল ঘাটে আসতে সময় লাগে মাত্র পৌঁনে একঘন্টা। সময় এবং টাকা কম খরচ হওয়ায় এ পথে ঢাকাসহ বিভিন্ন প্রান্তে যাতায়াত করে বগুড়া ও উত্তরের কয়েক জেলার মানুষ। তবে, ঝুঁকি নিয়ে নৌকা পারা-পারে যুগ যুগ ধরে ভোগান্তির শিকার হয়ে আসছে তারা।

দীর্ঘদিন ধরে ফেরি চালুর দাবি করে আসছে এই অঞ্চলের মানুষ। কিন্তু আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় ঝুলে ছিলো বিষয়টি। সম্প্রতি জটিলতা কাটিয়ে মানুষের স্বপ্ন পূরণ হতে যাচ্ছে। আগামী ১২ আগস্ট আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হচ্ছে মাদারগঞ্জ-সারিয়াকান্দি ফেরি সার্ভিস। যাত্রীরা জানান, বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে ঢাকায় যাতায়াতে ৮০ কিলোমিটার পথ বেশি ঘুরে যেতে হয় তাদের। এখন সময় ও টাকা কম খরচ হবে।

ফেরির ইজারাদার জানান, অত্যাধুনিক সি-ট্রাকটি এসি কেবিনসহ দুই শতাধিক যাত্রী ও মাঝারি যান নিয়ে দিনে দু’বার পারাপার করবে। যাত্রীর চাপ বেশি হলে চারবার চলাচল করার চিন্তাও রয়েছে।

স্থানীয় সংসদ সদস্য মির্জা আজম জানান, ভবিষ্যতে ভারি ফেরি চালুর পরিকল্পনাও রয়েছে। ইতিমধ্যে নদীর দুই প্রান্তে আধুনিক টার্মিনাল, সড়ক প্রশস্থকরণ ও ড্রেজিং এর পরিকল্পনা করা হয়েছে। পদ্মা সেতু চালু হলে সেখানকার অব্যবহৃত ফেরি এই পথে চালুর উদ্যোগ নেয়া হবে।