০৭:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ক্ষমতাচ্যুতির পর গা-ঢাকায় হানিফ-আতা, কুষ্টিয়াবাসীর প্রত্যাশা দু:শাসনের অধ্যায় আর না ফিরুক

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০৪:২৯:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / ১৫০৬ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মাহবুব-উল আলম হানিফ। দীর্ঘদিনের ক্ষমতাকে পুঁজি করে তিনি গড়ে তুলেছিলেন প্রভাব-প্রতিপত্তি আর বিপুল সম্পদ। অভিযোগ আছে- রাজনীতির আড়ালে গড়ে তুলেছিলেন অর্থ উপার্জনের সাম্রাজ্য। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর গা-ঢাকা দেন তিনি । একইসঙ্গে আত্মগোপনে চলে যান তার চাচাতো ভাই আতাউর রহমান আতা। কুষ্টিয়ার সাধারণ মানুষ এখন বলছেন, দু:শাসনের এই অধ্যায় যেন আর ফিরে না আসে।

মাহবুবউল আলম হানিফের দীর্ঘ ১৫ বছরের রাজনীতিতে ছিলেন প্রভাবশালী এক নেতা। দলের পদ-পদবি বাণিজ্য, টেন্ডারবাজি, ঠিকাদারি কাজ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ। কারওয়ান বাজারে বিএমটিসি ভবনে কোয়েস্ট ইন্টারন্যাশনাল নামে অফিসে বসে নিয়ন্ত্রণ করতেন সবকিছু। স্ত্রীর নামে কুষ্টিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইসেন্স নিয়ে চালু করেছিলেন লালন বিজ্ঞান ও কলা বিশ্ববিদ্যালয়।

হানিফের অন্যতম দোসর ছিলেন চাচাতো ভাই আতাউর রহমান আতা। কেয়ারটেকার থেকে উপজেলা চেয়ারম্যান, তারপর কুষ্টিয়ার টেন্ডারবাজি, হাট-ঘাট, বালুর ঘাটসহ হানিফের সকল অপকর্মের একমাত্র সিপাহসালাহ ছিলো আতা।

স্থানীয় বিভিন্ন দলের নেতারা বলছেন, হানিফ আর আতা দুই ভাই মিলে ধ্বংস করেছেন কুষ্টিয়ার রাজনীতি। বিএনপি-জামায়াতের অসংখ্য নেতাকর্মী হামলা, মিথ্যা মামলা আর দমন-পীড়নে দীর্ঘদিন ধরে ছিলেন বাড়ি ছাড়া। অসংখ্য মানুষ হয়েছেন ভুক্তভোগী।

বিগত আওয়ামীলীগ সরকারের শাসনমলে হানিফের বিরুদ্ধে অনিয়ম দূর্নীতির সংবাদ প্রকাশ করে সাংবাদিকরাও পড়েছেন রোষানলে। একাধিক সাংবাদিককে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল খাটিয়েছেন হানিফ এবং তার দোসররা।

৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর রাতারাতি গা-ঢাকা দেন হানিফ ও আতা। লুটপাট হয় তাদের বাড়িঘর। দুদকের অনুসন্ধানে বেরিয়েছে শত শত কোটি টাকার সম্পদের তথ্য।

একসময় ক্ষমতার শীর্ষে থাকা এই দুই নেতা এখন আত্মগোপনে। কুষ্টিয়াবাসীর দাবি অসংখ্য মানুষকে বিনা অপরাধে হয়রানি, নানা অনিয়ম দুর্নীতি-অত্যাচারের বিচার নিশ্চিত করতে হবে।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ক্ষমতাচ্যুতির পর গা-ঢাকায় হানিফ-আতা, কুষ্টিয়াবাসীর প্রত্যাশা দু:শাসনের অধ্যায় আর না ফিরুক

আপডেট সময় : ০৪:২৯:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মাহবুব-উল আলম হানিফ। দীর্ঘদিনের ক্ষমতাকে পুঁজি করে তিনি গড়ে তুলেছিলেন প্রভাব-প্রতিপত্তি আর বিপুল সম্পদ। অভিযোগ আছে- রাজনীতির আড়ালে গড়ে তুলেছিলেন অর্থ উপার্জনের সাম্রাজ্য। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর গা-ঢাকা দেন তিনি । একইসঙ্গে আত্মগোপনে চলে যান তার চাচাতো ভাই আতাউর রহমান আতা। কুষ্টিয়ার সাধারণ মানুষ এখন বলছেন, দু:শাসনের এই অধ্যায় যেন আর ফিরে না আসে।

মাহবুবউল আলম হানিফের দীর্ঘ ১৫ বছরের রাজনীতিতে ছিলেন প্রভাবশালী এক নেতা। দলের পদ-পদবি বাণিজ্য, টেন্ডারবাজি, ঠিকাদারি কাজ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ। কারওয়ান বাজারে বিএমটিসি ভবনে কোয়েস্ট ইন্টারন্যাশনাল নামে অফিসে বসে নিয়ন্ত্রণ করতেন সবকিছু। স্ত্রীর নামে কুষ্টিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইসেন্স নিয়ে চালু করেছিলেন লালন বিজ্ঞান ও কলা বিশ্ববিদ্যালয়।

হানিফের অন্যতম দোসর ছিলেন চাচাতো ভাই আতাউর রহমান আতা। কেয়ারটেকার থেকে উপজেলা চেয়ারম্যান, তারপর কুষ্টিয়ার টেন্ডারবাজি, হাট-ঘাট, বালুর ঘাটসহ হানিফের সকল অপকর্মের একমাত্র সিপাহসালাহ ছিলো আতা।

স্থানীয় বিভিন্ন দলের নেতারা বলছেন, হানিফ আর আতা দুই ভাই মিলে ধ্বংস করেছেন কুষ্টিয়ার রাজনীতি। বিএনপি-জামায়াতের অসংখ্য নেতাকর্মী হামলা, মিথ্যা মামলা আর দমন-পীড়নে দীর্ঘদিন ধরে ছিলেন বাড়ি ছাড়া। অসংখ্য মানুষ হয়েছেন ভুক্তভোগী।

বিগত আওয়ামীলীগ সরকারের শাসনমলে হানিফের বিরুদ্ধে অনিয়ম দূর্নীতির সংবাদ প্রকাশ করে সাংবাদিকরাও পড়েছেন রোষানলে। একাধিক সাংবাদিককে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল খাটিয়েছেন হানিফ এবং তার দোসররা।

৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর রাতারাতি গা-ঢাকা দেন হানিফ ও আতা। লুটপাট হয় তাদের বাড়িঘর। দুদকের অনুসন্ধানে বেরিয়েছে শত শত কোটি টাকার সম্পদের তথ্য।

একসময় ক্ষমতার শীর্ষে থাকা এই দুই নেতা এখন আত্মগোপনে। কুষ্টিয়াবাসীর দাবি অসংখ্য মানুষকে বিনা অপরাধে হয়রানি, নানা অনিয়ম দুর্নীতি-অত্যাচারের বিচার নিশ্চিত করতে হবে।