দেশে দুর্নীতির অন্যতম শীর্ষ খাত গণপরিবহন
- আপডেট সময় : ০৭:১৩:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ অক্টোবর ২০২০
- / ১৫১৯ বার পড়া হয়েছে
কিছুতেই বন্ধ হচ্ছে না গণপরিবহনের নৈরাজ্য। দেশে দুর্নীতির অন্যতম শীর্ষ খাত হয়ে উঠেছে গণপরিবহন। এ খাতে নেই কোনো নিয়ন্ত্রণ কিংবা শৃঙ্খলা। বাড়ছে চালকদের প্রতিযোগিতা। ফলে প্রতিনিয়ত ঘটছে সড়ক দুর্ঘটনা। এ ব্যাপারে পরিবহন বিশেষজ্ঞরা এসএ টিভিকে বলেন, দুর্নীতি রোধে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত, কঠোর নজরদারি ও নতুন সড়ক পরিবহন আইনের দৃঢ় বাস্তবায়নের মাধ্যমেই সড়ক পরিবহনের এই নজিরবিহীন নৈরাজ্য বন্ধ হতে পারে।
যানবাহন চলাচলে নেই কোনো নিয়ন্ত্রণ। বেপরোয়া গাড়ির চালকরা।সড়কজুড়েই বাসের রেষারেষি, স্টপেজের বাইরে যত্রতত্র যাত্রী তোলা, চলন্ত গাড়ি থেকে যাত্রী নামিয়ে দেয়াসহ আগের সব স্বেচ্ছাচারিতাই চলছে সমানতালে।বাংলাদেশ যাত্রীকল্যাণ সমিতির পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, করোনার কারনে সড়কে যানবাহন কমচলাচল করেছে তারপরও গত ছয় মাসে সড়কে ২০২১ টি দুর্ঘটনায় প্রাণগেছে ২২৬২জনের।শুধু সেপ্টোম্বর মাসেই ঘটে ৩৭৮টি দুর্ঘটনা এতে প্রাণ হারায় ৪১০ আর আহত হয় ৬১৯ জন।
পরিবহন সেক্টরের এই অব্যবস্থপনার মূল কারণ, প্রভাবশালীদের নিয়ন্ত্রণে অবাধে চলছে ফিটনেসবিহীন গণপরিবহন, ফলে উপেক্ষিত হচ্ছে জনস্বার্থ।পরিবহন ব্যবসায় যারা জড়িত, তাদের সিংহভাগেরই পরিচিতি রাজনীতিক। সেবা খাত হিসেবে গণপরিবহন চিহ্নিত হলেও জনদুর্ভোগের সীমা নেই। নেই উপযুক্ত নিয়ন্ত্রণ। ইচ্ছেমতো চলছে সবকিছু, এসএ টিভির কাছে এমন অভিযোগ করেন বাংলাদেশ যাত্রীকল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক ।
গণপরিবহনের নৈরায্য বন্ধ ও চালকদের দৌরাত্ম্য কমাতে বাস রুট ফেঞ্চাইজি করার বিকল্প নেই বললেন গণপরিবহন বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. শামসুল হক।এমনব্যবস্থা চান অধিকাংশ পরিবহন মালিক শ্রমীকরা। তবে তাদের অভিযোগ ক্ষমতাধর মালিক নেতাদর কারনেই সড়কে পরিবহনের বেহাল দসা।
সড়কপথের শৃঙ্খলা ফিরে পেতে ট্রাফিক ব্যবস্থাকেও দুষছেন গণপরিবহন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. শামসুল হক।