১২:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪

ভারতের ভ্যাক্সিন রফতানি অনির্দিষ্ট কালের জন্য পুরোপুরি বন্ধ

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০৯:০১:৪৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ এপ্রিল ২০২১
  • / ১৫০৯ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আগামী মে মাস থেকে ভারতে ১৮ বছরের উর্ধের সবাইকে সরকার করোনার টিকা দেয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর দেশটির ভ্যাক্সিন রফতানি অনির্দিষ্ট কালের জন্য পুরোপুরি বন্ধ করে দিতে হচ্ছে। মাত্র তিন মাস ধরে ভারতে করোনার ভ্যাক্সিনেশন শুরু হওয়ায় সেদেশে টিকা উৎপাদন প্রচন্ড চাপের মুখে পড়েছে এবং প্রয়োজনীয় টিকার অভাবে বহু ভ্যাক্সিনেশন সেন্টার বন্ধও করে দিতে হচ্ছে।

১৩৫ কোটি মানুষের দেশ- ভারতে আগামী ১লা মে থেকে সব প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকের জন্যই ভ্যাক্সিনেশন উন্মুক্ত করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। যার অর্থ হলো দেশের জনসংখ্যার প্রায় দুই তৃতীয়াংশ বা ৯০ কোটি মানুষকে এই অভিযানের আওতায় নিয়ে আসা হচ্ছে। এর আগে যাদের বয়স ৪৫-উর্ধ, কেবল তাদেরই টিকা দেয়া হচ্ছিল। এদিকে ভারতীয় বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশের সব প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিককে টিকা দেয়ার অর্থ হলো ভারতের ‘ভ্যাক্সিন মৈত্রী’ বা ‘ভ্যাক্সিন কূটনীতি’র আপাতত সমাপ্তি। কাজেই বাংলাদেশসহ যেসব দেশ শুধু ভারতে তৈরি টিকার অপেক্ষায় আছে– এই সিদ্ধান্তের প্রভাবে বঞ্চিত হবে তারা।

কিন্তু এখন যে দুটি ভ্যাক্সিন ভারতে ব্যবহার করা হচ্ছে– অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার উদ্ভাবিত ও পুনের সিরাম ইনস্টিটিউটে তৈরি কোভিশিল্ড এবং ভারত বায়োটেকের তৈরি কোভ্যাক্সিন– তা দিয়ে এই ৯০ কোটি মানুষের চাহিদা মেটানো কার্যত অসম্ভব। সে কারণেই ভারত এখন রাশিয়ার উদ্ভাবিত স্পুটনিক ভি-সহ আরও কিছু বিদেশি ভ্যাক্সিন উৎপাদনে ছাড়পত্র দিচ্ছে। ভারতের শীর্ষস্থানীয় বিজ্ঞানী ড: গগন দীপ কাং জানান, এ মুহুর্তে প্রতিদিন ভারতে ৩০ লক্ষ বা তার কিছু বেশি ডোজ ভ্যাক্সিন দেয়া হচ্ছে। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছতে গেলে এটা অন্তত তিনগুণ বাড়ানো দরকার। আর এই লক্ষ্যের ধারে-কাছে পৌঁছুতে গেলে ভারতকে বিদেশে টিকা রফতানি পুরোপুরি বন্ধ করে দিতে হবে।

ভারতের স্বাস্থ্য ও বাণিজ্য বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, করোনা সংক্রমণের উর্ধগতিতে অদূর ভবিষ্যতে ভারত থেকে আর কোনও ভ্যাক্সিন রফতানির সম্ভাবনা তারা দেখছেন না। রফতানী করতে গেলে দেশেই টিকার ব্যাপক ঘাটতি হবে এবং পরিস্থিতি সামাল দেয়া সম্ভব হবে না। ফলে যে ভ্যাক্সিন কূটনীতিটা ভারত শুরু করেছিল, তা আর এখন চালিয়ে নেয়া সম্ভব নয়। তাদের ধারণা, আগস্ট-সেপ্টেম্বরের আগে ভারত বিদেশে আর এক ডোজ টিকাও রফতানি করতে পারবে না।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

ভারতের ভ্যাক্সিন রফতানি অনির্দিষ্ট কালের জন্য পুরোপুরি বন্ধ

আপডেট সময় : ০৯:০১:৪৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ এপ্রিল ২০২১

আগামী মে মাস থেকে ভারতে ১৮ বছরের উর্ধের সবাইকে সরকার করোনার টিকা দেয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর দেশটির ভ্যাক্সিন রফতানি অনির্দিষ্ট কালের জন্য পুরোপুরি বন্ধ করে দিতে হচ্ছে। মাত্র তিন মাস ধরে ভারতে করোনার ভ্যাক্সিনেশন শুরু হওয়ায় সেদেশে টিকা উৎপাদন প্রচন্ড চাপের মুখে পড়েছে এবং প্রয়োজনীয় টিকার অভাবে বহু ভ্যাক্সিনেশন সেন্টার বন্ধও করে দিতে হচ্ছে।

১৩৫ কোটি মানুষের দেশ- ভারতে আগামী ১লা মে থেকে সব প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকের জন্যই ভ্যাক্সিনেশন উন্মুক্ত করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। যার অর্থ হলো দেশের জনসংখ্যার প্রায় দুই তৃতীয়াংশ বা ৯০ কোটি মানুষকে এই অভিযানের আওতায় নিয়ে আসা হচ্ছে। এর আগে যাদের বয়স ৪৫-উর্ধ, কেবল তাদেরই টিকা দেয়া হচ্ছিল। এদিকে ভারতীয় বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশের সব প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিককে টিকা দেয়ার অর্থ হলো ভারতের ‘ভ্যাক্সিন মৈত্রী’ বা ‘ভ্যাক্সিন কূটনীতি’র আপাতত সমাপ্তি। কাজেই বাংলাদেশসহ যেসব দেশ শুধু ভারতে তৈরি টিকার অপেক্ষায় আছে– এই সিদ্ধান্তের প্রভাবে বঞ্চিত হবে তারা।

কিন্তু এখন যে দুটি ভ্যাক্সিন ভারতে ব্যবহার করা হচ্ছে– অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার উদ্ভাবিত ও পুনের সিরাম ইনস্টিটিউটে তৈরি কোভিশিল্ড এবং ভারত বায়োটেকের তৈরি কোভ্যাক্সিন– তা দিয়ে এই ৯০ কোটি মানুষের চাহিদা মেটানো কার্যত অসম্ভব। সে কারণেই ভারত এখন রাশিয়ার উদ্ভাবিত স্পুটনিক ভি-সহ আরও কিছু বিদেশি ভ্যাক্সিন উৎপাদনে ছাড়পত্র দিচ্ছে। ভারতের শীর্ষস্থানীয় বিজ্ঞানী ড: গগন দীপ কাং জানান, এ মুহুর্তে প্রতিদিন ভারতে ৩০ লক্ষ বা তার কিছু বেশি ডোজ ভ্যাক্সিন দেয়া হচ্ছে। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছতে গেলে এটা অন্তত তিনগুণ বাড়ানো দরকার। আর এই লক্ষ্যের ধারে-কাছে পৌঁছুতে গেলে ভারতকে বিদেশে টিকা রফতানি পুরোপুরি বন্ধ করে দিতে হবে।

ভারতের স্বাস্থ্য ও বাণিজ্য বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, করোনা সংক্রমণের উর্ধগতিতে অদূর ভবিষ্যতে ভারত থেকে আর কোনও ভ্যাক্সিন রফতানির সম্ভাবনা তারা দেখছেন না। রফতানী করতে গেলে দেশেই টিকার ব্যাপক ঘাটতি হবে এবং পরিস্থিতি সামাল দেয়া সম্ভব হবে না। ফলে যে ভ্যাক্সিন কূটনীতিটা ভারত শুরু করেছিল, তা আর এখন চালিয়ে নেয়া সম্ভব নয়। তাদের ধারণা, আগস্ট-সেপ্টেম্বরের আগে ভারত বিদেশে আর এক ডোজ টিকাও রফতানি করতে পারবে না।