০৪:৩৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

রেনু আহরনে এক যুগের রেকর্ড ছাড়ালো হালদা

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০২:১১:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ মে ২০২০
  • / ১৫০৬ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

রেকর্ড পরিমাণ ডিম আহরণের পর এবার রেণু ফোটাতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন হালদার জেলেরা। সবকিছু ঠিক থাকলে মঙ্গলবার থেকে বাজারজাত শুরু হবে এসব মাছের রেণু। নদী বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হালদা রক্ষায় এবারের মতো সমন্বিত উদ্যোগ ও প্রাকৃতিক পরিবেশ টিকিয়ে রাখা গেলে বিপুল পরিমাণ মাছের ডিম আহরণের এই ধারা অব্যাহত রাখা সম্ভব হবে। আর পরিবেশ কর্মীরা বলছেন, সঠিক গবেষণা আর বিজ্ঞানভিত্তিক উদ্যোগ নিতে পারলে আহরিত ডিম থেকে অনেক বেশী রেণু রূপান্তরসহ বিশ্বের বুকে উন্মুক্তভাবে তুলে ধরা যাবে রহস্যময়ী হালদাকে

শুক্রুবার হালদা নদী থেকে সংগ্রহ করা বিপুল পরিমান দেশীয় মাছের ডিমকে রেণুতে রুপান্তরে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন আহরণকারিরা। হ্যাচারির বাইরে ব্যাক্তি পর্যায়েও বেশ কিছু মাটির কুয়াতেও রেণু রুপান্তরের কাজ চলছে দিনে রাতে। গেল ১০ বছরের পরিসংখ্যন বলছে সবচেয়ে কম ডিম আহরণ হয়েছিলো ২০১৪ সালে মাত্র ৫ শো কেজি, ৪ বছর পর ২০১৮ সালে তা ছাড়িয়েছিলো ২২ হাজার কেজি, যদিও ২০১৯ সালে আবার নেমে এসেছিলো ৭ হাজার কেজিতে। আর এবার ছাড়ালো এক যুগের রেকর্ড। অবিশ্বাস্য এই সাফল্যের কারণ তুলে ধরলেন হালদা গবেষকরা।

হালদা থেকে উৎপাদিত রেণু প্রতিকেজির বাজারদর এক লাখ টাকারও বেশী। কিন্তু এক কেজি রেণু উৎপাদন করতে ৪০ থেকে ৬০ কেজি ডিমের প্রয়োজন পড়ে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডিম আহরণ থেকে শুরু করে রেণু রূপান্তর সবকিছুই চলে সনাতন পদ্ধতিতে। এখানে বিজ্ঞানের সমন্ময় ঘটাতে পারলে সুফল আসতো অনেক বেশী। অধ্যাপক ইদ্রিস আলী মনে করেন, আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত গবেষকদের অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে হালদার জীব-বৈচিত্র রক্ষার উদ্যোগ নিলে বিশ্বের বিষ্ময় হিসেবে স্বীকৃতি পেতে পারে এই হালদা নদী। আর অধ্যাপক মনজুরুল কিবরিয়া বলছেন, দৈনিক ১৮ কোটি লিটার সুপেয় পানি ছাড়াও দেশের জাতীয় অর্থনীতিতে এককভাবে হালদা যে ভুমিকা রাখে তার সিকি ভাগ খরচ করা হয়না নদীটির রক্ষনাবেক্ষণে। সেটাফ ও প্রয়োজনে  মা মাছ রক্ষার স্বার্থে সব ধরণের মৎস শিকার বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে হালদায়। তারপরও শুধু ডিম আহরোণ আর রেণু রূপান্তরেই বছরে গড়ে ৮ শো কোটি টাকার লেনদেন হয় এই হালদা নদীকে ঘিরে।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

রেনু আহরনে এক যুগের রেকর্ড ছাড়ালো হালদা

আপডেট সময় : ০২:১১:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ মে ২০২০

রেকর্ড পরিমাণ ডিম আহরণের পর এবার রেণু ফোটাতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন হালদার জেলেরা। সবকিছু ঠিক থাকলে মঙ্গলবার থেকে বাজারজাত শুরু হবে এসব মাছের রেণু। নদী বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হালদা রক্ষায় এবারের মতো সমন্বিত উদ্যোগ ও প্রাকৃতিক পরিবেশ টিকিয়ে রাখা গেলে বিপুল পরিমাণ মাছের ডিম আহরণের এই ধারা অব্যাহত রাখা সম্ভব হবে। আর পরিবেশ কর্মীরা বলছেন, সঠিক গবেষণা আর বিজ্ঞানভিত্তিক উদ্যোগ নিতে পারলে আহরিত ডিম থেকে অনেক বেশী রেণু রূপান্তরসহ বিশ্বের বুকে উন্মুক্তভাবে তুলে ধরা যাবে রহস্যময়ী হালদাকে

শুক্রুবার হালদা নদী থেকে সংগ্রহ করা বিপুল পরিমান দেশীয় মাছের ডিমকে রেণুতে রুপান্তরে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন আহরণকারিরা। হ্যাচারির বাইরে ব্যাক্তি পর্যায়েও বেশ কিছু মাটির কুয়াতেও রেণু রুপান্তরের কাজ চলছে দিনে রাতে। গেল ১০ বছরের পরিসংখ্যন বলছে সবচেয়ে কম ডিম আহরণ হয়েছিলো ২০১৪ সালে মাত্র ৫ শো কেজি, ৪ বছর পর ২০১৮ সালে তা ছাড়িয়েছিলো ২২ হাজার কেজি, যদিও ২০১৯ সালে আবার নেমে এসেছিলো ৭ হাজার কেজিতে। আর এবার ছাড়ালো এক যুগের রেকর্ড। অবিশ্বাস্য এই সাফল্যের কারণ তুলে ধরলেন হালদা গবেষকরা।

হালদা থেকে উৎপাদিত রেণু প্রতিকেজির বাজারদর এক লাখ টাকারও বেশী। কিন্তু এক কেজি রেণু উৎপাদন করতে ৪০ থেকে ৬০ কেজি ডিমের প্রয়োজন পড়ে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডিম আহরণ থেকে শুরু করে রেণু রূপান্তর সবকিছুই চলে সনাতন পদ্ধতিতে। এখানে বিজ্ঞানের সমন্ময় ঘটাতে পারলে সুফল আসতো অনেক বেশী। অধ্যাপক ইদ্রিস আলী মনে করেন, আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত গবেষকদের অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে হালদার জীব-বৈচিত্র রক্ষার উদ্যোগ নিলে বিশ্বের বিষ্ময় হিসেবে স্বীকৃতি পেতে পারে এই হালদা নদী। আর অধ্যাপক মনজুরুল কিবরিয়া বলছেন, দৈনিক ১৮ কোটি লিটার সুপেয় পানি ছাড়াও দেশের জাতীয় অর্থনীতিতে এককভাবে হালদা যে ভুমিকা রাখে তার সিকি ভাগ খরচ করা হয়না নদীটির রক্ষনাবেক্ষণে। সেটাফ ও প্রয়োজনে  মা মাছ রক্ষার স্বার্থে সব ধরণের মৎস শিকার বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে হালদায়। তারপরও শুধু ডিম আহরোণ আর রেণু রূপান্তরেই বছরে গড়ে ৮ শো কোটি টাকার লেনদেন হয় এই হালদা নদীকে ঘিরে।