০৯:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

চট্টগ্রাম বন্দর টার্মিনালগুলোতে ভয়াবহ কন্টেইনার জটের আশংকা

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০১:৪৭:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ মে ২০২১
  • / ১৫১১ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

চলমান লকডাউন আর ঈদের ছুটির কারণে চট্টগ্রাম বন্দর টার্মিনালগুলোতে ভয়াবহ কন্টেইনার জটের আশংকা করছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। বিষয়টিতে উদ্বেগ জানিয়ে ব্যবসায়ী সংগঠন, অফডক, এমনকি বড় বড় আমদানীকারকদের দ্রুত পণ্য খালাস করতে চিঠি দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বিকডা বলছে শিপিং লাইনসের আন্তরিকতার অভাবে সক্ষমতা থাকা সত্বেও বন্দর থেকে কন্টেনার নিতে পারছেন না তারা। আর ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন অপারেশনাল কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে সবপক্ষের সঙ্গে সমন্বয়ে উদ্যোগী হতে হবে বন্দরকেই।

স্বাভাবিক সময়ে দৈনিক সাড়ে তিন হাজার থেকে চার হাজার পণ্যবাহী কন্টেইনার বন্দর থেকে ডেলিভারি হলেও লকডাউনে তা কমে দাড়িয়েছে তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার। ফলে প্রতিদিন অন্তত ৫ শো কন্টেইনার জমছে বন্দরের ইয়ার্ডগুলোতে। তাই ১৪ থেকে ১৬ হাজারের বেশি কন্টেইনার বন্দরের ভেতরে থাকার যৌক্তিক কারণ না থাকলেও এখন কন্টেইনারের পরিমাণ ৩৭ হাজারের বেশি।

এভাবে চলতে থাকলে আর ক’দিনের মধ্যে ভয়াবহ জটের কবলে পড়বে চট্টগ্রাম বন্দর। তাই পণ্য সবার সহযোগীতা চেয়ে চিঠি দিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। রপ্তানীপণ্যের শতভাগ জাহাজীকরণ আর ৩৮ টি ক্যাটাগরীতে আমদানী পণ্য খালাসের দায়িত্ব বেসরকারী কন্টেইনার ডিপো বা অফডক কর্তৃপক্ষের। তাই বন্দরের কন্টেইনার অপারেশনের অন্যতম অংশীদার এই প্রতিষ্ঠানটি। তাদের দাবি শিপিং এজেন্টদের আন্তরিকতার অভাবে অফডকগুলোতে বিপুল পরিমাণ খালি জায়গা থাকলেও তা ব্যবহার করতে পারছেন না তারা।

আর ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, বন্দর থেকে একটি পণ্য খালাস কিংবা জাহাজীকরণ করতে কমপক্ষে ১০ থেকে ১২ টি প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে সবপক্ষের সঙ্গে সমন্ময় করার উদ্যোগ নিতে হবে বন্দরকেই। ৪৯ হাজার টিউস কন্টেইনার ধারণক্ষমতাসম্পন্ন চট্টগ্রাম বন্দরের টার্মিনালগুলোতে এখন কন্টেইনার আছে ৩৮ হাজারের কাছাকাছি। এরওপর জেটি ও বহি:নোঙ্গোর মিলিয়ে অন্তত ৪০টি জাহাজ পণ্য খালাসের অপেক্ষায় আছে।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

চট্টগ্রাম বন্দর টার্মিনালগুলোতে ভয়াবহ কন্টেইনার জটের আশংকা

আপডেট সময় : ০১:৪৭:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ মে ২০২১

চলমান লকডাউন আর ঈদের ছুটির কারণে চট্টগ্রাম বন্দর টার্মিনালগুলোতে ভয়াবহ কন্টেইনার জটের আশংকা করছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। বিষয়টিতে উদ্বেগ জানিয়ে ব্যবসায়ী সংগঠন, অফডক, এমনকি বড় বড় আমদানীকারকদের দ্রুত পণ্য খালাস করতে চিঠি দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বিকডা বলছে শিপিং লাইনসের আন্তরিকতার অভাবে সক্ষমতা থাকা সত্বেও বন্দর থেকে কন্টেনার নিতে পারছেন না তারা। আর ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন অপারেশনাল কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে সবপক্ষের সঙ্গে সমন্বয়ে উদ্যোগী হতে হবে বন্দরকেই।

স্বাভাবিক সময়ে দৈনিক সাড়ে তিন হাজার থেকে চার হাজার পণ্যবাহী কন্টেইনার বন্দর থেকে ডেলিভারি হলেও লকডাউনে তা কমে দাড়িয়েছে তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার। ফলে প্রতিদিন অন্তত ৫ শো কন্টেইনার জমছে বন্দরের ইয়ার্ডগুলোতে। তাই ১৪ থেকে ১৬ হাজারের বেশি কন্টেইনার বন্দরের ভেতরে থাকার যৌক্তিক কারণ না থাকলেও এখন কন্টেইনারের পরিমাণ ৩৭ হাজারের বেশি।

এভাবে চলতে থাকলে আর ক’দিনের মধ্যে ভয়াবহ জটের কবলে পড়বে চট্টগ্রাম বন্দর। তাই পণ্য সবার সহযোগীতা চেয়ে চিঠি দিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। রপ্তানীপণ্যের শতভাগ জাহাজীকরণ আর ৩৮ টি ক্যাটাগরীতে আমদানী পণ্য খালাসের দায়িত্ব বেসরকারী কন্টেইনার ডিপো বা অফডক কর্তৃপক্ষের। তাই বন্দরের কন্টেইনার অপারেশনের অন্যতম অংশীদার এই প্রতিষ্ঠানটি। তাদের দাবি শিপিং এজেন্টদের আন্তরিকতার অভাবে অফডকগুলোতে বিপুল পরিমাণ খালি জায়গা থাকলেও তা ব্যবহার করতে পারছেন না তারা।

আর ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, বন্দর থেকে একটি পণ্য খালাস কিংবা জাহাজীকরণ করতে কমপক্ষে ১০ থেকে ১২ টি প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে সবপক্ষের সঙ্গে সমন্ময় করার উদ্যোগ নিতে হবে বন্দরকেই। ৪৯ হাজার টিউস কন্টেইনার ধারণক্ষমতাসম্পন্ন চট্টগ্রাম বন্দরের টার্মিনালগুলোতে এখন কন্টেইনার আছে ৩৮ হাজারের কাছাকাছি। এরওপর জেটি ও বহি:নোঙ্গোর মিলিয়ে অন্তত ৪০টি জাহাজ পণ্য খালাসের অপেক্ষায় আছে।