হেফাজত ইসলামের আমীর আল্লামা শফির অবস্থা সংকটাপন্ন। এয়ার এম্বুলেন্সে তাকে ঢাকায় আনা হচ্ছে। গতরাতে ছাত্র বিক্ষোভের মুখে পদত্যাগের পর আহমদ শফীকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিলো। সেখান থেকেই বিকেলে তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। তিনি বার্ধক্যজনিত দুর্বলতার পাশাপাশি ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও শ্বাসকষ্টে ভুগছেন।

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে বৃহস্পতিবার রাতে মজলিসে শূরার জরুরী বৈঠকে হাটহাজারী মাদ্রাসার মহাপরিচালকের পদ থেকে স্বেচ্ছায় সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন হেফাজত আমির শাইখুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফী। এরপর তাকে উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। এছাড়া বৈঠকে মাওলানা নুরুল ইসলাম কক্সবাজারীকে অব্যাহতি দেয়ার পাশাপাশি আহমদ শফীর ছেলে- মাওলানা আনাস মাদানীর বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত বহাল রাখা হয়। এরপর আন্দোলনকারীরা তাদের কর্মসূচি স্থগিত করলে রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ পুলিশ ও রেবসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সমস্যরা মাদ্রাসার সামনে থেকে সরে যায় এবং চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। পরে মাদ্রাসার বাইরে থাকা শিক্ষার্থীরা মাদ্রাসায় প্রবেশ করে। কিন্তু বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শর্ত না মানার অভিযোগে শিক্ষা মন্ত্রণালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য হাটহাজারী মাদ্রাসা বন্ধ ঘোষণা করে। এতে পুরো হাটহাজারী উপজেলা জুড়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে।