বসবাসের অনুপযোগী হওয়ায় ঝিনাইদহে ফাঁকা পড়ে আছে আবাসন প্রকল্পের সাড়ে ৯শ’ ঘর। ফাঁকা ঘরে থাকার জন্য মিলছে না কোনো নতুন পরিবার। যারা আছেন তারাও রয়েছে মহাবিপদে। রোদ-বৃষ্টি-ঝড়ে নিদারুণ কষ্টে দিন কাটছে তাদের। এ অবস্থায় ঘরগুলো মেরামত করলে অনেক পরিবার আশ্রয় পাবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। জেলা প্রশাসন বলছে, ঘরগুলো মেরামতের জন্য প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে।

শুরুর দিকে পরিবেশ ভালো থাকলেও এখন বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে ঘরগুলো। টিনের চালা দিয়ে পড়ে পানি। বৃষ্টি পানি থেকে বাঁচতে চালায় দিতে হয় পলিথিন। ভেঙ্গে গেছে ঘরের টিনের বেড়াগুলোও। ভিতও হয়ে গেছে নড়বড়ে। বসবাসের পরিবেশ না থাকায় ঘর ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছে অনেকে। মিলছে না নতুন বাসিন্দা। দুর্ভোগ আর ভোগান্তি উপেক্ষা করে বসবাস করছেন অনেকেই। এ অবস্থায় ঘরগুলো সংস্কার করার দাবি হতদরিদ্র পরিবারগুলোর।

সচেতন মহল বলছেন, ঘরগুলো সংস্কার করে দিলে আশ্রয় পাবে অনেকগুলো পরিবার। সেই সাথে সাশ্রয় হবে সরকারের টাকার।

ব্যারাকে থাকা বাসিন্দাদের ঘরগুলো মেরামতের উদ্যোগ নেয়ার কথা জানান জেলা প্রশাসক।

১৯৯৭ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত ২ দফায় জেলায় ২ হাজার ৮শ’ ১৫টি ইউনিট ঘর নির্মাণ করা হয়। যেখানে বর্তমানে ফাঁকা পড়ে আছে ৯শ’ ২৫টি ইউনিট।