১২:৫১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪

অনুপ্রবেশ রুখতে জার্মান সীমান্তে বাড়তি নিয়ন্ত্রণ

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০৪:৩১:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ১৬১০ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

শরণার্থী সংকট সামলাতে নাজেহাল জার্মান সরকার সীমান্তে বাড়তি নিয়ন্ত্রণ চালু করে আদম ব্যবসায়ীদের চাপে ফেলতে চাইছে৷ ইউরোপীয় স্তরে আশ্রয় সংক্রান্ত আইনের সংস্কারের পথেও বাধা দূর করতে চান চ্যান্সেলর শলৎস৷

শরণার্থীদের ঢল শুধু ইটালির মতো ইউরোপীয় ইউনিয়নের বহির্সীমানার দেশের মাথাব্যথার কারণ হচ্ছে না, ভূমধ্যসাগর থেকে দূরে থাকা সত্ত্বেও জার্মানির মতো দেশ বিষয়টিকে ঘিরে অভ্যন্তরীণ সংকটের মুখে পড়ছে৷ সরকারি সূত্র অনুযায়ী চলতি বছরের প্রথম সাত মাসে সে দেশে রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন প্রায় ৭৮ শতাংশ বেড়ে গেছে৷ তাছাড়া শুধু আগস্ট মাসেই গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৬৬ শতাংশ বেশি মানুষ জার্মানিতে প্রবেশ করেছেন৷ নথিভুক্ত এই সংখ্যার বাইরে আরো মানুষ প্রবেশ করে থাকতে পারেন বলে অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করছেন৷

চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসের তিন দলের জোট সরকারের শরিকদের মধ্যে মতপার্থক্য শরণার্থী সংকট মোকাবিলায় বাধা সৃষ্টি করছে৷ মূল স্রোতের রাজনৈতিক দলগুলির উপর ভরসা হারিয়ে আরো বেশি মানুষ চরম দক্ষিণপন্থি এএফডি দলের প্রতি সমর্থন জানাচ্ছে৷ আসন্ন রাজ্য স্তরের নির্বাচনগুলিতে এই দলের আরো উত্থানের আশঙ্কা বাড়ছে৷ জার্মান সংসদের প্রধান বিরোধী ইউনিয়ন শিবিরও এএফডি-র চাপে কোণঠাসা হয়ে পড়তে পারে, এমন সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না৷ শিবিরের অন্যতম নেতা ও বাভেরিয়ার মুখ্যমন্ত্রী মার্কুস স্যোডার শরণার্থী গ্রহণের ঊর্দ্ধসীমা স্থির করার বিতর্কিত প্রস্তাব সম্বল করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চাইছেন৷

এমন পরিস্থিতিতে জার্মান সরকার কিছু একটা করে দেখাতে বদ্ধপরিকর৷ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ন্যান্সি ফেসার বুধবার বলেছেন, যে চলতি সপ্তাহেই পোল্যান্ড ও চেক সীমান্তে বাড়তি নিয়ন্ত্রণ শুরু করবে৷ উল্লেখ্য, ২০১৫ সাল থেকেই বাভেরিয়া ও অস্ট্রিয়া সীমান্তে এমন নিয়ন্ত্রণ চালু আছে৷ তাঁর মতে, ইইউ-র বহির্সীমানায় সুরক্ষার উন্নতি করতে না পারলে রাষ্ট্রজোটের ভেতরের সীমানাগুলি বিপদের মুখে পড়বে৷ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নতুন পদক্ষেপের মাধ্যমে আদম ব্যবসায়ীদের উপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করার চেষ্টা চালানো হবে৷ জার্মানিতে প্রবেশ করা প্রায় এক-চতুর্থাংশ শরণার্থীদের জন্য এমন দুষ্কৃতিরা দায়ী বলে তিনি দাবি করেন৷ তাদের ধোঁয়াসায় রাখতে ফেসার সরকারের নতুন পদক্ষেপ সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানাচ্ছেন না৷ মঙ্গলবার ভোরে জার্মানির একাধিক অঞ্চলে অভিযান চালিয়ে ফেডারেল পুলিশ পাঁচ জন সিরীয় নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে৷

ইউরোপীয় স্তরেও শরণার্থী সংকট মোকাবিলার লক্ষ্যে ঐকমত্য অর্জন করা সহজ হচ্ছে না৷ বৃহস্পতিবার ইইউ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীরা ব্রাসেলসে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করছেন৷ রাজনৈতিক আশ্রয় ব্যবস্থার সংস্কারের দুটি আইনের খসড়া আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে৷ বিশেষ করে হাঙ্গেরি, পোল্যান্ড, চেক প্রজাতন্ত্র ও অস্ট্রিয়া অতীতের ঐকমত্য অগ্রাহ্য করে বর্তমান পরিস্থিতিতে আরো কড়া পদক্ষেপের জন্য চাপ দিচ্ছে৷

জার্মানির সরকারি জোটের মধ্যে মতপার্থক্য সত্ত্বেও চ্যান্সেলর শলৎস নিজের ক্ষমতার জোরে এক সংকটকালীন বিধির প্রস্তাবের ক্ষেত্রে জার্মানির আপত্তি তুলে নিয়েছেন বলে একাধিক সংবাদ মাধ্যম দাবি করছে৷ অর্থাৎ সবুজ দলের আপত্তি সত্ত্বেও ব্যতিক্রমি পরিস্থিতিতে শরণার্থীদের সপরিবারে ৪০ সপ্তাহ পর্যন্ত গৃহবন্দি করে রাখার প্রস্তাবের পথে জার্মানি বাধা দেবে না৷ সে ক্ষেত্রে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট রাজনৈতিক আশ্রয়ের সংস্কার সংক্রান্ত আইনের বাকি অংশগুলি নিয়ে আবার তর্কবিতর্ক শুরু করতে পারে৷ ইউরোপীয় স্তরে শেষ পর্যন্ত ঐকমত্য সম্ভব হলে আখেরে সব দেশেরই এই সংকট মোকাবিলা করতে সুবিধা হবে বলে সংস্কারের প্রবক্তারা দাবি করছেন৷

ডয়চে ভেলে

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

অনুপ্রবেশ রুখতে জার্মান সীমান্তে বাড়তি নিয়ন্ত্রণ

আপডেট সময় : ০৪:৩১:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩

শরণার্থী সংকট সামলাতে নাজেহাল জার্মান সরকার সীমান্তে বাড়তি নিয়ন্ত্রণ চালু করে আদম ব্যবসায়ীদের চাপে ফেলতে চাইছে৷ ইউরোপীয় স্তরে আশ্রয় সংক্রান্ত আইনের সংস্কারের পথেও বাধা দূর করতে চান চ্যান্সেলর শলৎস৷

শরণার্থীদের ঢল শুধু ইটালির মতো ইউরোপীয় ইউনিয়নের বহির্সীমানার দেশের মাথাব্যথার কারণ হচ্ছে না, ভূমধ্যসাগর থেকে দূরে থাকা সত্ত্বেও জার্মানির মতো দেশ বিষয়টিকে ঘিরে অভ্যন্তরীণ সংকটের মুখে পড়ছে৷ সরকারি সূত্র অনুযায়ী চলতি বছরের প্রথম সাত মাসে সে দেশে রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন প্রায় ৭৮ শতাংশ বেড়ে গেছে৷ তাছাড়া শুধু আগস্ট মাসেই গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৬৬ শতাংশ বেশি মানুষ জার্মানিতে প্রবেশ করেছেন৷ নথিভুক্ত এই সংখ্যার বাইরে আরো মানুষ প্রবেশ করে থাকতে পারেন বলে অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করছেন৷

চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসের তিন দলের জোট সরকারের শরিকদের মধ্যে মতপার্থক্য শরণার্থী সংকট মোকাবিলায় বাধা সৃষ্টি করছে৷ মূল স্রোতের রাজনৈতিক দলগুলির উপর ভরসা হারিয়ে আরো বেশি মানুষ চরম দক্ষিণপন্থি এএফডি দলের প্রতি সমর্থন জানাচ্ছে৷ আসন্ন রাজ্য স্তরের নির্বাচনগুলিতে এই দলের আরো উত্থানের আশঙ্কা বাড়ছে৷ জার্মান সংসদের প্রধান বিরোধী ইউনিয়ন শিবিরও এএফডি-র চাপে কোণঠাসা হয়ে পড়তে পারে, এমন সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না৷ শিবিরের অন্যতম নেতা ও বাভেরিয়ার মুখ্যমন্ত্রী মার্কুস স্যোডার শরণার্থী গ্রহণের ঊর্দ্ধসীমা স্থির করার বিতর্কিত প্রস্তাব সম্বল করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চাইছেন৷

এমন পরিস্থিতিতে জার্মান সরকার কিছু একটা করে দেখাতে বদ্ধপরিকর৷ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ন্যান্সি ফেসার বুধবার বলেছেন, যে চলতি সপ্তাহেই পোল্যান্ড ও চেক সীমান্তে বাড়তি নিয়ন্ত্রণ শুরু করবে৷ উল্লেখ্য, ২০১৫ সাল থেকেই বাভেরিয়া ও অস্ট্রিয়া সীমান্তে এমন নিয়ন্ত্রণ চালু আছে৷ তাঁর মতে, ইইউ-র বহির্সীমানায় সুরক্ষার উন্নতি করতে না পারলে রাষ্ট্রজোটের ভেতরের সীমানাগুলি বিপদের মুখে পড়বে৷ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নতুন পদক্ষেপের মাধ্যমে আদম ব্যবসায়ীদের উপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করার চেষ্টা চালানো হবে৷ জার্মানিতে প্রবেশ করা প্রায় এক-চতুর্থাংশ শরণার্থীদের জন্য এমন দুষ্কৃতিরা দায়ী বলে তিনি দাবি করেন৷ তাদের ধোঁয়াসায় রাখতে ফেসার সরকারের নতুন পদক্ষেপ সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানাচ্ছেন না৷ মঙ্গলবার ভোরে জার্মানির একাধিক অঞ্চলে অভিযান চালিয়ে ফেডারেল পুলিশ পাঁচ জন সিরীয় নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে৷

ইউরোপীয় স্তরেও শরণার্থী সংকট মোকাবিলার লক্ষ্যে ঐকমত্য অর্জন করা সহজ হচ্ছে না৷ বৃহস্পতিবার ইইউ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীরা ব্রাসেলসে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করছেন৷ রাজনৈতিক আশ্রয় ব্যবস্থার সংস্কারের দুটি আইনের খসড়া আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে৷ বিশেষ করে হাঙ্গেরি, পোল্যান্ড, চেক প্রজাতন্ত্র ও অস্ট্রিয়া অতীতের ঐকমত্য অগ্রাহ্য করে বর্তমান পরিস্থিতিতে আরো কড়া পদক্ষেপের জন্য চাপ দিচ্ছে৷

জার্মানির সরকারি জোটের মধ্যে মতপার্থক্য সত্ত্বেও চ্যান্সেলর শলৎস নিজের ক্ষমতার জোরে এক সংকটকালীন বিধির প্রস্তাবের ক্ষেত্রে জার্মানির আপত্তি তুলে নিয়েছেন বলে একাধিক সংবাদ মাধ্যম দাবি করছে৷ অর্থাৎ সবুজ দলের আপত্তি সত্ত্বেও ব্যতিক্রমি পরিস্থিতিতে শরণার্থীদের সপরিবারে ৪০ সপ্তাহ পর্যন্ত গৃহবন্দি করে রাখার প্রস্তাবের পথে জার্মানি বাধা দেবে না৷ সে ক্ষেত্রে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট রাজনৈতিক আশ্রয়ের সংস্কার সংক্রান্ত আইনের বাকি অংশগুলি নিয়ে আবার তর্কবিতর্ক শুরু করতে পারে৷ ইউরোপীয় স্তরে শেষ পর্যন্ত ঐকমত্য সম্ভব হলে আখেরে সব দেশেরই এই সংকট মোকাবিলা করতে সুবিধা হবে বলে সংস্কারের প্রবক্তারা দাবি করছেন৷

ডয়চে ভেলে