ব্যাংকিং খাতের অসহযোগীতায় বাজার ধরতে পারছে না বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা
- আপডেট সময় : ১১:২৫:১৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৫ জুন ২০২০
- / ১৫০৬ বার পড়া হয়েছে
আন্তর্জাতিক বাজারে স্ক্রাপ জাহাজের দাম কমলেও ব্যাংকিং খাতের অসহযোগীতায় বাজার ধরতে পারছে না বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা। উদ্যোক্তারা বলছেন, দ্রুত সমস্যার সমাধান না হলে, জাহাজ ভাঙ্গা শিল্পে বিশ্বের নেতৃত্ব হারাবে বাংলাদেশ। একই সাথে করোনা পরিস্থিতিতে চট্টগ্রামের শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ডগুলোতে ১২ লাখ মেট্রিকটন স্ক্র্যাপ লোহা জমেছে। তাই আসছে বাজেটে ৫ শাতাংশ এটি চার্জ বাতিল না করলে, প্রতিযোগীতায় অস্তিত্ব রক্ষা করতে পারবে না অনেক ইয়ার্ড।
করোনার কারণে স্থানীয় বাজারে লোহার চাহিদা কমে যাওয়ায় বছরের শুরুতে প্রতি টন ৪ শো ডলারে কেনা জাহাজ কাটার পর বিক্রি করতে হয়েছে সাড়ে ৩ শো ডলারের নিচে। তাই চার মাস ধরেই বড় ধরণের লোকসান গুনেছে এ খাতের ব্যবসায়ীরা। তবে আন্তর্জাতিক বাজারে এখন জাহাজের দাম কম। ফেব্রুয়ারিতে যে জাহাজ কিনতে হয়েছে টন প্রতি ৪ শো ডলারে এখন তার দাম ৩শো ডলার। তাই অতীতের ক্ষতি পুষিয়ে নেয়াসহ এই খাতে আশার আলো থাকলেও ব্যাংকের অসহোযোগীতায় তা ফিকে হয়ে আসছে।
করোনা পরিস্থিতিতে শিল্প কলকারখানা বন্ধ থাকায়, ১২ লাখ মেট্রিকটন স্ক্র্যাপ লোহার স্তুপ জমেছে ইয়ার্ডগুলোতে। তাই এই মুহুর্তে ব্যাংকিং খাতের সহায়তা ছাড়া শিল্প টিকিয়ে রাখা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাড়াবে বলে মনে করেন উদ্যোক্তারা।
শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ড মালিকদের সংগঠন বিএসবিআরএ বলছে, তৈরী পোষাক খাতের পর এককভাবে রাজস্ব আয়ের সবচেয়ে বড় উৎস জাহাজ ভাঙ্গা শিল্প। কিন্তু আইনের বাধ্যবাধকতা আর বিভিন্ন খাতের অযাচিত চার্জ এ খাতের জন্য বড় বাধা। নতুন বাজেটে এ্যাডভান্স ট্যাক্স বা এটি বাতিল চান ইয়ার্ড মালিকরা। ২০১৯ সালের পরিসংখ্যন বলছে, বিশ্বের পরিত্যক্ত জাহাজের ৪২ দশমিক ২ শতাংশই ভাঙ্গে বাংলাদেশ; ২৫ দশমিক ৬ শতাংশ ভারত আর ২১ দশমিক ৫ শতাংশ পাকিস্তান। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমে যাওয়ায় এবার বাংলাদেশের চেয়ে বেশি জাহাজ কিনছে ভারত ও পাকিস্তান। ফুটেজ-১