০৬:৩৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪

১০৩ কোটি টাকা নয়-ছয় করেও পার পাচ্ছে অভিযুক্তরা

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০৩:২৭:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ অগাস্ট ২০২২
  • / ১৫৫১ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মহেশখালী থেকে আনোয়ারা পর্যন্ত গ্যাস সঞ্চালন পাইপলাইনসহ সিজিএস ও সিটিএমএস স্থাপনে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছে পেট্রোবাংলা। নিন্মমানের যন্ত্রাংশ ব্যবহার করায়, জাতীয় গ্রীডে এলএনজি সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এতে সংকট তৈরী হচ্ছে জ্বালানী খাতে। প্রকল্প পরিচালক ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করা হলেও, তিন বছরে তা বাস্তবায়ন করেনি জিটিসিএল। অভিযোগ রয়েছে পেট্রোবাংলার সাবেক চেয়ারম্যান এবিএম ফাত্তাহ ও পরিচালক আলী মোহাম্মদ আল মামুনের প্রশ্রয়ে ১০৩ কোটি টাকার প্রকল্পে নয়-ছয় করেও পার পেয়ে যাচ্ছে দুর্নীতিবাজরা।

আমদানী করা তরল গ্যাস জাতীয় গ্রীডে সংযুক্ত করতে মহেশখালী থেকে আনোয়ারা পর্যন্ত পাইপলাইনের পাশাপাশি মহেশখালী অংশে সিটিএমএস ও আনোয়ারায় সিজিএস স্থাপন করে জিটিসিএল। কিন্তু প্রায় ১০৪ কোটি টাকা ব্যায়ে প্রকল্পটিতে হয়েছে ভয়াবহ দুর্নীতি। পুরনো ও অকেজো সব যন্ত্রাংশ রং-চং করে লাগিয়ে দেয়া হয়েছে সিজিএস ও সিটিএমএসে।

খোদ পেট্রোবাংলার তদন্তে বেরিয়ে এসেছে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য। মেশিনগুলো কোন দেশ থেকে আমদানী করা হয়েছে, তা উদ্ধার করতে পারেনি বিশেষজ্ঞ টিম। কারণ মেশিনের বিল অব লোডিং জমা দেয়নি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান। উৎপাদনকারী দেশের প্রত্যয়নপত্র, মিল টেস্ট রিপোর্ট, ওয়ারেন্টি সার্টিফিকেট সবকিছুই ইস্যু করেছে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের একজন কর্মকর্তা। এতে বিষ্মিত জ্বালানী বিশেষজ্ঞরা।

গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানী জিটিসিএলের আলোচিত প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে এমারসন প্রসেস ম্যানেজমেন্ট এশিয়া প্যাসেফিক প্রাইভেট লিমিটেড নামের সিঙ্গাপুরভিত্তিক একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। তাদের কাজ পাওয়া নিয়েও কমিশন ভাগাভাগির প্রমাণ পেয়েছে পেট্রোবাংলা। এমনকি নিয়ম লঙ্ঘন করে নির্ধারিত সময়ের আগেই প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট ছাড়াই পরিশোধ করা হয়েছে বিল।

আনোয়ারার সিজিএস স্টেশন থেকে কর্ণফূলীর মাধ্যমে জাতীয় গ্রীডে গ্যাস সঞ্চালন করে জিটিসিএল। নিন্মমানের যন্ত্রাংশের কারণে তিন বছরে অন্তত ৮ বার বাধাগ্রস্ত হয়েছে গ্যাস সঞ্চালন। পেট্রোবাংলার তদন্ত কমিটি অভিযুক্ত পিডির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করলেও তা আমলে নেয়নি জিটিসিএল।

অভিযোগ রয়েছে পেট্রোবাংলার সাবেক চেয়ারম্যান এবিএম ফাত্তাহ আর জিটিসিএলের তৎকালিন এমডি সদ্য অবসরে যাওয়া পেট্রোবাংলার অপারেশন এন্ড মাইন্স বিভাগের পরিচালক আলী মো. আল মামুনের প্রশ্রয়ে এতোবড় দুর্নীতি এতদিন ধামাচাপা পড়ে ছিলো।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

১০৩ কোটি টাকা নয়-ছয় করেও পার পাচ্ছে অভিযুক্তরা

আপডেট সময় : ০৩:২৭:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ অগাস্ট ২০২২

মহেশখালী থেকে আনোয়ারা পর্যন্ত গ্যাস সঞ্চালন পাইপলাইনসহ সিজিএস ও সিটিএমএস স্থাপনে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছে পেট্রোবাংলা। নিন্মমানের যন্ত্রাংশ ব্যবহার করায়, জাতীয় গ্রীডে এলএনজি সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এতে সংকট তৈরী হচ্ছে জ্বালানী খাতে। প্রকল্প পরিচালক ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করা হলেও, তিন বছরে তা বাস্তবায়ন করেনি জিটিসিএল। অভিযোগ রয়েছে পেট্রোবাংলার সাবেক চেয়ারম্যান এবিএম ফাত্তাহ ও পরিচালক আলী মোহাম্মদ আল মামুনের প্রশ্রয়ে ১০৩ কোটি টাকার প্রকল্পে নয়-ছয় করেও পার পেয়ে যাচ্ছে দুর্নীতিবাজরা।

আমদানী করা তরল গ্যাস জাতীয় গ্রীডে সংযুক্ত করতে মহেশখালী থেকে আনোয়ারা পর্যন্ত পাইপলাইনের পাশাপাশি মহেশখালী অংশে সিটিএমএস ও আনোয়ারায় সিজিএস স্থাপন করে জিটিসিএল। কিন্তু প্রায় ১০৪ কোটি টাকা ব্যায়ে প্রকল্পটিতে হয়েছে ভয়াবহ দুর্নীতি। পুরনো ও অকেজো সব যন্ত্রাংশ রং-চং করে লাগিয়ে দেয়া হয়েছে সিজিএস ও সিটিএমএসে।

খোদ পেট্রোবাংলার তদন্তে বেরিয়ে এসেছে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য। মেশিনগুলো কোন দেশ থেকে আমদানী করা হয়েছে, তা উদ্ধার করতে পারেনি বিশেষজ্ঞ টিম। কারণ মেশিনের বিল অব লোডিং জমা দেয়নি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান। উৎপাদনকারী দেশের প্রত্যয়নপত্র, মিল টেস্ট রিপোর্ট, ওয়ারেন্টি সার্টিফিকেট সবকিছুই ইস্যু করেছে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের একজন কর্মকর্তা। এতে বিষ্মিত জ্বালানী বিশেষজ্ঞরা।

গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানী জিটিসিএলের আলোচিত প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে এমারসন প্রসেস ম্যানেজমেন্ট এশিয়া প্যাসেফিক প্রাইভেট লিমিটেড নামের সিঙ্গাপুরভিত্তিক একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। তাদের কাজ পাওয়া নিয়েও কমিশন ভাগাভাগির প্রমাণ পেয়েছে পেট্রোবাংলা। এমনকি নিয়ম লঙ্ঘন করে নির্ধারিত সময়ের আগেই প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট ছাড়াই পরিশোধ করা হয়েছে বিল।

আনোয়ারার সিজিএস স্টেশন থেকে কর্ণফূলীর মাধ্যমে জাতীয় গ্রীডে গ্যাস সঞ্চালন করে জিটিসিএল। নিন্মমানের যন্ত্রাংশের কারণে তিন বছরে অন্তত ৮ বার বাধাগ্রস্ত হয়েছে গ্যাস সঞ্চালন। পেট্রোবাংলার তদন্ত কমিটি অভিযুক্ত পিডির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করলেও তা আমলে নেয়নি জিটিসিএল।

অভিযোগ রয়েছে পেট্রোবাংলার সাবেক চেয়ারম্যান এবিএম ফাত্তাহ আর জিটিসিএলের তৎকালিন এমডি সদ্য অবসরে যাওয়া পেট্রোবাংলার অপারেশন এন্ড মাইন্স বিভাগের পরিচালক আলী মো. আল মামুনের প্রশ্রয়ে এতোবড় দুর্নীতি এতদিন ধামাচাপা পড়ে ছিলো।