তিতাসে ঘুষের টাকা কেজিতে লেনদেন
- আপডেট সময় : ০১:৫৫:১৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২০
- / ১৫১৬ বার পড়া হয়েছে
ঘুষের টাকা কেজিতে লেনদেনের ঘটনায় জড়িত তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির সিন্ডিকেটে আবারও জিম্মী প্রতিষ্ঠানটি। ওভারলোড বা অবৈধ গ্যাস সংযোগকারীদের জরিমানার বিধান থাকলেও তা বাস্তবায়ন হয় কালে-ভদ্রে। সিন্ডিকেটে তিতাস গ্যাস জিম্মি হওয়ার কারণে প্রতিবছর কয়েকশ’ কোটি টাকা লোকশান গুনতে হয় রাষ্ট্রকে। যার ফলে ফুলে-ফেঁপে উঠছে সিন্ডিকেটগুলো।
গ্যাস সংকটের কারণ দেখিয়ে বারবার দাম বৃদ্ধি করলেও বকেয়া আদায়ে উদাসীন তিতাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি। বকেয়া আদায়ে আইন থাকলেও তা প্রয়োগ হচ্ছে ঢিলেতালে। অবৈধ সংযোগ যেমন বাড়ছে তেমনি গ্যাস সংকটও বাড়ছে সমানতালে। প্রতিনিয়তই গণমাধ্যমের লাল কালো শিরোনামে তিতাসের এমন অনিয়ম দূর্নীতির কথা উঠে আসছে। কিন্তু কনো প্রতিকার না হওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে সংস্থাটির জেনারেল ম্যানেজার আব্দুল ওহাব তালুকদার এর সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করছে তিতাস গ্যাস।
তিতাসের নারায়ণগঞ্জ অফিস সমূহ দূর্নীতির আখড়া। সেখানে প্রবেশের ক্ষেত্রে রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। নারায়ণগঞ্জ তিতাসের সিন্ডিকেটও ওহাবের নিয়ন্ত্রণে। পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান এ বি এম আবদুল ফাত্তাহ’র নিকট অভিযোগ জমা দিলে পরিচালক প্রশাসন সযত্নে রেখে দেন। ওহাব সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে গাজিপুর, সাভার, চন্দ্রা, নরসিংদীসহ ঢাকার কাছে সব ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল এলাকা । আবার নারায়ণগঞ্জ মসজিদে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ঐ ওহাব তালুকদারকে দেয়া হয় তদন্তের দায়িত্ব। এ যেন শুভঙ্করের ফাঁকি।
এই সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে দুদক বা পেট্রোবাংলায় অভিযোগ করে মিলছে না কোন প্রতিকার। সক্ষতা থাকায় ওহাব তালুকদারের বিষয়ে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান এ বি এম ফাত্তাহ অভিযোগ তদন্তে উদাসীন। এ বিষয়ে মিডিয়ায় কথা বলতে করেন নানা টালবাহানা। তিতাস ও পেট্রোবাংলায় প্রবেশের অনুমতি মিললেও ওহাব বা ফাত্তাহ’র নিকট পৌঁছানো কঠিন। কারণ থলের বিড়াল বের হয়ে যাওভার ভয়ে মিডিয়াকেও এড়িয়ে চলেন তারা।
কিন্তু তিতাসের এমডি হবেন এমন আসায় ওহাব তালুকদার তার বিরুদ্ধে প্রতিবেদন না করতে বিভিন্ন ভাবে তদবীর করেন।
এদিকে জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দীর্ঘদিন এসব সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়ায় ব্যাপক লোকসান ও ক্ষতি হচ্ছে রাষ্ট্রের। তদারককারী প্রতিষ্ঠানগুলোর উদাসীনতা আর অ-ব্যবস্থাপনার কারনেই বকেয়া আদায়ে এই দীর্ঘসূত্রিতা।
সিন্ডিকেট, বকেয়া আদায় আর অনিয়ম বন্ধ করা গেলে দ্রুত জ্বালানি খাত ঘুড়ে দাঁড়াবে বলে মনে করেন জ্বালানি সংশ্লিষ্টরা।