১১:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৮ মে ২০২৪

চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহারের মধ্য দিয়ে ট্রানজিট সুবিধা ভোগ করতে শুরু করলো ভারত

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০৫:৪২:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জুলাই ২০২০
  • / ১৫২১ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহারের মধ্য দিয়ে বহুল আলোচিত ট্রানজিট সুবিধা ভোগ করতে শুরু করলো ভারত। গতকাল ভারতের উত্তর প্রদেশের দুটি রাজ্যের জন্য পণ্য বোঝাই চারটি কন্টেইনার নিয়ে একটি জাহাজ ভিড়ে চট্টগ্রাম বন্দরের জেটিতে। বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের অনুরোধে পরীক্ষমুলক এই সুবিধা চালু করা হয়েছে। এদিকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ট্রানজিট সুবিধাকে কেন্দ্র করে তিস্তার পানিসহ ভারতের কাছ থেকে বেশ কিছু অমিমাংসিত ইস্যু মীমাংসা করার সুযোগ ছিলো। সেখানে কোন ঘাটতি তৈরী হলো কি না সেটাই এখন দেখার বিষয়।

মঙ্গলবার দুপুরে কলকাতার শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী বন্দর থেকে ২০৭ টি পণ্যভর্তি কন্টেইনার নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের জেটিতে নোঙর করে এমভি সেঁজুতি নামের এই কোস্টাল ভেসেলটি। এরমধ্যে লোহার রড বোঝাই দুটি কন্টেইনার যাবে আসামে আর ডাল বোঝাই দুটি কন্টেইনারের গন্তব্য ত্রিপুরা রাজ্যে। কন্টেইনারগুলো চট্টগ্রাম বন্দরে নামার পর সড়কপথে আখাউড়া হয়ে পৌঁছবে ভারতে।

বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, ট্রানজিটকে সামনে রেখে বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে নেয়া বিভিন্ন প্রকল্প সম্পন্ন না হলেও, ভারতীয় ব্যবসায়ীদের অনুরোধে ট্রানজিট সুবিধার পরীক্ষামুলক ব্যবহার শুরু হয়েছে।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিবেশী দেশ হিসেবে যে কোন সুবিধা দিতে বাংলাদেশ যতটা উদার, প্রতিদানে অতিতে ততটায় কার্পণ্যতা দেখিয়েছে ভারত। তাই ট্রানজিটের মতো গুরুত্বপুর্ণ সুবিধা দিয়ে জাতীয় স্বার্থ কতটুকু রক্ষিত হয়েছে সেটাই এখন দেখার বিষয়। নিরাপত্ত্বা বিশ্লেষকরা বলছেন, এই ট্রানজিট সুবিধা ভারতের যে রাজ্যগুলোতে ব্যবহার হবে সে রাজ্যগুলোতে রাজনৈতিক অস্থিরতা চলছে সুদীর্ঘকাল ধরে। তাই অর্থনীতির পাশাপাশি জাতীয় নিরাপত্ত্বার বিষয়টিতেও গুরুত্ব দিতে হবে বাংলাদেশকে।

ট্রানজিটকে উপলক্ষ্য করে আসা পণ্যের ভোক্তা যেহেতু বাংলাদেশ নয়, তাই অপারেশন চার্জের বাইরে কোন শুল্কায়নের সুযোগ নেই। তাই অর্থনৈতিক কারণে কন্টেইনারের কায়িক পরীক্ষার প্রয়োজনীয়তা না থাকলেও নিরাপত্তা ইস্যুতে তা শতভাগ বাস্তবায়ন করা উচিত বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহারের মধ্য দিয়ে ট্রানজিট সুবিধা ভোগ করতে শুরু করলো ভারত

আপডেট সময় : ০৫:৪২:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জুলাই ২০২০

চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহারের মধ্য দিয়ে বহুল আলোচিত ট্রানজিট সুবিধা ভোগ করতে শুরু করলো ভারত। গতকাল ভারতের উত্তর প্রদেশের দুটি রাজ্যের জন্য পণ্য বোঝাই চারটি কন্টেইনার নিয়ে একটি জাহাজ ভিড়ে চট্টগ্রাম বন্দরের জেটিতে। বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের অনুরোধে পরীক্ষমুলক এই সুবিধা চালু করা হয়েছে। এদিকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ট্রানজিট সুবিধাকে কেন্দ্র করে তিস্তার পানিসহ ভারতের কাছ থেকে বেশ কিছু অমিমাংসিত ইস্যু মীমাংসা করার সুযোগ ছিলো। সেখানে কোন ঘাটতি তৈরী হলো কি না সেটাই এখন দেখার বিষয়।

মঙ্গলবার দুপুরে কলকাতার শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী বন্দর থেকে ২০৭ টি পণ্যভর্তি কন্টেইনার নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের জেটিতে নোঙর করে এমভি সেঁজুতি নামের এই কোস্টাল ভেসেলটি। এরমধ্যে লোহার রড বোঝাই দুটি কন্টেইনার যাবে আসামে আর ডাল বোঝাই দুটি কন্টেইনারের গন্তব্য ত্রিপুরা রাজ্যে। কন্টেইনারগুলো চট্টগ্রাম বন্দরে নামার পর সড়কপথে আখাউড়া হয়ে পৌঁছবে ভারতে।

বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, ট্রানজিটকে সামনে রেখে বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে নেয়া বিভিন্ন প্রকল্প সম্পন্ন না হলেও, ভারতীয় ব্যবসায়ীদের অনুরোধে ট্রানজিট সুবিধার পরীক্ষামুলক ব্যবহার শুরু হয়েছে।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিবেশী দেশ হিসেবে যে কোন সুবিধা দিতে বাংলাদেশ যতটা উদার, প্রতিদানে অতিতে ততটায় কার্পণ্যতা দেখিয়েছে ভারত। তাই ট্রানজিটের মতো গুরুত্বপুর্ণ সুবিধা দিয়ে জাতীয় স্বার্থ কতটুকু রক্ষিত হয়েছে সেটাই এখন দেখার বিষয়। নিরাপত্ত্বা বিশ্লেষকরা বলছেন, এই ট্রানজিট সুবিধা ভারতের যে রাজ্যগুলোতে ব্যবহার হবে সে রাজ্যগুলোতে রাজনৈতিক অস্থিরতা চলছে সুদীর্ঘকাল ধরে। তাই অর্থনীতির পাশাপাশি জাতীয় নিরাপত্ত্বার বিষয়টিতেও গুরুত্ব দিতে হবে বাংলাদেশকে।

ট্রানজিটকে উপলক্ষ্য করে আসা পণ্যের ভোক্তা যেহেতু বাংলাদেশ নয়, তাই অপারেশন চার্জের বাইরে কোন শুল্কায়নের সুযোগ নেই। তাই অর্থনৈতিক কারণে কন্টেইনারের কায়িক পরীক্ষার প্রয়োজনীয়তা না থাকলেও নিরাপত্তা ইস্যুতে তা শতভাগ বাস্তবায়ন করা উচিত বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।