জয়পুরহাটে চলছে বেআইনি দাদন ব্যবসার রমরমা বানিজ্য
- আপডেট সময় : ০৭:৪৯:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১
- / ১৫০৬ বার পড়া হয়েছে
জয়পুরহাটে বেআইনিভাবে গড়ে উঠা নামসর্বস্ব বিভিন্ন সমবায় সমিতি রমরমা দাদন ব্যবসা ও ব্যাংকিং কার্যক্রম চালাচ্ছে। এরই মধ্যে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে লাপাত্তাও হয়েছে অনেক সমিতি। এজন্য মনিটরিং ব্যবস্থার দুর্বলতাকেই দায়ি করছে এনজিও নেতারা। তবে জনস্বার্থ বিরোধী কাজ করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
জয়পুরহাটে অনিয়ম করে প্রায় ১২’শ সমবায় সমিতির নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে। নিবন্ধন ছাড়াও নামে-বেনামে কার্যক্রম চালাচ্ছে প্রায় কয়েক’শ সমিতি। ১৪টি সমিতিকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণার পরই প্রায় ৯কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা হয়েছে ‘বিনিময় সমবায় সমিতি’। এছাড়াও জয়পুরহাট, পাঁচবিবি, তিলকপুরসহ জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে লক্ষ-কোটি টাকা নিয়ে নিয়মিত উধাও হওয়ার ঘটনাও ঘটছে।
সরজমিনে দেখা গেছে, সর্বোচ্চ ১’শটি সমিতির কার্যক্রম চলছে। তারা আবার লক্ষ লক্ষ টাকা এফডিআর ও মোটা অঙ্কের সুদের বিনিময়ে দাদন ব্যবসা ও ব্যাকিং কার্যক্রম চালাচ্ছে। সমবায় আইনে আমানত সুরক্ষার জন্য নিবন্ধক ও সমিতির যৌথ স্বাক্ষরে তহবিল পরিচালনার কথা থাকলেও তা কেউ মানেনা। সমবায় সংশ্লিষ্টদের মনিটরিংয়ের উদাসীনতায় এসব ঘটছে বলে মনে করে সংশ্লিষ্টরা।
শুধু ঝুঁকিপূর্ণ সমিতিতে যৌথ স্বাক্ষরের চিঠি দিয়েছে জেলা সমবায় অফিস। তারা অতিরিক্ত নিবন্ধন দেয়ার দায় এড়াতে পারেনা বলে ক্ষোভ জানায় জেলা এনজিও সমন্বয় কমিটি।তবে, সমিতির উপরই দায় চাপাচ্ছেন উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা।এ বিষয়ে তথ্য চাইলে গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে অসদাচারণও করেন, এক সমবায় পরিদর্শক। পরে, ভুল স্বীকার করে পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করেন, জেলা সমবায় কর্মকর্তা।
জনস্বার্থ বিরোধী কাজ করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দেন জেলা প্রশাসক।নামসর্বস্ব সমবায় সমিতির হাত থেকে জন সাধারণকে রক্ষার দাবি জানিয়েছে ভুক্তভোগীরা।