বরিশালে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে হারিয়ে গেছে রুটিন মাফিক জীবনধারা
- আপডেট সময় : ১০:৪৮:০৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ জুন ২০২০
- / ১৫০৬ বার পড়া হয়েছে
করোনায় বরিশালে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে হারিয়ে গেছে রুটিন মাফিক জীবনধারা। যে কারণে লেখাপড়ার প্রতিও অনেকেরই এসেছে অনীহা। প্রাইমারী ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝেই এটি বেশি বিরাজ করছে। কিন্তু এ নিয়ে তেমন চিন্তিত নন অভিভাবকরা। তাদের কাছে সন্তানের সুস্থ্যতাই আগে। আর শিক্ষাবিদ ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের পরামর্শ, সন্তানদের পড়াশুনা বাড়ীতেও অব্যাহত রাখতে আরো সচেতন হতে হবে অভিভাবকদের।
সাধারণ ছুটি ঘোষণার পর ২৫ মার্চ থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায়, পাল্টে গেছে শিক্ষার্থীদের প্রতিদিনের রুটিন। আগে ভোর বেলা ঘুম থেকে উঠলেও এখন ওঠে বেলা করে। আবার ঘুম থেকে উঠে পড়ার টেবিলে কিছু সময় কাটানোর পর শুরু হয় নিজেদের পছন্দের কর্মকান্ড। কম্পিউটার, টাচ মোবাইল এবং টেলিভিশনের পিছনেই পার করে বেশি সময়। গভীর রাত অব্দি চলছে এসব কর্মকান্ড। এতে বছরের ৫ মাস শেষ হলেও এখনো বইয়ের তিন ভাগের এক ভাগও সম্পন্ন করতে পারেনি শিক্ষার্থীরা। স্কুলে পাঠদান এবং গৃহশিক্ষক না থাকায় পড়াশুনা এগোচ্ছে না বলে জানান তারা।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা থাকার সময় যেভাবে পড়াশুনার গতি ছিল এখন সেটি নেই। তারপরও ঘর থেকে যাতে বাহিরে বের না হয় সেজন্য পড়াশুনায় চাপ দেয়া হচ্ছে না বলে জানান অভিভাবকরা।সন্তানের ভালো থাকাটা অগ্রাধিকার দেন তারা। অভিভাবকরা শিক্ষকদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে সন্তানের পড়াশুনায় গতি আনতে পারেন, বললেন এ শিক্ষাবিদ। আর জেলা প্রশাসক বললেন, করোনা প্রাদুর্ভাব কেটে গেলে শিক্ষার্থীদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে বিশেষ উদ্যোগ নেয়া হবে। দীর্ঘ মেয়াদে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায়, শিক্ষার্থীদের পড়াশুনার প্রতি ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।