টেস্ট সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পেস আক্রমণের সাথে লড়াই হবে বাংলাদেশ স্পিনারদের
- আপডেট সময় : ০৯:১৭:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২১
- / ১৫০৪ বার পড়া হয়েছে
বরাবরের মতো টেস্ট সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পেস আক্রমণের সাথে লড়াই হবে বাংলাদেশ স্পিনারদের। তবে, ব্যাটিং বিভাগে ক্যারিবিয়দের তুলনায় সাকিব, তামিম, মুশফিক ও মমিনুলদের মতো অভিজ্ঞদের কারণে এগিয়ে থাকবে বাংলাদেশ। মূলত এ কারণেই ব্যববধান গড়ে উঠতে পারে আসন্ন টেস্ট সিরিজে।
করোনায় দীর্ঘ ১১ মাস বাইরে কাটিয়েও মাঠের লড়াইয়ে উজ্জ্বল বাংলাদেশের ক্রিকেট। প্রত্যাবর্তনের সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৩-০ তে হোয়াইট ওয়াশ করেছে তামিম সাকিবরা। এবার মিশন টেস্ট সিরিজ।
উইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা দেয়ার পর দিন থেকে টেস্টে সিরিজের প্রস্তুতি শুরু করে বাংলাদেশ। কেন না ক্যারিবিয় টেস্ট দলটি এতটা অনভিজ্ঞ নয়। ওয়ানডে তুলনায় বেশ শক্তিশালী। বিশেষ করে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বোলিং ডিপার্টমেন্টে। আরও নির্দিষ্ট করে বললে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পেস বনাম বাংলাদেশের স্পিন আক্রমণ।
ক্যারিবিয় বোলিং আক্রমণে দুই পেসার কেমার রোচ ও শেনন গ্যাব্রিয়েল। বাংলাদেশের বিপক্ষে দুর্দান্ত রেকর্ড এ দুই পেসারের। ৮ ম্যাচে ৩৩ উইকেট রোচের। কম যান না গ্যাব্রিয়েলও। টাইগারদের বিপক্ষে ৫ ম্যাচে এই পেসার নিয়েছেন ১৮ উইকেট।
টেস্ট স্কোয়াডে থাকা ক্যারিবিয় তিন পেসার কেমার রোচ, গ্যাব্রিয়েল ও আলজারি জোসেফ। টেস্টে ক্রিকেটে এই তিন পেসারের ৩৮৬ উইকেটের বিপরীতে বাংলাদেশের তিন পেসার মোস্তাফিজ, রাহী ও ইবাদতদের শিকার মাত্র ৫৮ উইকেট।
যে কারণে এবারও বাংলাদেশের স্পিন নির্ভরতা। নির্ভারতা সাকিব-মিরাজে। ক্যারিবিয়দের বিপক্ষে ১০ ম্যাচে সাকিবের ঝুলিতে ৪৬ উইকেট। ৪ ম্যাচে ২৫ উইকেট নিয়ে সাফল্যের বিচারে আরও এগিয়ে মিরাজ। সাফল্যে’র তালিকায় আছেন তাইজুল-নাঈম হাসানও।
তবে, ব্যাটিং ডিপার্টমেন্টের লড়াইয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ। সাকিব, তামিম, মুশফিক, সেই সাথে ক্যারিবিয়দের বড় হুমকি হতে পারেন টাইগার ক্যাপ্টেন মমিনুল হক। কেন না সাগরিকায় ৯ ম্যাচে ৭৫’রও বেশি গড়ে ১ হাজার ৫৬ রান মমিনুলের। নামের পাশে আছে ছয় ছয়টি সেঞ্চুরি।