০১:০১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

সিলেটে বন্যায় নগর পরিকল্পনার অভাব এবং অদক্ষতাকে দুষছেন পরিবেশবিদরা

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০৬:৩৯:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ মে ২০২২
  • / ১৫৪৫ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় ডুবেছে সিলেট মহানগরী। সিলেটের নদনদীর নাব্য কমে যাওয়া এবং মহানগরীর শহর রক্ষাবাঁধ নির্মাণ, ছড়া-খাল ভরাট ও দখল করে সরকারি বেসরকারি ভবণ নির্মাণ করে পানি প্রবাহের পথ বন্ধ করাকে দায়ী করা হচ্ছে। নগর পরিকল্পনার অভাব এবং অদক্ষতাই এ বিপর্যয়ের কারণ– বলছেন বিশেষজ্ঞ ও পরিবেশবিদরা। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে সিসিক মেয়র বলছেন, অনেক আগেই অপরিকল্পিত বাসা-বাড়ি নির্মাণ হয়েছে।

টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ী ঢলে দু সপ্তাহ ধরে বন্যার পানিতে তলিয়ে যায় সিলেট মহানগরী ও এর নিম্নাঞ্চল। ২০০৪ সালে বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ার পর ঢাক-ঢোল পিটিয়ে নগরীকে ঢেলে সাজানোর স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন জনপ্রতিনিধিরা। ১৮ বছর পর আবারো একই দশা।

নগরীর পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা থাকলেও শতভাগ উদ্ধার ছড়া ও খাল, হয়নি খননও। কোথাও কোথাও খালের উপর ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। শহরের বর্জ্য ও পলিথিনে ভরাট ছোট জলাশয়গুলো। পানি ধারণের অন্যতম উৎস মহানগরের জলাশয়গুলো নাগরিক সুবিধা দিতে গিয়ে ধীরে ধীরে ভরাট হয়ে গেছে। লালদীঘি, মাছুদীঘি, চারাদীঘির অস্তিত্ব বিলীন হতে চলেছে। ফলে টানা বৃষ্টি বা উজানের ঢলে নদীর পানি উপচে পড়লে পানি ধারণের আর ক্ষমতা থাকে না ছড়া ও খালগুলোর। তখনি বাধে বিপত্তি। শহরে পানি ঢুকে বন্যার সৃষ্টি হয়।

নগরের শাহপরান সেতু থেকে কুমারগাঁও পর্যন্ত সুরমা নদীর অস্তিত্ব প্রায় ১৪ কিলোমিটার। তাকে ঘিরে বাঁধ নির্মাণ হলে হঠাৎ তলিয়ে যাওয়া ঠেকানো যাবে বলে মনে করছেন নগরবাসী। গত দুই দশকের এই জোরালো দাবিতে কর্ণপাত করেননি কেউ।

বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও পানি নিষ্কাশনে কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা মত কাজ না করে হয়েছে দুর্নীতি। ফলে ভোগান্তি বেড়েছে নগরবাসীর।

সংশ্লিষ্টদের উদাসিনতা ও লুটপাটের মনোভাব এখন ছবির মতো স্পষ্ট। অসৎ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানালেন পরিবেশ কর্মীদের।

সিলেট মহানগরের ড্রেনের মুখে স্লুইস গেট বসানো থাকলে নদীর পানি বাড়লেও শহরে পানি প্রবেশ বন্ধ করা যেতো বলে মত পানি উন্নয়ন বোর্ডের এই কর্মকর্তা।

সিটি এলাকায় জলাবদ্ধতা হয় না বলে জানালেন সিটি মেয়র।

সুরমা নদী খননসহ সিলেটে বন্যা সৃষ্টির সকল প্রতিবন্ধকতা দূর করা হবে এমন প্রত্যাশা সকলের।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

সিলেটে বন্যায় নগর পরিকল্পনার অভাব এবং অদক্ষতাকে দুষছেন পরিবেশবিদরা

আপডেট সময় : ০৬:৩৯:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ মে ২০২২

 

স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় ডুবেছে সিলেট মহানগরী। সিলেটের নদনদীর নাব্য কমে যাওয়া এবং মহানগরীর শহর রক্ষাবাঁধ নির্মাণ, ছড়া-খাল ভরাট ও দখল করে সরকারি বেসরকারি ভবণ নির্মাণ করে পানি প্রবাহের পথ বন্ধ করাকে দায়ী করা হচ্ছে। নগর পরিকল্পনার অভাব এবং অদক্ষতাই এ বিপর্যয়ের কারণ– বলছেন বিশেষজ্ঞ ও পরিবেশবিদরা। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে সিসিক মেয়র বলছেন, অনেক আগেই অপরিকল্পিত বাসা-বাড়ি নির্মাণ হয়েছে।

টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ী ঢলে দু সপ্তাহ ধরে বন্যার পানিতে তলিয়ে যায় সিলেট মহানগরী ও এর নিম্নাঞ্চল। ২০০৪ সালে বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ার পর ঢাক-ঢোল পিটিয়ে নগরীকে ঢেলে সাজানোর স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন জনপ্রতিনিধিরা। ১৮ বছর পর আবারো একই দশা।

নগরীর পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা থাকলেও শতভাগ উদ্ধার ছড়া ও খাল, হয়নি খননও। কোথাও কোথাও খালের উপর ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। শহরের বর্জ্য ও পলিথিনে ভরাট ছোট জলাশয়গুলো। পানি ধারণের অন্যতম উৎস মহানগরের জলাশয়গুলো নাগরিক সুবিধা দিতে গিয়ে ধীরে ধীরে ভরাট হয়ে গেছে। লালদীঘি, মাছুদীঘি, চারাদীঘির অস্তিত্ব বিলীন হতে চলেছে। ফলে টানা বৃষ্টি বা উজানের ঢলে নদীর পানি উপচে পড়লে পানি ধারণের আর ক্ষমতা থাকে না ছড়া ও খালগুলোর। তখনি বাধে বিপত্তি। শহরে পানি ঢুকে বন্যার সৃষ্টি হয়।

নগরের শাহপরান সেতু থেকে কুমারগাঁও পর্যন্ত সুরমা নদীর অস্তিত্ব প্রায় ১৪ কিলোমিটার। তাকে ঘিরে বাঁধ নির্মাণ হলে হঠাৎ তলিয়ে যাওয়া ঠেকানো যাবে বলে মনে করছেন নগরবাসী। গত দুই দশকের এই জোরালো দাবিতে কর্ণপাত করেননি কেউ।

বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও পানি নিষ্কাশনে কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা মত কাজ না করে হয়েছে দুর্নীতি। ফলে ভোগান্তি বেড়েছে নগরবাসীর।

সংশ্লিষ্টদের উদাসিনতা ও লুটপাটের মনোভাব এখন ছবির মতো স্পষ্ট। অসৎ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানালেন পরিবেশ কর্মীদের।

সিলেট মহানগরের ড্রেনের মুখে স্লুইস গেট বসানো থাকলে নদীর পানি বাড়লেও শহরে পানি প্রবেশ বন্ধ করা যেতো বলে মত পানি উন্নয়ন বোর্ডের এই কর্মকর্তা।

সিটি এলাকায় জলাবদ্ধতা হয় না বলে জানালেন সিটি মেয়র।

সুরমা নদী খননসহ সিলেটে বন্যা সৃষ্টির সকল প্রতিবন্ধকতা দূর করা হবে এমন প্রত্যাশা সকলের।