দীর্ঘ এক মাসেরও বেশি সময় ধরে লকডাউনে পর্যটন নগরী কক্সবাজার। এতে বেকার পর্যটক নির্ভর দেড় লক্ষাধিক মানুষ। চাকরিও হারিয়েছেন অনেকেই।

মোহাম্মদ রাসেল। সৈকতে ছবি তোলেন। তিনি জানেন, গোটা সৈকত জনমানব শূন্য। তবু প্রতিদিন সৈকতে আসেন, যদি কাউকে পাওয়া যায় সেই আশায়। কিন্তু গত এক মাসে ক্যামেরার লেন্স খোলার দরকার হয়নি তার। প্রতিদিন খালি হাতেই ঘরে ফেরেন।

সুগন্ধা পয়েন্টে একটি ঝুঁপড়ি দোকানে ঝিঁনুক আর বার্মিজ পণ্য বিক্রি করেন জাবেদ।
লকডাউনে বন্ধ দোকানটি ঘুরে ফিরে দিনে একবার অন্তত: দেখে যান তিনি। কারণ ভয় আছে-দোকানে থাকা শেষ সম্বলটুকু চুরি হয়ে যাওয়ার।

পর্যটন নির্ভর কক্সবাজার সৈকতে এরকম কর্মহীন মানুষের সংখ্যা দিনদিন বাড়ছে। পরিবারের কাছেও প্রতিদিন হতাশা ছাড়া আর কিছুই দিতে পারছেন না তারা।

এছাড়া লকডাউনে চাকরি হারিয়েছে পর্যটন শহরের প্রায় ৩০ হাজার হোটেল কর্মচারী। পথে বসে গেছে সৈকতের কীটকট, ফটোগ্রাফার, বীচ বাইক, জেটস্কিসহ অসংখ্য পেশাজীবী।

কক্সবাজার ট্যুর অপারেটর এসোসিয়েশন (টুয়াক) বলছে, লকডাউনে পর্যটন শহরের দেড় লাখের বেশি মানুষ দূর্বিষহ জীবন কাটাচ্ছেন। তাদের সহায়তায় সরকারের এগিয়ে আসা দরকার।

অন্যদিকে লকডাউনে ক্ষতিগ্রস্ত পর্যটন সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে তালিকা তৈরির কাজ চলছে বলে জানালেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আমিন আল পারভেজ।

বর্তমানে সীমিত আকারে সবকিছু স্বাভাবিক হলেও পর্যটন স্পটগুলো বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তে এখনো অটল।প্রশাসন