০২:৪৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিফলক নির্মাণে তামা গায়েবের অভিযোগ

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ১০:১৫:৩৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৯
  • / ১৫৫৯ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিফলক নির্মাণে তামা গায়েবের অভিযোগ উঠেছে। তিন শহীদ শিক্ষক ও বঙ্গবন্ধুর রিলিফ ভাষ্কর্য নির্মাণে ১৪শ’ কেজি তামার স্থলে ব্যবহার করা হয়েছে ৪৯২ কেজি। শৈল্পিক পরামর্শক কমিটি নিজেরাই শিল্পী হিসেবে আর্বিভূত হয়েছেন বলেও তদেন্ত তথ্য মিলেছে। কোটি টাকা খরচেও নানা অনিয়ম হয়েছে। তবে অভিযুক্তদের দাবি, তদন্ত কমিটিতে এক্সপার্ট না থাকায় এমন হাস্যকর অভিযোগ তোলা হচ্ছে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিফলক নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয় ২০১৪ সালের ২৯ অক্টোবর অনুষ্ঠিত ৪৫৫তম সিন্ডিকেট সভায়। এরপর বিভিন্ন সময়ে এর নির্মাণকাজের জন্য ৮২ লাখ ৬৫ হাজার টাকা অনুমোদন দেয়া হয়। এরমধ্যে ৭৬ লাখ ৪৮ হাজার টাকা ছাড় হয়েছে ব্যাংক থেকে। ২০১৬ সালের ১৪ ডিসেম্বর এই স্মৃতিফলকের উদ্বোধন করেন তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক মিজান উদ্দিন।

বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুস সোবহান দায়িত্ব নেয়ার পর নতুন করে আলোচনায় আসে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিফলক নির্মাণ কাজের বিষয়টি। ২০১৭ সালের ১১ অক্টোবর গঠন করা হয় তদন্ত কমিটি। ৮ ডিসেম্বর তদন্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করেছে সিন্ডিকেট সভা। স্মৃতিফলকের নিচের অংশে থাকায় বঙ্গবন্ধুর ভাষ্কর্য অপসারণের সুপারিশ করে তদন্ত প্রতিবেদনের বলা হয়েছে, এস্টিমেট অনুযায়ী ভাষ্কর্যগুলোতে ১৪শ’ কেজি তামার প্রয়োজন। সাড়ে আটশ’ কেজি তামা কেনার পর ব্যবহার হয়েছে মাত্র ৪৯২ কেজি। অর্থাৎ ৯ লাখ ৮ হাজার টাকার তামা কোনো কাজেই লাগেনি। প্রকল্পে অর্থ খরচেও অনিয়ম পেয়েছে তদন্ত কমিটি।

তবে স্মৃতিফলক নির্মাণ কমিটির প্রধান সমন্বয়কের দাবি, এখানে কোনো ধরনেরই অনিয়ম বা দুর্নীতি হয় নি। আর স্মৃতিফলকের শিল্প সমন্বয়ক বলছেন, তদন্ত কমিটিতে কোনো এক্সপার্ট না থাকায় এমন উদ্ভট অভিযোগ তোলা হয়েছে।

স্মৃতিফলকের সামনের অংশে রয়েছে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ তিন শিক্ষক- ড. সুখরঞ্জন সমাদ্দার, ড. হবিবুর রহমান ও মীর আব্দুল কাইয়ূমের ভাস্কর্য। এর বামপাশে নিচের দিকে বসানো হয়েছে বঙ্গবন্ধুর রিলিফ ভাষ্কর্য। আর পেছনে রয়েছে ৫২’র ভাষাআন্দোলন থেকে মহান স্বাধীনতাযুদ্ধ পর্যন্ত নানা সংগ্রামের চিত্র।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিফলক নির্মাণে তামা গায়েবের অভিযোগ

আপডেট সময় : ১০:১৫:৩৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৯

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিফলক নির্মাণে তামা গায়েবের অভিযোগ উঠেছে। তিন শহীদ শিক্ষক ও বঙ্গবন্ধুর রিলিফ ভাষ্কর্য নির্মাণে ১৪শ’ কেজি তামার স্থলে ব্যবহার করা হয়েছে ৪৯২ কেজি। শৈল্পিক পরামর্শক কমিটি নিজেরাই শিল্পী হিসেবে আর্বিভূত হয়েছেন বলেও তদেন্ত তথ্য মিলেছে। কোটি টাকা খরচেও নানা অনিয়ম হয়েছে। তবে অভিযুক্তদের দাবি, তদন্ত কমিটিতে এক্সপার্ট না থাকায় এমন হাস্যকর অভিযোগ তোলা হচ্ছে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিফলক নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয় ২০১৪ সালের ২৯ অক্টোবর অনুষ্ঠিত ৪৫৫তম সিন্ডিকেট সভায়। এরপর বিভিন্ন সময়ে এর নির্মাণকাজের জন্য ৮২ লাখ ৬৫ হাজার টাকা অনুমোদন দেয়া হয়। এরমধ্যে ৭৬ লাখ ৪৮ হাজার টাকা ছাড় হয়েছে ব্যাংক থেকে। ২০১৬ সালের ১৪ ডিসেম্বর এই স্মৃতিফলকের উদ্বোধন করেন তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক মিজান উদ্দিন।

বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুস সোবহান দায়িত্ব নেয়ার পর নতুন করে আলোচনায় আসে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিফলক নির্মাণ কাজের বিষয়টি। ২০১৭ সালের ১১ অক্টোবর গঠন করা হয় তদন্ত কমিটি। ৮ ডিসেম্বর তদন্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করেছে সিন্ডিকেট সভা। স্মৃতিফলকের নিচের অংশে থাকায় বঙ্গবন্ধুর ভাষ্কর্য অপসারণের সুপারিশ করে তদন্ত প্রতিবেদনের বলা হয়েছে, এস্টিমেট অনুযায়ী ভাষ্কর্যগুলোতে ১৪শ’ কেজি তামার প্রয়োজন। সাড়ে আটশ’ কেজি তামা কেনার পর ব্যবহার হয়েছে মাত্র ৪৯২ কেজি। অর্থাৎ ৯ লাখ ৮ হাজার টাকার তামা কোনো কাজেই লাগেনি। প্রকল্পে অর্থ খরচেও অনিয়ম পেয়েছে তদন্ত কমিটি।

তবে স্মৃতিফলক নির্মাণ কমিটির প্রধান সমন্বয়কের দাবি, এখানে কোনো ধরনেরই অনিয়ম বা দুর্নীতি হয় নি। আর স্মৃতিফলকের শিল্প সমন্বয়ক বলছেন, তদন্ত কমিটিতে কোনো এক্সপার্ট না থাকায় এমন উদ্ভট অভিযোগ তোলা হয়েছে।

স্মৃতিফলকের সামনের অংশে রয়েছে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ তিন শিক্ষক- ড. সুখরঞ্জন সমাদ্দার, ড. হবিবুর রহমান ও মীর আব্দুল কাইয়ূমের ভাস্কর্য। এর বামপাশে নিচের দিকে বসানো হয়েছে বঙ্গবন্ধুর রিলিফ ভাষ্কর্য। আর পেছনে রয়েছে ৫২’র ভাষাআন্দোলন থেকে মহান স্বাধীনতাযুদ্ধ পর্যন্ত নানা সংগ্রামের চিত্র।