০৪:০০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

সুরমা নদী উপচে শহরে পানি : ৬ উপজেলার তিন লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০৮:৪৪:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ মে ২০২২
  • / ১৫৪০ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটেছে। বৃষ্টি কমলেও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ১৩ উপজেলার ৯টি বন্যা কবলিত। তবে, ৬টির পরিস্থিতি ভয়াবহ। তিন লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি। বেশিরভাগ উপজেলা সদরের সাথে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। সুরমা নদী উপচে সিলেট শহরের বিভিন্ন এলাকায় পানি ঢুকেছে। জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা জানান, সোমবার পর্যন্ত চার হাজার ১২৯ মেট্রিক টন চাল আর এক হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।

সিলেটের তিন নদী সুরমা,কুশিয়ারা ও সারি’র পানি আলাদা স্থানে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায়, সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অবণতি হয়েছে। জেলার ১৩টি উপজেলার মধ্যে ৯টি উপজেলা বন্যা কবলিত। তবে ৬টি উপজেলার অবস্থা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। ৩ লক্ষাধিক মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছে।

সুরমার পানি সিলেট পয়েন্টে বিপদসীমার ১০ দশমিক ৬৬ সেন্টিমিটার; কুশিয়ারা নদীর পানি আমলশিদ পয়েন্টে বিপদসীমার ৬ দশমিক ৯৬ সেন্টি মিটার এবং ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে ৮ দশমিক ৭৪ সেন্টিমিটার; গোয়াইনঘাটের সারি নদীর পানি বিপদসীমার ৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে এবং কানাইঘাটে লোভা নদীর পানি বিপদসীমার ১৪ দশমিক ৬৫ সেন্টি মিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

সীমান্তবর্তী উপজেলা গোয়াইনঘাট, কানাইঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, জৈন্তাপুর,ফেঞ্চুগঞ্জ ও জকিগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। জকিগঞ্জে সুরমার পাড় ভেঙে উপজেলার বারহাল, মানিকপুর, কাজলসার ও বিরশ্রী ইউনিয়নের অর্ধ লক্ষাধিক লোক নতুন করে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বন্যা কবলিত এলাকার মধ্যে গোয়াইনঘাট উপজেলার অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। ১২টি ইউনিয়নের ১১টিই বন্যা কবলিত।

সিলেট-৫ জকিগঞ্জ-কানাইঘাট আসনের এমপি হাফিজ আহমদ মজুমদার বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন।

সুরমা নদীর তীর উপচে সিলেট শহরের বিভিন্ন এলাকায় পানি প্রবেশ করে নগরীর উপশহর, সোবহানিঘট, কালিঘাট, ছড়ারপাড়, শেখঘাট, তালতলা, মাছিমপুরসহ বিভিন্ন এলাকার সড়ক তলিয়ে গেছে। পানি ঢুকেছে নিম্নাঞ্চলের বাসা বাড়িতে। পানিবন্দি মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে।

জেলা ত্রাণ বিষয়ক কর্মকর্তা জানান, বন্যার্তদের মাঝে চাল ও শুকনো খাবার বিতরণ করা হচ্ছে।

সিলেটে বৃষ্টিপাত কমলেও ভারত থেকে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণেই বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় আবহাওয়া অফিস।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

সুরমা নদী উপচে শহরে পানি : ৬ উপজেলার তিন লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি

আপডেট সময় : ০৮:৪৪:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ মে ২০২২

সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটেছে। বৃষ্টি কমলেও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ১৩ উপজেলার ৯টি বন্যা কবলিত। তবে, ৬টির পরিস্থিতি ভয়াবহ। তিন লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি। বেশিরভাগ উপজেলা সদরের সাথে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। সুরমা নদী উপচে সিলেট শহরের বিভিন্ন এলাকায় পানি ঢুকেছে। জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা জানান, সোমবার পর্যন্ত চার হাজার ১২৯ মেট্রিক টন চাল আর এক হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।

সিলেটের তিন নদী সুরমা,কুশিয়ারা ও সারি’র পানি আলাদা স্থানে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায়, সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অবণতি হয়েছে। জেলার ১৩টি উপজেলার মধ্যে ৯টি উপজেলা বন্যা কবলিত। তবে ৬টি উপজেলার অবস্থা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। ৩ লক্ষাধিক মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছে।

সুরমার পানি সিলেট পয়েন্টে বিপদসীমার ১০ দশমিক ৬৬ সেন্টিমিটার; কুশিয়ারা নদীর পানি আমলশিদ পয়েন্টে বিপদসীমার ৬ দশমিক ৯৬ সেন্টি মিটার এবং ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে ৮ দশমিক ৭৪ সেন্টিমিটার; গোয়াইনঘাটের সারি নদীর পানি বিপদসীমার ৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে এবং কানাইঘাটে লোভা নদীর পানি বিপদসীমার ১৪ দশমিক ৬৫ সেন্টি মিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

সীমান্তবর্তী উপজেলা গোয়াইনঘাট, কানাইঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, জৈন্তাপুর,ফেঞ্চুগঞ্জ ও জকিগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। জকিগঞ্জে সুরমার পাড় ভেঙে উপজেলার বারহাল, মানিকপুর, কাজলসার ও বিরশ্রী ইউনিয়নের অর্ধ লক্ষাধিক লোক নতুন করে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বন্যা কবলিত এলাকার মধ্যে গোয়াইনঘাট উপজেলার অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। ১২টি ইউনিয়নের ১১টিই বন্যা কবলিত।

সিলেট-৫ জকিগঞ্জ-কানাইঘাট আসনের এমপি হাফিজ আহমদ মজুমদার বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন।

সুরমা নদীর তীর উপচে সিলেট শহরের বিভিন্ন এলাকায় পানি প্রবেশ করে নগরীর উপশহর, সোবহানিঘট, কালিঘাট, ছড়ারপাড়, শেখঘাট, তালতলা, মাছিমপুরসহ বিভিন্ন এলাকার সড়ক তলিয়ে গেছে। পানি ঢুকেছে নিম্নাঞ্চলের বাসা বাড়িতে। পানিবন্দি মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে।

জেলা ত্রাণ বিষয়ক কর্মকর্তা জানান, বন্যার্তদের মাঝে চাল ও শুকনো খাবার বিতরণ করা হচ্ছে।

সিলেটে বৃষ্টিপাত কমলেও ভারত থেকে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণেই বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় আবহাওয়া অফিস।