০৪:৪৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

বিদেশে আকর্ষণীয় বেতন ও গ্ল্যামার জগতের ফাঁদ

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০৮:০৯:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • / ১৫১১ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

করোনা মহামারীতে দিশেহারা নিম্নবিত্ত, দরিদ্র বেকার তরুণী এবং উচ্চভিলাসী সুন্দরী নারীদের টার্গেট করছে পাচারকারী চক্র। বিদেশে আকর্ষণীয় বেতনে চাকরি কিংবা গ্ল্যামার জগতে মডেল, নায়িকা, সহ-নায়িকা প্রভৃতি বানানোর প্রলোভনে এদের ফাঁদে ফেলা হয়। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় এ পাচারকারী চক্রের এজেন্টদের বেশিরভাগই নারী সদস্য।

আধো অন্ধকার হলেও বেশ বড়সড় রুম। রুমানার জায়গা হলো সেখানে। যেখানে রয়েছে তার মতো আরও ৯ জন। তাদের বিদেশী বড় কোম্পানিতে আকর্ষণীয় বেতনের চাকরির কথা বলে এনে জড়ো করা হয়েছে। কেউ জানে না কখন কার সিরিয়াল আসবে। টানা ১৩ দিন পর ডাক পড়লো রুমানার। ভাবছিলেন, এই বুঝি তার ভাগ্যের চাকা ঘুরলো। হাত বদল হয়ে গেলো রুমানা।

আরবের কয়েকজন দালাল রুমানাকে নিয়ে চলতে শুরু করলো। কয়েকশ’ কিলোমিটার পার হয়ে আবার আশ্রয় বন্দীশালায়। একপর্যায়ে রুমানা বিক্রি হলো চড়া দামে- মধ্যপ্রাচ্যেরই একটি শহরে। আকাশপথে বৈধভাবে বিদেশ গিয়েও পাচার হয়ে যান এই নারী।

উইনার ইন্টারন্যাশনাল নামে একটি রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে তাকে পাচার করা হয় মধ্যপ্রাচ্যে। সরেজমিনে খুঁজতে গিয়ে উইনারের কার্ডে দেয়া প্রধান কার্যালয়ের ঠিকানার অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। ভুক্তভোগীর সাথে কথা বলতে গেলে একপর্যায়ে দালালদের একটি দল এসএটিভির ক্যামেরা বন্ধ করতে বাধ্য করে।

আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী পাচারের বিষয়ে সবাইকে সতর্ক করলেও দারিদ্রের কবলে পড়া দিশেহারা মানুষ জীবিকার তাগিদে পড়ছে দালালদের প্ররোচনায়।

এজেন্সির মাধ্যমে গৃহকর্মী হিসেবে বিদেশে নিয়ে পাচারের অভিযোগ মানতে নারাজ রিক্রুটিং এসেন্সিগুলো। এনজিওগুলো পরিকল্পিতভাবে ভুল তথ্য দিয়ে এ সেক্টরকে বিতর্কিত করছে বলে দাবি তাদের।

আইওএমের হিসেবে বিশ্বজুড়ে নারী ও শিশু পাচারের বার্ষিক বাজার প্রায় ২০ লাখ কোটি টাকার।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

বিদেশে আকর্ষণীয় বেতন ও গ্ল্যামার জগতের ফাঁদ

আপডেট সময় : ০৮:০৯:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১

করোনা মহামারীতে দিশেহারা নিম্নবিত্ত, দরিদ্র বেকার তরুণী এবং উচ্চভিলাসী সুন্দরী নারীদের টার্গেট করছে পাচারকারী চক্র। বিদেশে আকর্ষণীয় বেতনে চাকরি কিংবা গ্ল্যামার জগতে মডেল, নায়িকা, সহ-নায়িকা প্রভৃতি বানানোর প্রলোভনে এদের ফাঁদে ফেলা হয়। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় এ পাচারকারী চক্রের এজেন্টদের বেশিরভাগই নারী সদস্য।

আধো অন্ধকার হলেও বেশ বড়সড় রুম। রুমানার জায়গা হলো সেখানে। যেখানে রয়েছে তার মতো আরও ৯ জন। তাদের বিদেশী বড় কোম্পানিতে আকর্ষণীয় বেতনের চাকরির কথা বলে এনে জড়ো করা হয়েছে। কেউ জানে না কখন কার সিরিয়াল আসবে। টানা ১৩ দিন পর ডাক পড়লো রুমানার। ভাবছিলেন, এই বুঝি তার ভাগ্যের চাকা ঘুরলো। হাত বদল হয়ে গেলো রুমানা।

আরবের কয়েকজন দালাল রুমানাকে নিয়ে চলতে শুরু করলো। কয়েকশ’ কিলোমিটার পার হয়ে আবার আশ্রয় বন্দীশালায়। একপর্যায়ে রুমানা বিক্রি হলো চড়া দামে- মধ্যপ্রাচ্যেরই একটি শহরে। আকাশপথে বৈধভাবে বিদেশ গিয়েও পাচার হয়ে যান এই নারী।

উইনার ইন্টারন্যাশনাল নামে একটি রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে তাকে পাচার করা হয় মধ্যপ্রাচ্যে। সরেজমিনে খুঁজতে গিয়ে উইনারের কার্ডে দেয়া প্রধান কার্যালয়ের ঠিকানার অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। ভুক্তভোগীর সাথে কথা বলতে গেলে একপর্যায়ে দালালদের একটি দল এসএটিভির ক্যামেরা বন্ধ করতে বাধ্য করে।

আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী পাচারের বিষয়ে সবাইকে সতর্ক করলেও দারিদ্রের কবলে পড়া দিশেহারা মানুষ জীবিকার তাগিদে পড়ছে দালালদের প্ররোচনায়।

এজেন্সির মাধ্যমে গৃহকর্মী হিসেবে বিদেশে নিয়ে পাচারের অভিযোগ মানতে নারাজ রিক্রুটিং এসেন্সিগুলো। এনজিওগুলো পরিকল্পিতভাবে ভুল তথ্য দিয়ে এ সেক্টরকে বিতর্কিত করছে বলে দাবি তাদের।

আইওএমের হিসেবে বিশ্বজুড়ে নারী ও শিশু পাচারের বার্ষিক বাজার প্রায় ২০ লাখ কোটি টাকার।