০৮:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

ট্রানজিটের পর এবার ট্রান্সশিপমেন্টের সুবিধা নিয়ে বড় আকারে চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করতে যাচ্ছে ভারত

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০১:৫৭:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩১ অগাস্ট ২০২০
  • / ১৫১০ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ট্রানজিটের পর এবার ট্রান্সশিপমেন্টের সুবিধা নিয়ে বড় আকারে চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করতে যাচ্ছে ভারত। এই সুবিধার আওতায় কোলকাতা থেকে মালয়েশিয়ার উদ্দেশ্যে ৩ সেপ্টেম্বর প্রথমবারের মতো পণ্যবাহী একশোটি কন্টেইনার আসবে চট্টগ্রামে। এখানে কন্টেইনারগুলো নামিয়ে অন্য একটি জাহাজে করে তা পাঠানো হবে গন্তব্যে। বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, স্বল্প পরিসরে ট্রান্সশিপমেন্টের সুবিধা আগে চালু থাকলেও এবার বড় আকারে তা ব্যবহার হতে চলেছে। তবে অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বন্দরের ক্ষমতা অনুযায়ী আগে নিজেদের বর্তমান ও ভবিষ্যত চাহিদার বিষয়টি মাথায় না রাখলে এমন ট্রানজিট-ট্রান্সশিপমেন্টে অচিরেই বিপদে পড়তে পারে বাংলাদেশ।

ভারতের কোলকাতা বন্দরে এশিয়াটিক মুন নামের এই জাহাজটিতে ভর্তি করা হচ্ছে পণ্যবাহী কন্টেইনার। আগামী ৩ সেপ্টেম্বর কন্টেইনারবাহী এ জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছুবে। এখানে আনলোড হওয়ার পর শতাধিক কন্টেইনার যাবে এনসিটি ইয়ার্ডের শেষপ্রান্তে ট্রান্সশিপমেন্টের জন্য নির্ধারিত শেডে। সেখানে ক’দিন অপেক্ষার পর ক্যাপ মনট্রি নামের আরেকটি জাহাজে কন্টেইনারগুলো পাঠানো হবে মালোয়েশিয়ার পোর্ট ক্যালাং বন্দরে। মুলত এই চালানটির মাধ্যমেই বড় আকারে ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা ভোগ করতে যাচ্ছে ভারত।  বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, এমন ট্রান্সশিপমেন্টের ছোটখাটো ব্যবহার আগেও ছিল চট্টগ্রাম বন্দরে। কিন্তু এবারই তা বড় আকারে ব্যবহার হচ্ছে। তবে এর জন্য নিয়মানুযায়ী মাশুল আদায় করবে বন্দর কর্তৃপক্ষ।

আর অর্থনীতিবিদরা বলছেন, নিজেদের বর্তমান ও ভবিষ্যত চাহিদা শতভাগ পূরণের পরই কেবল সক্ষমতার বাড়তি অংশ ট্রানজিট বা ট্রান্সশিপমেন্টের নামে ভাড়া দেয়া যেতে পারে। এক্ষেত্রে জাতীয় স্বার্থকে প্রাধান্য দিতে না পারলে ভবিষ্যতে বিপদে পড়বে বাংলাদেশী ব্যবসায়ীরা। গেল ২২ জুলাই এমভি সেজুতি নামের একটি কোস্টাল ভেসেলে ভারত থেকে ৪টি কন্টেইনার আসে ট্রানজিট সুবিধার বিপরীতে। পণ্যভর্তি ওই চারটি কন্টেইনার চট্টগ্রাম বন্দরে খালাসের পর সড়কপথে আখাউড়া হয়ে ভারতের আসাম ও ত্রিপুরা রাজ্যে পাঠানো হয়।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

ট্রানজিটের পর এবার ট্রান্সশিপমেন্টের সুবিধা নিয়ে বড় আকারে চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করতে যাচ্ছে ভারত

আপডেট সময় : ০১:৫৭:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩১ অগাস্ট ২০২০

ট্রানজিটের পর এবার ট্রান্সশিপমেন্টের সুবিধা নিয়ে বড় আকারে চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করতে যাচ্ছে ভারত। এই সুবিধার আওতায় কোলকাতা থেকে মালয়েশিয়ার উদ্দেশ্যে ৩ সেপ্টেম্বর প্রথমবারের মতো পণ্যবাহী একশোটি কন্টেইনার আসবে চট্টগ্রামে। এখানে কন্টেইনারগুলো নামিয়ে অন্য একটি জাহাজে করে তা পাঠানো হবে গন্তব্যে। বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, স্বল্প পরিসরে ট্রান্সশিপমেন্টের সুবিধা আগে চালু থাকলেও এবার বড় আকারে তা ব্যবহার হতে চলেছে। তবে অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বন্দরের ক্ষমতা অনুযায়ী আগে নিজেদের বর্তমান ও ভবিষ্যত চাহিদার বিষয়টি মাথায় না রাখলে এমন ট্রানজিট-ট্রান্সশিপমেন্টে অচিরেই বিপদে পড়তে পারে বাংলাদেশ।

ভারতের কোলকাতা বন্দরে এশিয়াটিক মুন নামের এই জাহাজটিতে ভর্তি করা হচ্ছে পণ্যবাহী কন্টেইনার। আগামী ৩ সেপ্টেম্বর কন্টেইনারবাহী এ জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছুবে। এখানে আনলোড হওয়ার পর শতাধিক কন্টেইনার যাবে এনসিটি ইয়ার্ডের শেষপ্রান্তে ট্রান্সশিপমেন্টের জন্য নির্ধারিত শেডে। সেখানে ক’দিন অপেক্ষার পর ক্যাপ মনট্রি নামের আরেকটি জাহাজে কন্টেইনারগুলো পাঠানো হবে মালোয়েশিয়ার পোর্ট ক্যালাং বন্দরে। মুলত এই চালানটির মাধ্যমেই বড় আকারে ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা ভোগ করতে যাচ্ছে ভারত।  বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, এমন ট্রান্সশিপমেন্টের ছোটখাটো ব্যবহার আগেও ছিল চট্টগ্রাম বন্দরে। কিন্তু এবারই তা বড় আকারে ব্যবহার হচ্ছে। তবে এর জন্য নিয়মানুযায়ী মাশুল আদায় করবে বন্দর কর্তৃপক্ষ।

আর অর্থনীতিবিদরা বলছেন, নিজেদের বর্তমান ও ভবিষ্যত চাহিদা শতভাগ পূরণের পরই কেবল সক্ষমতার বাড়তি অংশ ট্রানজিট বা ট্রান্সশিপমেন্টের নামে ভাড়া দেয়া যেতে পারে। এক্ষেত্রে জাতীয় স্বার্থকে প্রাধান্য দিতে না পারলে ভবিষ্যতে বিপদে পড়বে বাংলাদেশী ব্যবসায়ীরা। গেল ২২ জুলাই এমভি সেজুতি নামের একটি কোস্টাল ভেসেলে ভারত থেকে ৪টি কন্টেইনার আসে ট্রানজিট সুবিধার বিপরীতে। পণ্যভর্তি ওই চারটি কন্টেইনার চট্টগ্রাম বন্দরে খালাসের পর সড়কপথে আখাউড়া হয়ে ভারতের আসাম ও ত্রিপুরা রাজ্যে পাঠানো হয়।