৫ম দফায় আরো ২ হাজার ২৬০ জন রোহিঙ্গা নাগরিককে স্থানান্তর করা হচ্ছে ভাষানচরে। সকালে নৌবাহিনীর ৬ টি জাহাজ সেচ্ছায় স্থানান্তরিত হতে ইচ্ছুক বাংলাদেশে আশ্রিত এই রোহিঙ্গাদের নিয়ে চট্টগ্রামের বোট ক্লাবের জেটি থেকে ছেড়ে যায়।

এর আগে ভোরে কক্সবাজারের ট্রানজিট ক্যম্প থেকে ৩৫ গাড়িতে করে রোহিঙ্গাদের নিয়ে আসা হয় চট্টগ্রামের পতেঙ্গায়। সেখানে নৌবাহিনীর তত্বাবধানে রাখার পর বোটক্লাবের জেটিতে অবস্থানকরা জাহাজে নিয়ে আসা হয়। স্থানান্তরিত হওয়া রোহিঙ্গারা জানান, আগের ৪ দফায় ভাসানচড়ে যাওয়া প্রায় ১০ হাজার রোহিঙ্গার মুখে সেখানকার উন্নত জীবন আর জিবিকার নিশ্চয়তার কথা শুনে ভাসানচড়ে যেতে উদ্বুদ্ধ হয়েছেন তারা। আর একলাখ রোহিঙ্গা স্থানান্তরের দায়িত্বে থাকা নৌ-বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা জানান, ভাসানচর সম্পর্কে দেশী-বিদেশী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অপপ্রচারের কারণে শুরুতে বিভ্রান্ত হলেও এখন রোহিঙ্গাদের মধ্যে স্থানান্তর হওয়ার আগ্রহ বেড়েছে। আজ ৫ম দফার প্রথম দিনে দুই হাজার রোহিঙ্গা স্থানান্তরের প্রস্তুতি থাকলেও আজ তাদের আগ্রহের কারণে শেষ মুহুর্তে স্থানান্তরের তালিকায় আরো ২৬০ জনকে অন্তরর্ভুক্ত করা হয়েছে। দুপুরের পর রোহিঙ্গা বোঝায় জাহাজ ভাসানচরে পৌঁছলে প্রথমে তাদেরকে নেয়া হবে বেজ ক্যাম্পে। সেখানে দিক নির্দেশনামুলক বক্তব্যের পর নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের সঙ্গে তাদের জন্য নির্ধারিত ঘরগুলো বুঝিয়ে দেয়া হবে বলেও জানায় নৌবাহিনী।