০৭:২২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

পটুয়াখালীতে মান্তা সম্প্রদায়ের জন্য নির্মাণ করা হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০৫:৩৩:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ নভেম্বর ২০২১
  • / ১৫১০ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে ভাসমান মান্তা সম্প্রদায়ের জন্য নির্মাণ করা হচ্ছে মুজিবর্ষ প্রধানমন্ত্রী উপহারের সেমিপাকা ঘর। এবার জলে ভাসা মানুষের আশ্রয় হবে ডাঙায়। জমি ও ঘরসহ স্থায়ী ঠিকানা পেয়ে খুশিতে আত্মহারা ‘জলে জন্ম, জলে মৃত্যু’ কথা খ্যাত এই মান্তা সম্প্রদায়ের লোকেরা। শুধু বাসস্থানই নয়, তাদরেকে সামাজিক সকল সুবিধার আওতায় আনার আশ্বাসও দিয়েছেন স্থানীয় প্রশাসন।

এ যেন এক আজব জীবনের গল্প। জন্মের পর থেকেই নৌকায় বেড়ে ওঠা। নৌকাতেই হয় বিয়ে এবং সংসার। মত্যুও হয় নৌকায়। বলছিলাম পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীর বিছিন্ন দ্বীপ চরমোন্তাজের মান্তা সম্প্রদায়ের কথা। যুগ যুগ ধরে মুসলিম এই সম্পদায়ের মানুষ গুলো নোকায় বসবাস ও নদীত মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন।

মুজিববর্ষ উপলক্ষে স্থানীয় প্রশাসনের কল্যাণে ভাসমান ভূমিহীন এ সম্প্রদায়ের মানুষের জন্য নির্মাণ করা হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর। বুড়াগৌরাঙ্গ নদীতে বসবাসরত শতাধিক পরিবারের মধ্যে থেকে প্রথম পর্যায়ে ২৯টি পরিবারকে দেয়া হচ্ছে ঘর। রঙিন টিনশেডের সেমিপাকা এই ঘর গুলো নির্মাণ করা হচ্ছে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়নে। ঘরের পাশাপাশি শিক্ষা, চিকিৎসাসহ সকল মৌলিক সব সুবিধাও পাবেন তারা। স্থায়ী ঠিকানা পেয়ে খুশিতে আত্মহারা পরিবার গুলো।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধি জানালেন, ঘর প্রস্তুত হয়ে গেছে। কিছু দিনের মধ্যেই ঘরে চাবি হস্তান্তর করা হবে।

প্রথম ধাপে ২৯ পরিবারর জন্য ঘর দেয়া হলেও পর্যায়ক্রমে সকল পরিবারকে ঘরসহ সামাজিক সকল সুবিধার আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন উপজলা নির্বাহী কর্মকর্তা।

যে মানুষদের স্বপ্ন সীমাবদ্ধ ছিলো পানিতে ভাসা নৌকায়, আজ তারা মাথা গোজার ঠাঁই পেয়ে নতুন করে স্বপ্ন দেখছেন।নতুন ঘর থেকেই শুরু হবে তাদের নতুন পথ চলা, এমনটাই প্রত্যাশা সবার।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

পটুয়াখালীতে মান্তা সম্প্রদায়ের জন্য নির্মাণ করা হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর

আপডেট সময় : ০৫:৩৩:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ নভেম্বর ২০২১

পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে ভাসমান মান্তা সম্প্রদায়ের জন্য নির্মাণ করা হচ্ছে মুজিবর্ষ প্রধানমন্ত্রী উপহারের সেমিপাকা ঘর। এবার জলে ভাসা মানুষের আশ্রয় হবে ডাঙায়। জমি ও ঘরসহ স্থায়ী ঠিকানা পেয়ে খুশিতে আত্মহারা ‘জলে জন্ম, জলে মৃত্যু’ কথা খ্যাত এই মান্তা সম্প্রদায়ের লোকেরা। শুধু বাসস্থানই নয়, তাদরেকে সামাজিক সকল সুবিধার আওতায় আনার আশ্বাসও দিয়েছেন স্থানীয় প্রশাসন।

এ যেন এক আজব জীবনের গল্প। জন্মের পর থেকেই নৌকায় বেড়ে ওঠা। নৌকাতেই হয় বিয়ে এবং সংসার। মত্যুও হয় নৌকায়। বলছিলাম পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীর বিছিন্ন দ্বীপ চরমোন্তাজের মান্তা সম্প্রদায়ের কথা। যুগ যুগ ধরে মুসলিম এই সম্পদায়ের মানুষ গুলো নোকায় বসবাস ও নদীত মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন।

মুজিববর্ষ উপলক্ষে স্থানীয় প্রশাসনের কল্যাণে ভাসমান ভূমিহীন এ সম্প্রদায়ের মানুষের জন্য নির্মাণ করা হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর। বুড়াগৌরাঙ্গ নদীতে বসবাসরত শতাধিক পরিবারের মধ্যে থেকে প্রথম পর্যায়ে ২৯টি পরিবারকে দেয়া হচ্ছে ঘর। রঙিন টিনশেডের সেমিপাকা এই ঘর গুলো নির্মাণ করা হচ্ছে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়নে। ঘরের পাশাপাশি শিক্ষা, চিকিৎসাসহ সকল মৌলিক সব সুবিধাও পাবেন তারা। স্থায়ী ঠিকানা পেয়ে খুশিতে আত্মহারা পরিবার গুলো।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধি জানালেন, ঘর প্রস্তুত হয়ে গেছে। কিছু দিনের মধ্যেই ঘরে চাবি হস্তান্তর করা হবে।

প্রথম ধাপে ২৯ পরিবারর জন্য ঘর দেয়া হলেও পর্যায়ক্রমে সকল পরিবারকে ঘরসহ সামাজিক সকল সুবিধার আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন উপজলা নির্বাহী কর্মকর্তা।

যে মানুষদের স্বপ্ন সীমাবদ্ধ ছিলো পানিতে ভাসা নৌকায়, আজ তারা মাথা গোজার ঠাঁই পেয়ে নতুন করে স্বপ্ন দেখছেন।নতুন ঘর থেকেই শুরু হবে তাদের নতুন পথ চলা, এমনটাই প্রত্যাশা সবার।